১৪ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর আলোচনা শীঘ্রই শেষ হওয়া উচিত: মুখ্যমন্ত্রী

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 96

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেতে দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে আবদুল্লা সরকার। সেই দাবিকে ফের উস্কে দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শীঘ্রই শেষ করা উচিত। যাতে মানুষ তাদের দাবি অনুযায়ী পেতে পারে।

জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এনসিসি ডিরেক্টরেট আয়োজিত একটি বিশেষ জাতীয় সংহতকরণ শিবিরের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ফারুক আবদুল্লা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রশংসা করেন। ওমর আবদুল্লা স্পষ্ট করে বলেন, “আলোচনা হোক, এটা ভালো কথা। তবে আমরা চাই আলোচনা দ্রুত শেষ হোক। আশা করি আমাদের দাবি পূরণ হবে।”

আরও পড়ুন: গ্রেফতার দুই জঙ্গি, উদ্ধার অস্ত্র-গোলাবারুদ

জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ১০,৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেল সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পগুলি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বিশাল উৎসাহ দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ২০০৮-০৯ সালে সড়কটির কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে মুঘল রোড টানেলের প্রয়োজনীয়তা ছিল। মানুষ চেয়েছিল রাস্তাটি সারা বছর খোলা থাকুক। একইভাবে, তাংধরকে সংযুক্ত করার জন্য সাধনা পাসে একটি সুড়ঙ্গের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল যা অনুমোদিত হয়েছে। ১০,৬০০ কোটি টাকা নামমাত্র অঙ্ক নয়। এখন আমাদের আরও কিছু সুড়ঙ্গের জন্য চেষ্টা করতে হবে, যেমন গুরেজ, যেগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা বলেন, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (এনসিসি) সঙ্গে যুক্ত তরুণরা অনেক উপকৃত হয়। এতে নিয়মানুবর্তিতা, আত্মসচেতনতা, আত্মবিশ্বাস ও দেশপ্রেম জাগ্রত হয়, পাশাপাশি এমন কিছু সম্পর্ক গড়ে ওঠে যা তাদের আজীবন উপকারে আসে। এই তরুণরা তাদের অল্প বয়সে অনেক কিছু অর্জন করতে পারে। দশজন এনসিসি ক্যাডেট বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছিলেন, তাদের মধ্যে দুজন জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের – জম্মুর কাঠুয়া অঞ্চলের একটি ছেলে এবং লাদাখের একটি মেয়ে। এটি একটি বিশাল অর্জন। ওমর আবদুল্লার কথায়, “১৮ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের চূড়ায় বসা এনসিসিতে যোগ দেওয়ার পর তারা যে শৃঙ্খলা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে তা প্রমাণ করে। আমি চাই আরও তরুণরা এনসিসিতে যোগ দিক। আমি আশা করি তারা এখানে তাদের সময় উপভোগ করবে এবং যখন তারা বাড়ি ফিরবে, তখন তারা তাদের বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দের ছুটিতে কাশ্মীরে বেড়াতে যেতে বলবে।”

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর আলোচনা শীঘ্রই শেষ হওয়া উচিত: মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেতে দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে আবদুল্লা সরকার। সেই দাবিকে ফের উস্কে দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শীঘ্রই শেষ করা উচিত। যাতে মানুষ তাদের দাবি অনুযায়ী পেতে পারে।

জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এনসিসি ডিরেক্টরেট আয়োজিত একটি বিশেষ জাতীয় সংহতকরণ শিবিরের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ফারুক আবদুল্লা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রশংসা করেন। ওমর আবদুল্লা স্পষ্ট করে বলেন, “আলোচনা হোক, এটা ভালো কথা। তবে আমরা চাই আলোচনা দ্রুত শেষ হোক। আশা করি আমাদের দাবি পূরণ হবে।”

আরও পড়ুন: গ্রেফতার দুই জঙ্গি, উদ্ধার অস্ত্র-গোলাবারুদ

জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ১০,৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেল সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পগুলি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বিশাল উৎসাহ দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ২০০৮-০৯ সালে সড়কটির কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে মুঘল রোড টানেলের প্রয়োজনীয়তা ছিল। মানুষ চেয়েছিল রাস্তাটি সারা বছর খোলা থাকুক। একইভাবে, তাংধরকে সংযুক্ত করার জন্য সাধনা পাসে একটি সুড়ঙ্গের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল যা অনুমোদিত হয়েছে। ১০,৬০০ কোটি টাকা নামমাত্র অঙ্ক নয়। এখন আমাদের আরও কিছু সুড়ঙ্গের জন্য চেষ্টা করতে হবে, যেমন গুরেজ, যেগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা বলেন, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (এনসিসি) সঙ্গে যুক্ত তরুণরা অনেক উপকৃত হয়। এতে নিয়মানুবর্তিতা, আত্মসচেতনতা, আত্মবিশ্বাস ও দেশপ্রেম জাগ্রত হয়, পাশাপাশি এমন কিছু সম্পর্ক গড়ে ওঠে যা তাদের আজীবন উপকারে আসে। এই তরুণরা তাদের অল্প বয়সে অনেক কিছু অর্জন করতে পারে। দশজন এনসিসি ক্যাডেট বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছিলেন, তাদের মধ্যে দুজন জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের – জম্মুর কাঠুয়া অঞ্চলের একটি ছেলে এবং লাদাখের একটি মেয়ে। এটি একটি বিশাল অর্জন। ওমর আবদুল্লার কথায়, “১৮ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের চূড়ায় বসা এনসিসিতে যোগ দেওয়ার পর তারা যে শৃঙ্খলা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে তা প্রমাণ করে। আমি চাই আরও তরুণরা এনসিসিতে যোগ দিক। আমি আশা করি তারা এখানে তাদের সময় উপভোগ করবে এবং যখন তারা বাড়ি ফিরবে, তখন তারা তাদের বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দের ছুটিতে কাশ্মীরে বেড়াতে যেতে বলবে।”