৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারুইপুর ও ক্যানিং-এ পুলিশ মর্গ তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হল স্বাস্থ্য দফতরে

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 142

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : বারুইপুর পুলিশ জেলার যে কোনও দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আর হয়ত কলকাতার মোমিনপুরে যেতে হবে না। এবার বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পুলিশ মর্গ ‌ চালুর জন্য আবেদন করা হলো স্বাস্থ্য দফতরে। মুলত বারুইপুর  হাসপাতালে পুলিশ মর্গ না থাকায় মৃতদের পরিবারের লোকজনকে গাঁটের কড়ি খরচ করে কলকাতার মোমিনপুরে পুলিস মর্গে যেতে হয়।এর ফলে অনেক সময়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থানায় আসতে দেরি হয়ে যায়।

বারুইপুর ও ক্যানিং হাসপাতালে পুলিস মর্গ চালু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। এ ব্যাপারে বারুইপুর মহকুমা  হাসপাতালের সুপার ডা:  ধীরাজ রায় বলেন, পুলিস মর্গের জন্য জায়গা পরিদর্শনও হয়ে গিয়েছে। সব কাগজপত্র জমাও পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঠিক পাশের জায়গা পুলিস মর্গের জন্য চিহ্নিত হয়েছে।

কয়েকদিন আগে এই জায়গা পরিদর্শনও করেছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের লোকজন। এই হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল সুন্দরবনের কুলতলি, মৈপীঠ থেকে শুরু করে জয়নগর, বিষ্ণুপুর, বারুইপুর, মগরাহাট এলাকার লোকজন। অন্যদিকে, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্ত্রী বিভাগের আউটডোর সংলগ্ন জায়গায় দুটি ঘর পুলিস মর্গের জন্য বাছা হয়েছে।

কিন্তু কয়েক মাস ধরে চিকিৎসকের অভাবে সেটি চালু করা যায়নি।তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল,  চিকিৎসকের এই সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটে যাবে। এই হাসপাতালের উপরে সুন্দরবনের ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তীর মানুষ নির্ভরশীল। তাই যত  তাড়াতাড়ি পুলিশ মর্গ চালু হলে সমস্যা মিটবে এই সমস্ত এলাকার মানুষ দের।আর পুলিশের তদন্তের কাজ ও আরও তাড়াতাড়ি হবে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারুইপুর ও ক্যানিং-এ পুলিশ মর্গ তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হল স্বাস্থ্য দফতরে

আপডেট : ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : বারুইপুর পুলিশ জেলার যে কোনও দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আর হয়ত কলকাতার মোমিনপুরে যেতে হবে না। এবার বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পুলিশ মর্গ ‌ চালুর জন্য আবেদন করা হলো স্বাস্থ্য দফতরে। মুলত বারুইপুর  হাসপাতালে পুলিশ মর্গ না থাকায় মৃতদের পরিবারের লোকজনকে গাঁটের কড়ি খরচ করে কলকাতার মোমিনপুরে পুলিস মর্গে যেতে হয়।এর ফলে অনেক সময়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থানায় আসতে দেরি হয়ে যায়।

বারুইপুর ও ক্যানিং হাসপাতালে পুলিস মর্গ চালু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। এ ব্যাপারে বারুইপুর মহকুমা  হাসপাতালের সুপার ডা:  ধীরাজ রায় বলেন, পুলিস মর্গের জন্য জায়গা পরিদর্শনও হয়ে গিয়েছে। সব কাগজপত্র জমাও পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঠিক পাশের জায়গা পুলিস মর্গের জন্য চিহ্নিত হয়েছে।

কয়েকদিন আগে এই জায়গা পরিদর্শনও করেছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের লোকজন। এই হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল সুন্দরবনের কুলতলি, মৈপীঠ থেকে শুরু করে জয়নগর, বিষ্ণুপুর, বারুইপুর, মগরাহাট এলাকার লোকজন। অন্যদিকে, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্ত্রী বিভাগের আউটডোর সংলগ্ন জায়গায় দুটি ঘর পুলিস মর্গের জন্য বাছা হয়েছে।

কিন্তু কয়েক মাস ধরে চিকিৎসকের অভাবে সেটি চালু করা যায়নি।তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল,  চিকিৎসকের এই সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটে যাবে। এই হাসপাতালের উপরে সুন্দরবনের ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তীর মানুষ নির্ভরশীল। তাই যত  তাড়াতাড়ি পুলিশ মর্গ চালু হলে সমস্যা মিটবে এই সমস্ত এলাকার মানুষ দের।আর পুলিশের তদন্তের কাজ ও আরও তাড়াতাড়ি হবে।