০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অদম্য মনের জোরে ৮৫ বছরে ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতক ফিলিস্তিনি বৃদ্ধা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 14

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বয়সটা নিছকই একটি সংখ্যা মাত্র। এই কথা আমরা বার বার শুনে আসি, তবে সেই কথাই বাস্তবে প্রমাণ করে দেখালেন ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধা। অদম্য মনের জোর আর ইচ্ছাশক্তি নিয়ে এই বৃদ্ধ বয়সেও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এই ফিলিস্তিনি নারী। মোহাম্মদ আবদাল্লাহ বাট্টু ফিলিস্তিনের আল মুজাইদিলের বাসিন্দা। তিনি ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে কাফর বারার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।  

ট্যুইটারে গাউন পরা মোহাম্মদ আবদাল্লাহ বাট্টুর হাসিমুখের একটি ছবি সামনে আসে। তার পরেই তার অদম্য মনোবলের কথা নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সকলেই তাঁর অদম্য মনের জোর ও সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছে।

মোহাম্মদ আবদাল্লাহ বাট্টুর কথায়, ছোট থেকেই তার শেখার ইচ্ছা ছিল প্রবল। বিয়ের পরেও সেই ইচ্ছা থেমে থাকেনি। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শেখার ইচ্ছেই তাকে সব সময় শক্তি জুগিয়ে গেছে। বিয়ের পরেও স্বামীর কাছ থেকেও পড়াশোনার উৎসাহ পেয়েছেন তিনি। পরে সন্তানের কাছ থেকেও এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তিনি। বাট্টু জানিয়েছেন, ১৯৪৮ সালে নাকাবার ঘটনার (ফিলিস্তিনের চূড়ান্ত বিপর্যয় দিবস। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে একদিনের হামলায় সন্ত্রাসবাদী ইয়াহুদিরা পবিত্রভূমির বড় একটা অংশ দখল করে নেয়। ) সময় তিনি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার পর পড়াশোনা থেমে যায়। ফের মনের জোরে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ পরিশ্রমের পর পবিত্র কোরআন হিফজ করেন আবদাল্লাহ বাট্টু। এরপর অর্জন করলেন স্নাতক ডিগ্রি।

আবদাল্লাহ বাট্টু আরও বলেন, পড়াশোনায় কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি আমার স্বামী। সব সময় আমাকে আরও উৎসাহ জুগিয়েছেন।

লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যম মিডলইস্ট আই এ মোহাম্মদ আবদাল্লাহ বাট্টু এই অনুপ্রেরণা মূলক কাহিনির তথ্য প্রকাশ করে।  

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অদম্য মনের জোরে ৮৫ বছরে ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতক ফিলিস্তিনি বৃদ্ধা

আপডেট : ৫ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বয়সটা নিছকই একটি সংখ্যা মাত্র। এই কথা আমরা বার বার শুনে আসি, তবে সেই কথাই বাস্তবে প্রমাণ করে দেখালেন ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধা। অদম্য মনের জোর আর ইচ্ছাশক্তি নিয়ে এই বৃদ্ধ বয়সেও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এই ফিলিস্তিনি নারী। মোহাম্মদ আবদাল্লাহ বাট্টু ফিলিস্তিনের আল মুজাইদিলের বাসিন্দা। তিনি ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে কাফর বারার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।  

ট্যুইটারে গাউন পরা মোহাম্মদ আবদাল্লাহ বাট্টুর হাসিমুখের একটি ছবি সামনে আসে। তার পরেই তার অদম্য মনোবলের কথা নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সকলেই তাঁর অদম্য মনের জোর ও সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছে।

মোহাম্মদ আবদাল্লাহ বাট্টুর কথায়, ছোট থেকেই তার শেখার ইচ্ছা ছিল প্রবল। বিয়ের পরেও সেই ইচ্ছা থেমে থাকেনি। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শেখার ইচ্ছেই তাকে সব সময় শক্তি জুগিয়ে গেছে। বিয়ের পরেও স্বামীর কাছ থেকেও পড়াশোনার উৎসাহ পেয়েছেন তিনি। পরে সন্তানের কাছ থেকেও এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তিনি। বাট্টু জানিয়েছেন, ১৯৪৮ সালে নাকাবার ঘটনার (ফিলিস্তিনের চূড়ান্ত বিপর্যয় দিবস। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে একদিনের হামলায় সন্ত্রাসবাদী ইয়াহুদিরা পবিত্রভূমির বড় একটা অংশ দখল করে নেয়। ) সময় তিনি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার পর পড়াশোনা থেমে যায়। ফের মনের জোরে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ পরিশ্রমের পর পবিত্র কোরআন হিফজ করেন আবদাল্লাহ বাট্টু। এরপর অর্জন করলেন স্নাতক ডিগ্রি।

আবদাল্লাহ বাট্টু আরও বলেন, পড়াশোনায় কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি আমার স্বামী। সব সময় আমাকে আরও উৎসাহ জুগিয়েছেন।

লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যম মিডলইস্ট আই এ মোহাম্মদ আবদাল্লাহ বাট্টু এই অনুপ্রেরণা মূলক কাহিনির তথ্য প্রকাশ করে।