২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদায়ী বিজেপি সাংসদের তৃণমূলে যোগদান, প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে অস্বস্তি পদ্ম শিবিরে  

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ১৯ মে ২০২৪, রবিবার
  • / 28

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ব্যক্তিগত কারণে আগেই দল ছেড়েছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বঙ্গ সফরের মাঝেই জোড়া ফুল শিবিরে যোগ দিলেন ১৯৮৮-৮৯ ব্যাচের আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তনী। বিজেপি ত্যাগের পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছিলই। অবশেষে রবিবার নয়াগ্রামে অভিষেকের  হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা গ্রহণ করেন ঝাড়গ্রামের বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম। কুনারের এই যোগদানে ঝাড়গ্রামে তাদের জয় আরও সুনিশ্চিত হল বলে দাবি শাসকদলের।

চলতি বছরের ৯ মার্চ বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের কথা ঘোষণা করেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ। তবে সেই সময় দলত্যাগ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, “দল ছাড়ার কথা চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছি। আমি ব্যক্তিগত কারণেই দল ছাড়লাম। যতটা মনে করেছিলাম ততটা কাজই করেছি। কাজ আটকানো হয়নি। দলত্যাগ নিয়ে কিছু বলারও নেই। কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভও নেই। কিন্তু আমি আর দলে থেকে কাজ করতে চাইছি না। অন্য দলে যাওয়ার কথা ভাবিনি, ভবিষ্যতেও ভাবব না।” ওদিকে ভোট ঘোষণার পর বিজেপির প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হলে দেখা যায় ঝাড়গ্রাম থেকে চিকিৎসক প্রণত টুডুকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। তখনও রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি কুনার হেমব্রমকে। রবিবার হঠাৎই নয়াগ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। সভার শুরুতেই অভিষেকের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।

 

ষষ্ঠ দফার ভোট প্রচারে রবিবারই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার ঝাড়গ্রামে সভা করবে বিজেপি। তার মধ্যেই দলের বিদায়ী সাংসদের তৃণমূলে যোগদানে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

যদিও কুনার হেমব্রমের তৃণমূলে যোগদানে বিজেপির ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন দলের মুখপাত্র জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে গতবার আইআইটির প্রাক্তনী কুনার হেমব্রমকে টিকিট দিয়েছিলেন মোদীজি। কিন্তু উন্নত ভারতের সংকল্পে কাজ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই এবার তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। সেটা বুঝে আগে থেকেই তিনি দল ছেড়েছিলেন। এবার চোর, গুন্ডা, লম্পটদের দল তৃণমূল কংগ্রেসে তিনি যোগদান করলেন। এতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমাদের প্রার্থী চিকিৎসক প্রণত টুডু। যিনি সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। তিনিই ঝাড়গ্রাম থেকে সাংসদ হতে চলেছেন।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিদায়ী বিজেপি সাংসদের তৃণমূলে যোগদান, প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে অস্বস্তি পদ্ম শিবিরে  

আপডেট : ১৯ মে ২০২৪, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ব্যক্তিগত কারণে আগেই দল ছেড়েছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বঙ্গ সফরের মাঝেই জোড়া ফুল শিবিরে যোগ দিলেন ১৯৮৮-৮৯ ব্যাচের আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তনী। বিজেপি ত্যাগের পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছিলই। অবশেষে রবিবার নয়াগ্রামে অভিষেকের  হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা গ্রহণ করেন ঝাড়গ্রামের বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম। কুনারের এই যোগদানে ঝাড়গ্রামে তাদের জয় আরও সুনিশ্চিত হল বলে দাবি শাসকদলের।

চলতি বছরের ৯ মার্চ বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের কথা ঘোষণা করেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ। তবে সেই সময় দলত্যাগ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, “দল ছাড়ার কথা চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছি। আমি ব্যক্তিগত কারণেই দল ছাড়লাম। যতটা মনে করেছিলাম ততটা কাজই করেছি। কাজ আটকানো হয়নি। দলত্যাগ নিয়ে কিছু বলারও নেই। কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভও নেই। কিন্তু আমি আর দলে থেকে কাজ করতে চাইছি না। অন্য দলে যাওয়ার কথা ভাবিনি, ভবিষ্যতেও ভাবব না।” ওদিকে ভোট ঘোষণার পর বিজেপির প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হলে দেখা যায় ঝাড়গ্রাম থেকে চিকিৎসক প্রণত টুডুকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। তখনও রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি কুনার হেমব্রমকে। রবিবার হঠাৎই নয়াগ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। সভার শুরুতেই অভিষেকের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।

 

ষষ্ঠ দফার ভোট প্রচারে রবিবারই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার ঝাড়গ্রামে সভা করবে বিজেপি। তার মধ্যেই দলের বিদায়ী সাংসদের তৃণমূলে যোগদানে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

যদিও কুনার হেমব্রমের তৃণমূলে যোগদানে বিজেপির ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন দলের মুখপাত্র জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে গতবার আইআইটির প্রাক্তনী কুনার হেমব্রমকে টিকিট দিয়েছিলেন মোদীজি। কিন্তু উন্নত ভারতের সংকল্পে কাজ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই এবার তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। সেটা বুঝে আগে থেকেই তিনি দল ছেড়েছিলেন। এবার চোর, গুন্ডা, লম্পটদের দল তৃণমূল কংগ্রেসে তিনি যোগদান করলেন। এতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমাদের প্রার্থী চিকিৎসক প্রণত টুডু। যিনি সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। তিনিই ঝাড়গ্রাম থেকে সাংসদ হতে চলেছেন।