০১ জানুয়ারী ২০২৬, বৃহস্পতিবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘সুরক্ষা ও সতর্কতা’র অভাবে ভারতে বাজছে বিপদের ঘণ্টা: ডঃ ডব্লিউ ইয়ান লিপকিন

নয়াদিল্লি: ভারতে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা কমেছে কিন্তু উৎসবের মরশুম শুরু হয়েছে দেশে। এই কারণে দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে। এই আবহে শীর্ষ ভাইরোলজিস্ট ডঃ ডব্লিউ ইয়ান লিপকিন সতর্ক করে দিলেন দেশকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বিশেষজ্ঞ বলেন যে ভারতের সবার কাছে এখনও ‘সুরক্ষা বর্ম’ নেই। লিপকিনের মতে, ‘সুরক্ষা বর্ম’ হল টিকা। তাঁর মতে যতক্ষণ না দেশের অধিকাংশ মানুষ টিকার দুটি ডোজই নিচ্ছেন, ততক্ষণ কেউ সুরক্ষিত নয়। তিনি জানান, ভারতে এখনও খুবই কম মানুষ টিকার ডোজ সম্পিপূর্ণ করেছে। এই আবহে আগের মতো স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা খুবই বিপজ্জনক বলে আখ্যা দেন তিনি।
ডঃ লিপকিন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যার ২০ শতাংশেরও কম মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। তারপর, ১৮ বছরের কম বয়সীরা ভারতের জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। তারা এখনও সবাই টিকা পায়নি। সুতরাং, পুনরায় সবকিছু খোলার ক্ষেত্রে ভারতের প্রয়োজনীয় বর্ম নেই। এটা নিরাপদ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে হবে ভারতকে। এছাড়াও, এমন ব্যক্তিদের ট্র্যাক এবং ট্রেস করতে হবে যারা সংক্রামিত হতে পারে। যাতে আমরা একটি রিং ভ্যাকসিনেশন কৌশল গ্রহণ করতে পারি। গুটিবসন্ত নির্মূল করার ক্ষেত্রে ভারতে তা সফলভাবে করা হয়েছিল।’
উৎসবের আবহে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও। তাই বারবার গোটা দেশকে করোনা বিধি মেনে উৎসবে সামিল হওয়ার সতর্কবার্তা দিচ্ছেন তাঁরা।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

‘জয় শ্রী রাম’ বলাতে চাপ, বিজেপির রাজ্যে নির্যাতনের শিকার কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘সুরক্ষা ও সতর্কতা’র অভাবে ভারতে বাজছে বিপদের ঘণ্টা: ডঃ ডব্লিউ ইয়ান লিপকিন

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

নয়াদিল্লি: ভারতে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা কমেছে কিন্তু উৎসবের মরশুম শুরু হয়েছে দেশে। এই কারণে দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে। এই আবহে শীর্ষ ভাইরোলজিস্ট ডঃ ডব্লিউ ইয়ান লিপকিন সতর্ক করে দিলেন দেশকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বিশেষজ্ঞ বলেন যে ভারতের সবার কাছে এখনও ‘সুরক্ষা বর্ম’ নেই। লিপকিনের মতে, ‘সুরক্ষা বর্ম’ হল টিকা। তাঁর মতে যতক্ষণ না দেশের অধিকাংশ মানুষ টিকার দুটি ডোজই নিচ্ছেন, ততক্ষণ কেউ সুরক্ষিত নয়। তিনি জানান, ভারতে এখনও খুবই কম মানুষ টিকার ডোজ সম্পিপূর্ণ করেছে। এই আবহে আগের মতো স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা খুবই বিপজ্জনক বলে আখ্যা দেন তিনি।
ডঃ লিপকিন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যার ২০ শতাংশেরও কম মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। তারপর, ১৮ বছরের কম বয়সীরা ভারতের জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। তারা এখনও সবাই টিকা পায়নি। সুতরাং, পুনরায় সবকিছু খোলার ক্ষেত্রে ভারতের প্রয়োজনীয় বর্ম নেই। এটা নিরাপদ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে হবে ভারতকে। এছাড়াও, এমন ব্যক্তিদের ট্র্যাক এবং ট্রেস করতে হবে যারা সংক্রামিত হতে পারে। যাতে আমরা একটি রিং ভ্যাকসিনেশন কৌশল গ্রহণ করতে পারি। গুটিবসন্ত নির্মূল করার ক্ষেত্রে ভারতে তা সফলভাবে করা হয়েছিল।’
উৎসবের আবহে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও। তাই বারবার গোটা দেশকে করোনা বিধি মেনে উৎসবে সামিল হওয়ার সতর্কবার্তা দিচ্ছেন তাঁরা।