১৯ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত, ১৮ কিলোমিটার ছাই স্তূপ তৈরি হয়

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার
  • / 211

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় ফের জেগে উঠেছে মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয়গিরির ফলে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাইয়ের স্তূপ তৈরি হয়। আগ্নেয়গিরির কাছের গ্রামগুলিতে ছাই ভরে গেছে। ফ্লোরেসের ১ হাজার ৫৮৪ মিটার উঁচু দ্বি-শৃঙ্গযুক্ত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি স্থানীয় সময় সকাল ১১ টা ৫ মিনিট নাগাদ জেগে ওঠে বলে সূত্রের খবর।

ভলকানো নামে একটি সংস্থা জানিয়েছে, “লেওটোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। দেখা গেছে ছাইয়ের স্তম্ভের উচ্চতা শিখর থেকে প্রায় ১৮,০০০ মিটার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।” আগ্নেয়গিরি অগ্নৎপাতের ফলে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকিতে বিস্ফোরক অগ্ন্যুৎপাত এবং ক্রমাগত কম্পন লক্ষ্য করা গেছে”।

তিনি বাসিন্দাদের আগ্নেয়গিরি থেকে নিরাপদ দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কমপক্ষে ছয় কিলোমিটার (৩.৭ মাইল) দূরে থাকার এবং আগ্নেয়গিরির ছাই থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মুখোশ পরার পরামর্শ দিয়েছেন।  গত মাসে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর বালিতে আসা কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল। আগ্নেয়গিরির ছাই বৃষ্টির জন্য পাশের একটি গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় আবাসিক স্কুল ধসে মৃত ৩৭, এখনো নিখোঁজ ২৬

গত বছরের নভেম্বর মাসেও মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি একাধিকবার অগ্নুৎপাত হয়। এর ফলে ৯ জন নিহত হন। হাজার হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়। বালিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়।সোমবার অগ্ন্যুৎপাতের পর এখনও পর্যন্ত কোনও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বাড়ছে বিক্ষোভ, রাজধানীতে সেনা মোতায়েন

লাকি-লাকি, ইন্দোনেশীয় ভাষায় যার অর্থ পুরুষ।  ১,৭০৩-মিটার উঁচু আরেকটি আগ্নেয়গিরি রয়েছ। যার নাম পেরেম্পুয়ান, ইন্দোনেশীয় শব্দের অর্থ নারী।বিশাল দ্বীপপুঞ্জের দেশ ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের “আগুনের বলয়”-এ অবস্থানের কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ থেকে ভারসাম্য রক্ষায় ইন্দোনেশিয়ার নতুন কৌশল

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত, ১৮ কিলোমিটার ছাই স্তূপ তৈরি হয়

আপডেট : ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় ফের জেগে উঠেছে মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয়গিরির ফলে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাইয়ের স্তূপ তৈরি হয়। আগ্নেয়গিরির কাছের গ্রামগুলিতে ছাই ভরে গেছে। ফ্লোরেসের ১ হাজার ৫৮৪ মিটার উঁচু দ্বি-শৃঙ্গযুক্ত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি স্থানীয় সময় সকাল ১১ টা ৫ মিনিট নাগাদ জেগে ওঠে বলে সূত্রের খবর।

ভলকানো নামে একটি সংস্থা জানিয়েছে, “লেওটোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। দেখা গেছে ছাইয়ের স্তম্ভের উচ্চতা শিখর থেকে প্রায় ১৮,০০০ মিটার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।” আগ্নেয়গিরি অগ্নৎপাতের ফলে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকিতে বিস্ফোরক অগ্ন্যুৎপাত এবং ক্রমাগত কম্পন লক্ষ্য করা গেছে”।

তিনি বাসিন্দাদের আগ্নেয়গিরি থেকে নিরাপদ দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কমপক্ষে ছয় কিলোমিটার (৩.৭ মাইল) দূরে থাকার এবং আগ্নেয়গিরির ছাই থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মুখোশ পরার পরামর্শ দিয়েছেন।  গত মাসে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর বালিতে আসা কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল। আগ্নেয়গিরির ছাই বৃষ্টির জন্য পাশের একটি গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় আবাসিক স্কুল ধসে মৃত ৩৭, এখনো নিখোঁজ ২৬

গত বছরের নভেম্বর মাসেও মাউন্ট লেওটোবি লাকি লাকি একাধিকবার অগ্নুৎপাত হয়। এর ফলে ৯ জন নিহত হন। হাজার হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়। বালিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়।সোমবার অগ্ন্যুৎপাতের পর এখনও পর্যন্ত কোনও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বাড়ছে বিক্ষোভ, রাজধানীতে সেনা মোতায়েন

লাকি-লাকি, ইন্দোনেশীয় ভাষায় যার অর্থ পুরুষ।  ১,৭০৩-মিটার উঁচু আরেকটি আগ্নেয়গিরি রয়েছ। যার নাম পেরেম্পুয়ান, ইন্দোনেশীয় শব্দের অর্থ নারী।বিশাল দ্বীপপুঞ্জের দেশ ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের “আগুনের বলয়”-এ অবস্থানের কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ থেকে ভারসাম্য রক্ষায় ইন্দোনেশিয়ার নতুন কৌশল