২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইতিহাসে প্রথমবার, মক্কার জুমার খুতবা সম্প্রচারিত হল ৩৫টি ভাষায়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 198

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইসলামি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারা মে অনুষ্ঠিত জুমার খুতবা একযোগে বিশ্বের ৩৫টি ভাষায় সরাসরি অনুবাদ করে সম্প্রচার করা হল। শুক্রবার এই ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করেন সউদি আরবের ধর্ম বিষয়ক প্রেসিডেন্সির প্রধান এবং পবিত্র মসজিদের ইমাম, শেখ আবদুর রহমান আস-সুদাইস।

খুতবার সরাসরি অনুবাদ ও সম্প্রচারের এই উদ্যোগটি নিয়েছে সউদি আরবের ধর্ম বিষয়ক প্রেসিডেন্সি। প্রেসিডেন্সির জনসংযোগ বিভাগের সাধারণ তত্ত্বাবধায়ক ফাহিম আল-হামিদ জানিয়েছেন, কোটি কোটি মুসলমানের কাছে খুতবার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, তভাষা যেন আর আর অন্তরায় না হয়। আমরা চাই, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে থাকা মুসলমান নিজ মাতৃভাষায় এই গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বার্তা বুঝতে পারেন। এই উদ্যোগ বিশ্ব মুসলিম সমাজের মধ্যে আন্তঃসংযোগ গড়ে তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন  সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।

আরও পড়ুন: ১ লা মহররমে পরিবর্তন হবে কাবার কিসওয়া

এই বছর খুতবাটি শুধুমাত্র আরবি ভাষা থেকে সরাসরি অনূদিত হয়েছে ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ফার্সি, তুর্কি, ফরাসি, জার্মান, রুশ, চাইনিজ, মালয়, তামিল, সোয়াহিলিসহ মোট ৩৫টি ভাষায়। লাইভ অনুবাদের কাজটি সম্পন্ন করেন দক্ষ অনুবাদক এবং প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশাল দল। অনুবাদগুলো ইউটিউব, অ্যাপ এবং সরকারি ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, পাশাপাশি মসজিদের অভ্যন্তরে ও বাইরের পর্দাতেও ভেসে ওঠে।

আরও পড়ুন: দু’বছর পর ইতিকাফ ও সম্মিলিত ইফতারের অনুমতি মক্কা ও মদীনার দুই পবিত্র মসজিদে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্মীয় সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এটি এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করে সউদি আরব ইসলামি বার্তাকে সর্বজনগ্রাহ্য করতে যে ভূমিকা নিচ্ছে, তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে।  উল্লেখযোগ্যভাবে, এই খুতবা শুধুই একটি ধর্মীয় উপদেশ নয়, বরং বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্য, সহিষ্ণুতা ও মানবতার বার্তা বহন করে। তাই খুতবাটি নিজ নিজ ভাষায় অনুধাবন করার সুযোগ মুসলমানদের জন্য এক গভীর আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইতিহাসে প্রথমবার, মক্কার জুমার খুতবা সম্প্রচারিত হল ৩৫টি ভাষায়

আপডেট : ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইসলামি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারা মে অনুষ্ঠিত জুমার খুতবা একযোগে বিশ্বের ৩৫টি ভাষায় সরাসরি অনুবাদ করে সম্প্রচার করা হল। শুক্রবার এই ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করেন সউদি আরবের ধর্ম বিষয়ক প্রেসিডেন্সির প্রধান এবং পবিত্র মসজিদের ইমাম, শেখ আবদুর রহমান আস-সুদাইস।

খুতবার সরাসরি অনুবাদ ও সম্প্রচারের এই উদ্যোগটি নিয়েছে সউদি আরবের ধর্ম বিষয়ক প্রেসিডেন্সি। প্রেসিডেন্সির জনসংযোগ বিভাগের সাধারণ তত্ত্বাবধায়ক ফাহিম আল-হামিদ জানিয়েছেন, কোটি কোটি মুসলমানের কাছে খুতবার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, তভাষা যেন আর আর অন্তরায় না হয়। আমরা চাই, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে থাকা মুসলমান নিজ মাতৃভাষায় এই গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বার্তা বুঝতে পারেন। এই উদ্যোগ বিশ্ব মুসলিম সমাজের মধ্যে আন্তঃসংযোগ গড়ে তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন  সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।

আরও পড়ুন: ১ লা মহররমে পরিবর্তন হবে কাবার কিসওয়া

এই বছর খুতবাটি শুধুমাত্র আরবি ভাষা থেকে সরাসরি অনূদিত হয়েছে ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ফার্সি, তুর্কি, ফরাসি, জার্মান, রুশ, চাইনিজ, মালয়, তামিল, সোয়াহিলিসহ মোট ৩৫টি ভাষায়। লাইভ অনুবাদের কাজটি সম্পন্ন করেন দক্ষ অনুবাদক এবং প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশাল দল। অনুবাদগুলো ইউটিউব, অ্যাপ এবং সরকারি ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, পাশাপাশি মসজিদের অভ্যন্তরে ও বাইরের পর্দাতেও ভেসে ওঠে।

আরও পড়ুন: দু’বছর পর ইতিকাফ ও সম্মিলিত ইফতারের অনুমতি মক্কা ও মদীনার দুই পবিত্র মসজিদে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্মীয় সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এটি এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করে সউদি আরব ইসলামি বার্তাকে সর্বজনগ্রাহ্য করতে যে ভূমিকা নিচ্ছে, তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে।  উল্লেখযোগ্যভাবে, এই খুতবা শুধুই একটি ধর্মীয় উপদেশ নয়, বরং বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্য, সহিষ্ণুতা ও মানবতার বার্তা বহন করে। তাই খুতবাটি নিজ নিজ ভাষায় অনুধাবন করার সুযোগ মুসলমানদের জন্য এক গভীর আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা।