০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিন্দুকদের কড়া বার্তা সিরাজের

বাবার আটো চালনাই আমায় শক্তি দিয়েছে : সিরাজ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 101

পুবের কলম প্রতিবেদক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বুমরাহকে বাদ দিলে ভারতের একমাত্র অভিজ্ঞ পেসার মুহাম্মদ সিরাজ। ২০ তারিখ থেকে এজবাস্টনে শুরু হতে চলা ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে বুমরাহ খেলবেন কি না, তা নিয়ে একটা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

তিনি যদি না খেলেন তাহলে অভিজ্ঞ পেসার হিসেবে সব দায়িত্ব এসে বর্তাবে সিরাজের ওপর। হায়দরাবাদি পেসার তার জন্য তৈরি। কিন্তু এরই মধ্যে একটি বিষয় তাঁকে খুব যন্ত্রণা দিয়েছে। তা হল তিনি ব্যর্থ হলেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। এমনকী তাঁর মরহুম পিতার কর্ম পরিচয় নিয়েও তাঁকে বারবার খোঁটা খেতে হয়েছে। ধর্ম পরিচয় নিয়েও তাঁকে বারবার অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছে। ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে যা নিয়ে খুব বিরক্ত সিরাজ।

আরও পড়ুন: দুরন্ত সিরাজ-কুলদীপ, ইডেনে জয় ভারতের

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে সিরাজ লিখেছেন, ‘বারবার আমাকে নানান বিষয় নিয়ে খোঁটা খেতে হয়েছে। এমনকী আমার পিতা একজন পিতা একজন অটোচালক ছিলেন বলেও আমাকে কম কথা শুনতে হয়নি।’ নিজের পিতা মুহাম্মদ ঘাউসকে নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগি সিরাজ বলেন, ‘আমার বাবা একজন অটোচালক ছিলেন।

আরও পড়ুন: বুমরাহর জায়গায় সিরাজকে দলে নেওয়া হোক: গাভাসকর

কিন্তু তিনি আমার ভারতীয় দলে খেলা দেখে যেতে পারেননি। অটোচালক হওয়াটা কি অসম্মানের? আমার বাবার পেশা আমার কাছে কোনও ছোট কাজ মনে হয় না। বরং ওটাই আমার শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। বাবাই আমাকে শিখিয়েছেন, কীভাবে পরিশ্রম করা যায়। আমি ক্রিকেট খেলি নিজের যোগ্যতায়। সুতরাং কারও কথায় আমার কিছু যায় আসে না।’

আরও পড়ুন: ম্যাঞ্চেস্টারে সিরিজ জয়ের মধ্যে শ্যাম্পেন উদযাপন এড়ালেন সিরাজ, শামি

নিজের লড়াইয়ের কথা  বলতে গিয়ে সিরাজ বলেন, ‘আমি একটা সময় প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছি। খিদের জ্বালা আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে পরিশ্রম করতে হয়। যতবার অপমানিত হয়েছি, আমার মানসিক শক্তি, আমার জেদ তত বেড়েছে। কিন্তু অবাক হই, এটা দেখে, তারপরও আমার বদনাম করার জন্য একশ্রেণির মানুষ উঠে পড়ে লাগে। একটা সময় এগুলো আমায় দুঃখ দিত। এখনও যে দেয় না তা নয়, তবে এখন আর আমি এগুলো গায়ে মাখি না।’

সিরাজের আক্ষেপ, ‘বাবা চেয়েছিলেন একটা ভালো বাড়ি। ক্রিকেট খেলে আমি সেই বাড়ি বানাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বাবা তা দেখে যেতে পারলেন না। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আক্ষেপ।’ পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে সিরাজ যারপর নাই চেষ্টা করে গিয়েছেন। টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য হলেও বাকি দুই ধরনের ফরম্যাটে সিরাজ এখন ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য নন। তবে তাতে তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত নন। টেস্টে নিজেকে সেরা প্রতিপন্ন করতে মরিয়া মুহাম্মদ সিরাজ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিন্দুকদের কড়া বার্তা সিরাজের

