০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমাজে দৃষ্টান্ত আহমেদ পরিবার, বংশের ৬ কন্যাসন্তানই চিকিৎসক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 34

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সমাজ যতই আধুনিক হোক, যতই স্লোগান উঠুক নারী স্বাধীনতার, তাও আজও দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করেই মেয়েদের রাখতে চায় একশ্রেণির মানুষ। প্রশাসনের অগোচরে এখনও চলেছে ভ্রুণহত্যা থেকে নারী নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধ।

তবে নিজের জেদ ও অধ্যবসায়ের বলে বহু নারী আজ বিভিন্ন পেশায় সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত। যেমন উদাহরণ আহমেদ কুট্টির পরিবার।

সেখানে কন্যা সন্তানকে সম্মানের সঙ্গে বড় করে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন আহমেদ কুট্টি ও জাইনা আহমেদ। আহমেদ কুট্টি ও জাইনা আহমেদের ছয় কন্যা সন্তানই চিকিৎসক। কেরলে কোঝিকোড়ের নান্দাপুরমের এই পরিবারটি সমাজের চোখে আজ এক দৃষ্টান্ত।

জাইনা আহমেদ ও আহমেদ কুট্টির ছয় মেয়ে। আর ৬ জন কন্যাসন্তানকে শুধু পরম স্নেহে মানুষ করে তোলাই নয়, সমাজে চিকিৎসক করে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন তারা। এমনকী ছয় চিকিৎসক মেয়েরই বিবাহ দিয়েছেন ছয় জন চিকিৎসকের সঙ্গে।

চার কন্যার নাম যথাক্রমে ফতিমা আহমেদ (৩৯) হজরা আহমেদ (৩৩), আয়েশা আহমেদ (৩০), ও ফইজা আহমেদ ইতিমধ্যেই চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। তবে রেহানা আহমেদ (২৩) এমবিবিএস এর ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। বর্তমান তিনি চেন্নাইতে পড়াশোনা করছে। সব থেকে ছোট মেয়ে আমিরা আহমেদ ম্যাঙ্গালোরে এমবিবিএস -এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

ছয় কন্যা সন্তানের গর্বিত মা জাইনা আহমেদ-এর বিবাহ হয় খুব কম বয়সেই। এর পর স্বামী আহমেদ কুট্টি’ র সঙ্গে তিনি চলে আসেন চেন্নাইতে। সেখানেই তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এর পর তারা কাতার পাড়ি দেন।

তবে কন্যাদের এই সাফল্য দেখে যেতে পারেননি গর্বিত বাবা আহমেদ কুট্টি। ইন্তেকাল হয় তাঁর।

জাইনা আহমেদ জানিয়েছেন, কন্যাদের জন্মের পর থেকে আমাদের দুজনের ইচ্ছে ছিল সন্তানরা মানুষের মতো মানুষ হোক। সেইমতো শিক্ষা দিয়েই তাদের বড় করে তুলি। সমাজে চিকিৎসকদের ভূমিকা কারুর অজানা নয়। আমরা দুজনেই চেয়েছিলাম, মানুষের উপকারে তারা চিকিৎসা পেশাকেই আপন করে নিক। ইতিমধ্যেই চার কন্যা প্রতিষ্ঠিত। আর দুজন এখনও শিক্ষার্থী। তবে আমার কন্যারা আমাদের গর্ব। আমি চাই তারা সুনাম ও দায়িত্বের সঙ্গে মানুষের সেবায় ব্রতী হোক।

আরও খবর পড়ুন :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সমাজে দৃষ্টান্ত আহমেদ পরিবার, বংশের ৬ কন্যাসন্তানই চিকিৎসক

আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সমাজ যতই আধুনিক হোক, যতই স্লোগান উঠুক নারী স্বাধীনতার, তাও আজও দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করেই মেয়েদের রাখতে চায় একশ্রেণির মানুষ। প্রশাসনের অগোচরে এখনও চলেছে ভ্রুণহত্যা থেকে নারী নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধ।

তবে নিজের জেদ ও অধ্যবসায়ের বলে বহু নারী আজ বিভিন্ন পেশায় সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত। যেমন উদাহরণ আহমেদ কুট্টির পরিবার।

সেখানে কন্যা সন্তানকে সম্মানের সঙ্গে বড় করে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন আহমেদ কুট্টি ও জাইনা আহমেদ। আহমেদ কুট্টি ও জাইনা আহমেদের ছয় কন্যা সন্তানই চিকিৎসক। কেরলে কোঝিকোড়ের নান্দাপুরমের এই পরিবারটি সমাজের চোখে আজ এক দৃষ্টান্ত।

জাইনা আহমেদ ও আহমেদ কুট্টির ছয় মেয়ে। আর ৬ জন কন্যাসন্তানকে শুধু পরম স্নেহে মানুষ করে তোলাই নয়, সমাজে চিকিৎসক করে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন তারা। এমনকী ছয় চিকিৎসক মেয়েরই বিবাহ দিয়েছেন ছয় জন চিকিৎসকের সঙ্গে।

চার কন্যার নাম যথাক্রমে ফতিমা আহমেদ (৩৯) হজরা আহমেদ (৩৩), আয়েশা আহমেদ (৩০), ও ফইজা আহমেদ ইতিমধ্যেই চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। তবে রেহানা আহমেদ (২৩) এমবিবিএস এর ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। বর্তমান তিনি চেন্নাইতে পড়াশোনা করছে। সব থেকে ছোট মেয়ে আমিরা আহমেদ ম্যাঙ্গালোরে এমবিবিএস -এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

ছয় কন্যা সন্তানের গর্বিত মা জাইনা আহমেদ-এর বিবাহ হয় খুব কম বয়সেই। এর পর স্বামী আহমেদ কুট্টি’ র সঙ্গে তিনি চলে আসেন চেন্নাইতে। সেখানেই তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এর পর তারা কাতার পাড়ি দেন।

তবে কন্যাদের এই সাফল্য দেখে যেতে পারেননি গর্বিত বাবা আহমেদ কুট্টি। ইন্তেকাল হয় তাঁর।

জাইনা আহমেদ জানিয়েছেন, কন্যাদের জন্মের পর থেকে আমাদের দুজনের ইচ্ছে ছিল সন্তানরা মানুষের মতো মানুষ হোক। সেইমতো শিক্ষা দিয়েই তাদের বড় করে তুলি। সমাজে চিকিৎসকদের ভূমিকা কারুর অজানা নয়। আমরা দুজনেই চেয়েছিলাম, মানুষের উপকারে তারা চিকিৎসা পেশাকেই আপন করে নিক। ইতিমধ্যেই চার কন্যা প্রতিষ্ঠিত। আর দুজন এখনও শিক্ষার্থী। তবে আমার কন্যারা আমাদের গর্ব। আমি চাই তারা সুনাম ও দায়িত্বের সঙ্গে মানুষের সেবায় ব্রতী হোক।

আরও খবর পড়ুন :