০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, পরনে গেরুয়া বসন, মৌনব্রত অবস্থায় ধ্যানস্থ মোদি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩১ মে ২০২৪, শুক্রবার
  • / 14

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, পরনে গেরুয়া পোশাক। ধ্যানস্থ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির সামনে ধ্যান করছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩১ বছর আগে এখানেই ধ্যান করেছিলেন  স্বামী বিবেকানন্দ। কন্যাকুমারীর সেই বিবেকানন্দ রকেই এবার ধ্যানে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা ধরে এই ঐতিহাসিক স্থানে ধ্যানস্থ রয়েছেন যে জায়গাকে বিশ্ব চেনে ধ্যান মণ্ডপম নামে। বৃহস্পতিবার তিরুঅনন্তপুরমের ভগবতী আম্মান মন্দিরে পুজো সেরে ধ্যানে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ নাগাদ তিনি ধ্যান শুরু করেছেন। আগামী ৪৫ ঘণ্টা তিনি ওই ধ্যান মণ্ডপমেই থাকবেন। এই সময় মূলত ডাবের জল, আঙুর ফলের রস, জুসের মতো তরল খাবার খেয়ে থাকবেন তিনি। এই সময় মৌনব্রত অবস্থায় থাকবেন মোদি। ধ্যানের সময় বাইরে আসবেন না তিনি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর কেদারনাথেও ধ্যানে বসেছিলেন, সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়।

এদিকে মোদির এই ধ্যান নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। মোদির ৪৮ ঘণ্টার ধ্যানে বসার কঠোর সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে প্রচার পাওয়ার জন্য মোদি এটা করছেন। বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন মমতা বলেন, এবার আর মোদি ফিরছেন না। তাঁর পতন হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আর বিজেপি ক্ষমতায় আসছে না। কংগ্রেস মনে করছে, এটা হলে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনও লঙ্ঘন করবেন।

কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি, রণদীপ সিং সুরযেওয়ালা ও নাসির হুসেন বুধবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, ধ্যান করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর অবশ্যই আছে। বিবেকানন্দ রকে গিয়ে তিনি দুদিন ধ্যানমগ্ন হতেই পারেন। মৌনব্রতও রাখতে পারেন। কিন্তু তা নিয়ে যেন টেলিভিশন বা অন্যান্য গণমাধ্যম প্রচার না করে। সেই নির্দেশ কমিশনকে দিতে হবে।

 

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, পরনে গেরুয়া বসন, মৌনব্রত অবস্থায় ধ্যানস্থ মোদি

আপডেট : ৩১ মে ২০২৪, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, পরনে গেরুয়া পোশাক। ধ্যানস্থ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির সামনে ধ্যান করছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩১ বছর আগে এখানেই ধ্যান করেছিলেন  স্বামী বিবেকানন্দ। কন্যাকুমারীর সেই বিবেকানন্দ রকেই এবার ধ্যানে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা ধরে এই ঐতিহাসিক স্থানে ধ্যানস্থ রয়েছেন যে জায়গাকে বিশ্ব চেনে ধ্যান মণ্ডপম নামে। বৃহস্পতিবার তিরুঅনন্তপুরমের ভগবতী আম্মান মন্দিরে পুজো সেরে ধ্যানে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ নাগাদ তিনি ধ্যান শুরু করেছেন। আগামী ৪৫ ঘণ্টা তিনি ওই ধ্যান মণ্ডপমেই থাকবেন। এই সময় মূলত ডাবের জল, আঙুর ফলের রস, জুসের মতো তরল খাবার খেয়ে থাকবেন তিনি। এই সময় মৌনব্রত অবস্থায় থাকবেন মোদি। ধ্যানের সময় বাইরে আসবেন না তিনি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর কেদারনাথেও ধ্যানে বসেছিলেন, সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়।

এদিকে মোদির এই ধ্যান নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। মোদির ৪৮ ঘণ্টার ধ্যানে বসার কঠোর সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে প্রচার পাওয়ার জন্য মোদি এটা করছেন। বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন মমতা বলেন, এবার আর মোদি ফিরছেন না। তাঁর পতন হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আর বিজেপি ক্ষমতায় আসছে না। কংগ্রেস মনে করছে, এটা হলে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনও লঙ্ঘন করবেন।

কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি, রণদীপ সিং সুরযেওয়ালা ও নাসির হুসেন বুধবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, ধ্যান করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর অবশ্যই আছে। বিবেকানন্দ রকে গিয়ে তিনি দুদিন ধ্যানমগ্ন হতেই পারেন। মৌনব্রতও রাখতে পারেন। কিন্তু তা নিয়ে যেন টেলিভিশন বা অন্যান্য গণমাধ্যম প্রচার না করে। সেই নির্দেশ কমিশনকে দিতে হবে।