২৯ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লখনউতে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশি এনকাউন্টারে খতম অভিযুক্ত

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 80

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের আলমবাগ মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি সেতুর তলায় ফুটপাথে মা-বাবার সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল আড়াই বছরের এক কন্যা সন্তান। বুধবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। তারপর শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। শুক্রবার ভোরে দেবীখোঁড়া এলাকায় অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিশ। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটে অভিযুক্তের। কোনও বিচার ছাড়া, কোনও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই, অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মেরে ফেলা হয় ওই ব্যক্তিকে।

আরও পড়ুন: লখনউ-গোরক্ষপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বাস উল্টে খাদে, মৃত ৭, আহত ৪০

যে উত্তরপ্রদেশে উন্নাওয়ের ঘটনার পরে অভিযুক্তকে ধরতে টালবাহানা করে পুলিশ, সেখানে ধর্ষণের অভিযোগে ধরা ব্যক্তির চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই এনকাউন্টারে মৃত্যু পুলিশের অতিসক্রিয়তাকেই তুলে ধরে। লখনউয়ের ডিসিপি সেন্ট্রাল আশিস শ্রীবাস্তব জানান, বুধবার ভোর রাতে ঘুমন্ত শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে টহলদার পুলিশকে বিষয়টি জানান শিশুটির মা।

আরও পড়ুন: লখনউতে পাখি, কুকুর নিধনে অনুমতি দিল না ইলাহাবাদ হাই কোর্ট

এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা যায়, এক দুষ্কৃতী স্কুটারে করে শিশুটিকে তুলে নিয়ে পালাচ্ছে। এরপরই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আশিস শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে পুলিশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অভিযুক্তের সন্ধান শুরু করে। অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় পুলিশের তরফে।

আরও পড়ুন: ডোরেমন আমাকে বাঁচিয়েছে, লখনউ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায়  মন্তব্য মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ৬ বছরের শিশু

সিসিটিভি দেখে স্কুটারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরীক্ষা করে শুক্রবার অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিশ। ডিসিপি আশিস শ্রীবাস্তবের বক্তব্য অভিযুক্তের সন্ধান ঘিরে ফেলার পরে তাকেআত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু ওই ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে। এরপর পুলিশের গুলিতে আহত হয় ওই অভিযুক্ত। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে পুলিশ।

অন্যদিকে অপহৃত শিশুটির যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার প্লাসটিক সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিসিপি জানিয়েছেন, ওই অভিযুক্তের নামে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, পকসো আইনে ওই অভিযুক্তের বিচারের আগেই পুলিশি এনকাউন্টারে তার মৃত্যু ঘটেছে। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত এবং পুলিশ উভয় পক্ষের হয়ে আইনি লড়াই কীভাবে হয়, বিচার কোন পথে যায়, সেটাই দেখার।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লখনউতে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশি এনকাউন্টারে খতম অভিযুক্ত

আপডেট : ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের আলমবাগ মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি সেতুর তলায় ফুটপাথে মা-বাবার সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল আড়াই বছরের এক কন্যা সন্তান। বুধবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। তারপর শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। শুক্রবার ভোরে দেবীখোঁড়া এলাকায় অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিশ। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটে অভিযুক্তের। কোনও বিচার ছাড়া, কোনও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই, অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মেরে ফেলা হয় ওই ব্যক্তিকে।

আরও পড়ুন: লখনউ-গোরক্ষপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বাস উল্টে খাদে, মৃত ৭, আহত ৪০

যে উত্তরপ্রদেশে উন্নাওয়ের ঘটনার পরে অভিযুক্তকে ধরতে টালবাহানা করে পুলিশ, সেখানে ধর্ষণের অভিযোগে ধরা ব্যক্তির চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই এনকাউন্টারে মৃত্যু পুলিশের অতিসক্রিয়তাকেই তুলে ধরে। লখনউয়ের ডিসিপি সেন্ট্রাল আশিস শ্রীবাস্তব জানান, বুধবার ভোর রাতে ঘুমন্ত শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে টহলদার পুলিশকে বিষয়টি জানান শিশুটির মা।

আরও পড়ুন: লখনউতে পাখি, কুকুর নিধনে অনুমতি দিল না ইলাহাবাদ হাই কোর্ট

এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা যায়, এক দুষ্কৃতী স্কুটারে করে শিশুটিকে তুলে নিয়ে পালাচ্ছে। এরপরই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আশিস শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে পুলিশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অভিযুক্তের সন্ধান শুরু করে। অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় পুলিশের তরফে।

আরও পড়ুন: ডোরেমন আমাকে বাঁচিয়েছে, লখনউ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায়  মন্তব্য মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ৬ বছরের শিশু

সিসিটিভি দেখে স্কুটারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরীক্ষা করে শুক্রবার অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিশ। ডিসিপি আশিস শ্রীবাস্তবের বক্তব্য অভিযুক্তের সন্ধান ঘিরে ফেলার পরে তাকেআত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু ওই ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে। এরপর পুলিশের গুলিতে আহত হয় ওই অভিযুক্ত। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে পুলিশ।

অন্যদিকে অপহৃত শিশুটির যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার প্লাসটিক সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিসিপি জানিয়েছেন, ওই অভিযুক্তের নামে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, পকসো আইনে ওই অভিযুক্তের বিচারের আগেই পুলিশি এনকাউন্টারে তার মৃত্যু ঘটেছে। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত এবং পুলিশ উভয় পক্ষের হয়ে আইনি লড়াই কীভাবে হয়, বিচার কোন পথে যায়, সেটাই দেখার।