সর্বভারতীয় মেডিকেল এন্টান্স পরীক্ষায় সফল জয়নগরের বহড়ুর মেধাবী ছাত্রী তিস্তা

- আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 52
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : জয়নগরের মেধাবী এক শিক্ষার্থী ২০২৫ এ সফল হয়ে সরকারি মেডিকেল কলেজে এম বি বি এস এ পড়ার সুযোগ পেল। কিন্তু তাদের পরিবারের আর্থিক সংকটের কারনে ভর্তি হওয়া এবং এম বি বি এস পড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত।কৃতি এই পড়ুয়া হলো তিস্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার বাবা সজল বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি একটি ছোট্ট দোকান চালায় এবং মাতা বনশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা।
তিস্তার বাড়ি জয়নগর থানার জয়নগর ১ নং ব্লকের বহড়ু ক্ষেত্র গ্রাম পঞ্চায়েতের বহড়ু মাঝের পাড়ায়।তিস্তা পঞ্চম শ্রেণী থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত দক্ষিন বারাশত শ্রী শ্রী সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতি ক্লাসে প্রথম হয়ে এসেছে।একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দক্ষিন বারাশত শিবদাস আচার্য হাইস্কুলে পড়াশোনা করে। ২০২৪ সালে এই স্কুল থেকে ৯৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে।
ছোট বেলা থেকে লেখাপড়ার প্রতি অদম্য জেদই আজ তাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।বাবার তেমন সামর্থ্য নেই।তাই স্থানীয় শিক্ষকদের কাছেই পড়াশোনা।আর বাবা, মা, ঠাকুমা,কাকা,কাকিমা,মাসি ও পরিবার পরিজনদের নিরন্তন সহযোগিতায় আজ সে এগিয়ে চলেছে। ২০২৫ অর্থাৎ এবছরের সর্বভারতীয় মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিট -এ তিস্তা ৭২০ এর মধ্যে ৫১৮ নম্বর পায়,এবং তার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তার র্যাঙ্ক ৩৪০৩৭।
ছোট বেলা থেকে তিস্তা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো,সেই মতো তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে এবার সরকারি কলেজে এম বি বি এস পড়ার সুযোগ পেল।কিন্তু তার পরিবার আর্থিক সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে।এব্যাপারে তিস্তা বলেন,ছোট থেকেই আমার একটাই ভাবনা আমি কবে এম বি বি এস পড়বো।ডাক্তার হবো।আমি ডাক্তার হয়ে গ্রামের প্রকৃত গরীব মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দোবো। তার শিক্ষকরা চান তিস্তা যেন ভবিষ্যতে মানব সেবায় নিয়োজিত আদর্শ চিকিৎসক হিসাবে সমাজের কল্যাণে অবদান রাখে।আর তার এই সাফল্যে খুশি জয়নগর থানা এলাকার মানুষ।