বাবার আটো চালনাই আমায় শক্তি দিয়েছে : সিরাজ

আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বুমরাহকে বাদ দিলে ভারতের একমাত্র অভিজ্ঞ পেসার মুহাম্মদ সিরাজ। ২০ তারিখ থেকে এজবাস্টনে শুরু হতে চলা ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে বুমরাহ খেলবেন কি না, তা নিয়ে একটা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

তিনি যদি না খেলেন তাহলে অভিজ্ঞ পেসার হিসেবে সব দায়িত্ব এসে বর্তাবে সিরাজের ওপর। হায়দরাবাদি পেসার তার জন্য তৈরি। কিন্তু এরই মধ্যে একটি বিষয় তাঁকে খুব যন্ত্রণা দিয়েছে। তা হল তিনি ব্যর্থ হলেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। এমনকী তাঁর মরহুম পিতার কর্ম পরিচয় নিয়েও তাঁকে বারবার খোঁটা খেতে হয়েছে। ধর্ম পরিচয় নিয়েও তাঁকে বারবার অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছে। ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে যা নিয়ে খুব বিরক্ত সিরাজ।

আরও পড়ুন: দুরন্ত সিরাজ-কুলদীপ, ইডেনে জয় ভারতের

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে সিরাজ লিখেছেন, ‘বারবার আমাকে নানান বিষয় নিয়ে খোঁটা খেতে হয়েছে। এমনকী আমার পিতা একজন পিতা একজন অটোচালক ছিলেন বলেও আমাকে কম কথা শুনতে হয়নি।’ নিজের পিতা মুহাম্মদ ঘাউসকে নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগি সিরাজ বলেন, ‘আমার বাবা একজন অটোচালক ছিলেন।

আরও পড়ুন: বুমরাহর জায়গায় সিরাজকে দলে নেওয়া হোক: গাভাসকর

কিন্তু তিনি আমার ভারতীয় দলে খেলা দেখে যেতে পারেননি। অটোচালক হওয়াটা কি অসম্মানের? আমার বাবার পেশা আমার কাছে কোনও ছোট কাজ মনে হয় না। বরং ওটাই আমার শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। বাবাই আমাকে শিখিয়েছেন, কীভাবে পরিশ্রম করা যায়। আমি ক্রিকেট খেলি নিজের যোগ্যতায়। সুতরাং কারও কথায় আমার কিছু যায় আসে না।’

আরও পড়ুন: ম্যাঞ্চেস্টারে সিরিজ জয়ের মধ্যে শ্যাম্পেন উদযাপন এড়ালেন সিরাজ, শামি

নিজের লড়াইয়ের কথা  বলতে গিয়ে সিরাজ বলেন, ‘আমি একটা সময় প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছি। খিদের জ্বালা আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে পরিশ্রম করতে হয়। যতবার অপমানিত হয়েছি, আমার মানসিক শক্তি, আমার জেদ তত বেড়েছে। কিন্তু অবাক হই, এটা দেখে, তারপরও আমার বদনাম করার জন্য একশ্রেণির মানুষ উঠে পড়ে লাগে। একটা সময় এগুলো আমায় দুঃখ দিত। এখনও যে দেয় না তা নয়, তবে এখন আর আমি এগুলো গায়ে মাখি না।’

সিরাজের আক্ষেপ, ‘বাবা চেয়েছিলেন একটা ভালো বাড়ি। ক্রিকেট খেলে আমি সেই বাড়ি বানাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বাবা তা দেখে যেতে পারলেন না। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আক্ষেপ।’ পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে সিরাজ যারপর নাই চেষ্টা করে গিয়েছেন। টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য হলেও বাকি দুই ধরনের ফরম্যাটে সিরাজ এখন ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য নন। তবে তাতে তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত নন। টেস্টে নিজেকে সেরা প্রতিপন্ন করতে মরিয়া মুহাম্মদ সিরাজ।