আক্রা সফর শেষে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন মোদি
৩০ বছর পর ঘানা সফরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট : ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 135
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তিন দশকের মধ্যে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘানা সফরে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বুধবার দেশটির রাজধানী আক্রায় পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে নামার পরই নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামা। এছাড়াও দেশটির সেনাবাহিনীর এক প্রহরীর পাশাপাশি ঘানার ঐতিহ্যবাহী ড্রামার ও নৃত্যশিল্পীরাও প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান প্রদর্শন করেছে। ১৯৯৫ সালে শেষবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ঘানা সফরে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, ঘানার সংসদে ভাষণ দেবেন মোদি। আফ্রিকার বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। আক্রা সফর সেরে ক্যারিবিয়ান এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে সফরে যাবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তারপর আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল যাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আক্রায় থাকবেন মোদি। ৬ ও ৭ জুলাই রিও ডি জেনিরোতে উদীয়মান অর্থনীতির ব্রিকস গ্রুপের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতে ফেরার আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ায় যাত্রাবিরতি করবেন তিনি।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, গত মাসে কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন খেলোয়াড়ের মধ্যে ‘সেতুবন্ধন’ হিসেবে কাজ করেছিলেন মোদি। দেশ ছাড়ার আগে এক বিবৃতিতে মোদি ঘানাকে ‘গ্লোবাল সাউথের মূল্যবান অংশীদার’ উল্লেখ করে আফ্রিকান ইউনিয়ন ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্প্রদায়সহ আঞ্চলিক ব্লকগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য দুই পরাশক্তি চিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আফ্রিকায় অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জন্য চিন ও রাশিয়ার সাথে প্রতিযোগিতা করছে ভারতও। নয়াদিল্লি ঘানার অন্যতম প্রধান বাণিজ্য অংশীদার এবং ঘানার রফতানির জন্য শীর্ষস্থানীয় গন্তব্য। প্রাথমিকভাবে ভারতীয় সোনা আমদানির কারণে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৪-২০২৫ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৩.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ভারতে ঘানার প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, কোকো, কাজু বাদাম এবং কাঠ। অন্যদিকে ভারত ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি যন্ত্রপাতি, পরিবহন যানবাহন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, প্লাস্টিক, লোহা ও ইস্পাত এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় রফতানি করে। নয়াদিল্লি বলেছে, ঘানায় প্রায় ১৫ হাজার ভারতীয় বাস করেন। যাদের কেউ কেউ প্রায় ৭০ বছর আগে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ঘানায় রয়েছেন।





















