জামিন চাইতে গিয়ে জেল হেফাজতে সন্দেশখালির মাম্পি
- আপডেট : ১৪ মে ২০২৪, মঙ্গলবার
- / 143
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ জামিন চাইতে গিয়ে জেলে গেল সন্দেশখালির পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি। সন্দেশখালির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে মহিলাদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন রেখা পাত্র, মাম্পি দাসরা। কিন্তু ভোটের মাঝে সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর হাওয়া উল্টো খাতে বইতে শুরু করে। সেইসব ভিডিওতে দাবি করা হয়, সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই সাজানো। পরে মিথ্যে মামলা তুলতে গেলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মাম্পিকে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি নেতা-নেত্রীরা অস্বস্তিতে পড়ে যায়।
সন্দেশখালির মহিলাদের সাদা কাগজে সই করিয়ে ভুয়ো ধর্ষণের মামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ভিডিয়োতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা যায়- গোটা বিষয়টি সাজানো। তাতে নাম উঠে আসে স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পিয়ালিরও।
বিজেপি কর্মী পিয়ালির বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্থানীয় এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ ছিল, যখন মহিলা কমিশন সন্দেশখালিতে আসে, সেই সময় মহিলাকে বাড়ি থেকে অভিযোগ করার জন্য ডেকে নিয়ে যান পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি। অভিযোগ, একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে পিয়ালি মহিলাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে সেই সাদা কাগজে লিখে দেওয়া হয়, ওই মহিলার উপর নির্যাতন করা হয়েছে।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বসিরহাট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন মাম্পি। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত। পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।