লখনউ: লুধিয়ানায় লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পঞ্জাব পুলিশ। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় উত্তরপ্রদেশের ধনেপুর থানা এলাকার একটি গ্রাম থেকে সুনীল কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে ট্রানজিট রিমান্ডে পঞ্জাবে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।

পঞ্জাবের লুধিয়ানায় বিয়ের মাত্র চার মাসের মধ্যে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। কারণ স্ত্রীর আগের বিয়ের কথা জানতে পেরে গিয়েছিল অভিযুক্ত স্বামী। আর তার জেরেই স্ত্রীকে খুন করে ভাড়াবাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মহল্লা ফতেহগঞ্জে। মৃতের নাম রাধিকা। মাত্র ৪ মাস আগেই রাধিকার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় সুনীলের। জানা গেছে, চার দিন আগে টিব্বা রোড থেকে ওই দম্পতি মহল্লা ফতেহগঞ্জের ভাড়াবাড়িতে উঠে আসেন। পুলিশের ধারণা, রবিবার রাধিকাকে শ্বাসরোধ করে সুনীল এবং তারপর দেহ কাপড়ের স্তূপের নিচে লুকিয়ে রাখে। কিন্তু কিছুদিন পর প্রতিবেশীরা সুনীলদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান।এরপরেই তারা বাড়িওয়ালা গুরবিন্দর কৌর এবং রাধিকার ভাই কৃষ্ণকে খবর দেন। তারাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ। পুলিশ এসে ওই বাড়ি থেকে রাধিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে। রাধিকার মৃত্যুর পর তার ভাই রাহুল পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং তার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।

অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শনিবার অবশেষে সুনীল কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুনীল ধনেপুর এলাকার খাজাজোত গ্রামের বাসিন্দা। লুধিয়ানায় তাঁর ২০ বছরের লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। পঞ্জাব পুলিশের প্রধান ইনস্পেক্টর আদিত্য শর্মা জানিয়েছেন, “সুনীল কাজের জন্য লুধিয়ানায় গিয়েছিলেন, সেখানেই রাধিকার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।”