পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:মনরেগা বা একশো দিনের কাজ (এমজিএনআরইজিএ) ধ্বংস করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। সোমবার এমনই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে তীর দেগেছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। প্রতিনিয়ত এই প্রকল্পের বরাদ্দে কাটছাঁট করে ‘সংবিধানের বিরুদ্ধে অপরাধ’ করছে কেন্দ্র সরকার বলেও তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সভাপতি। এ দিন এক এক্স পোস্টে খাড়গে দাবি করেন যে প্রথমবার সরকার মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম (এমজিএনআরইজিএস)-এর অধীনে ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে বার্ষিক বরাদ্দের ৬০ শতাংশ ব্যয় বেঁধে দিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, ‘মোদি সরকার গরিবদের জীবনরেখা এমজিএনআরইজিএ-কে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্র এখন বছরের প্রথম ৬ মাসের জন্য মনরেগা ব্যয়ের সীমা ৬০ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে। সংবিধান স্বীকৃত কাজের অধিকার সুনিশ্চিত করা এমজিএনআরইজিএ বাস্তবায়নে কাটছাঁট করা ‘সংবিধানের বিরুদ্ধে অপরাধ’।’

কংগ্রেসের প্রশ্ন, মোদি সরকার এই কাজ করছে কারণ তারা গরিবদের পকেট থেকে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ছিনিয়ে নিতে চায়। যা বছরের শেষে যখন চাহিদা বেশি থাকে তখন আগামী অর্থবছরে আলাদাভাবে খরচ করা হয়। খাগড়ে বলেন, ‘যেহেতু মনরেগা একটি চাহিদাপূর্ণ প্রকল্প, তাই বিপর্যয় বা প্রতিকূল আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে প্রথমার্ধে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে কী হবে? এই ধরনের ঊর্ধ্বসীমা আরোপ করা কি দরিoদের ক্ষতি করবে না, যারা তাদের জীবিকার জন্য এমজিএনআরইজিএ-র উপর নির্ভর করে?’ এরপরই কংগ্রেস সভাপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যগুলিতে কাজের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কি একশো দিনের কাজ দিতে অস্বীকার করবে, নাকি শ্রমিকদের বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করাবে? তাহলে কী হবে? এটা কি সত্যি নয় যে সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে মাত্র ৭ শতাংশ পরিবার প্রতিশ্রুতি মত একশো দিনের কাজ পেয়েছে?

আধার ভিত্তিক অর্থ প্রদানের শর্তে কেন প্রায় ৭ কোটি নথিভুক্ত শ্রমিককে মনরেগা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল? কেন মনরেগা বাজেট ১০ বছরে মোট বাজেটের মধ্যে সবচেয়ে কম বরাদ্দ করা হয়েছিল? গরিব বিরোধী মোদি সরকার কেন মনরেগা কর্মীদের উপর অত্যাচার করতে উঠেপড়ে লেগেছে বলেও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। মনরেগা প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের সমালোচনা করে খাগড়ে বলেন, এমজিএনআরইজিএ-তে ব্যয় হ্রাস করে প্রতিটি দরিদ্রের জীবনে গুরুতর আঘাত নামিয়ে এনেছে মোদি সরকার। আমরা দু’টি দাবিতে অনড়, প্রথমত, মনরেগা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দৈনিক ৪০০ টাকা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বছরে অন্তত ১৫০ দিন কাজ দিতে হবে।