বাড়িতে শূকরের মাংস পাঠানোর হুমকি সাংবাদিক জুবায়েরকে

- আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 93
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তার জীবন বিপন্ন। পুলিশে এমনই অভিযোগ করলেন অল্ট নিউজের অন্যতম কর্ণধার মুহাম্মদ জুবায়ের। তিনি জানিয়েছেন, সমাজমাধ্যমে তার বাড়ির ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। এর পরেই তিনি হুমকি পেয়েছেন। জুবায়ের পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে এখনও কোনও এফআইআর নথিভুক্ত হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার রাতে ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে জুবায়ের অভিযোগ করেন, কিছু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে তার বাড়ির ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ফাঁস করেছে। তিনি আরও দাবি করেন, গত বারও তিনি এমন এক হুমকির বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে সে মামলার এফআইআর বন্ধ করে দেওয়া হয়। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা এ বিষয়ে তার কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখনও পর্যন্ত এফআইআর দায়ের হয়নি।
ওয়াকিফহাল মহলের মত, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস করেছিলেন। সেজনই জুবায়েরকে এবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার ফোন নম্বর, বাড়ির ঠিকানা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নানা ক্ষেত্রে। সেখান থেকে আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে আমার বাড়িতে শূকরের মাংস পাঠানো হবে। ২০২৩ সালে এই ব্যক্তি সত্যিই আমার বাড়িতে শূকরের মাংস পাঠিয়েছিল। আমি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।
আশা করি এবার অন্তত আমার অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। আগের বার আমি অভিযোগ জানালেও মাত্র কয়েকমাসের মধ্যে এফআইআর ক্লোজ করে দেওয়া হয়।’ এই পোস্টে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে ট্যাগও করেছেন জুবায়ের। প্রসঙ্গত, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও দ্য ওয়্যারের সিনিয়র সম্পাদক আরফা খানম শেরওয়ানি সম্প্রতি অনলাইন ঘৃণা প্রচার, হুমকি ও অশ্লীল বার্তার শিকার হচ্ছেন। শান্তির পক্ষে ও যুদ্ধবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় তিনি উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের প্রধান নিশানায় পরিণত হয়েছেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সাংবাদিককে কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো দেশদ্রোহী ও রাষ্ট্রবিরোধী বলে আখ্যায়িত করছে, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় তার শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কারণে। ‘হিন্দুত্ব নাইট’ নামক একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী অ্যাকাউন্ট পরিকল্পিতভাবে মুসলিম সাংবাদিকদের টার্গেট করে আসছে। সমালোচকরা বলছেন, সরকারের নীরবতা এসব আক্রমণকে আরও উৎসাহিত করছে এবং মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য এক ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে।