২১ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ভারতীয় নভশ্চর, মিশন নিয়ে ইসরো প্রধানের সঙ্গে কথা শুক্লার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 118

নয়াদিল্লি: ৪১ বছর পর অন্তরীক্ষে পাড়ি দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা। স্পেসএক্স-এর তৈরি ড্রাগনে চেপে আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন শুভাংশু-সহ চার মহাকাশচারী। ২৫ জুন রাকেশ শর্মার পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের অংশ হয়ে মহাকাশ পৌঁছান গ্রুপ ক্যাপটেন শুক্লা। ২৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নগাদ ‘ডকিং’ প্রক্রিয়া’ সম্পূর্ণ হয় ড্রাগন নাম্নী মহাকাশযানের। তারপরই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পা রাখেন শুভাংশু। বর্তমানে তিনি আইএসএস-এ ১৪ দিনের এক বিশেষ বৈজ্ঞানিক অভিযানে রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) থেকে ইসরো প্রধান ভি নারায়ণনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। ইসরো সূত্রে খবর, ৬ জুলাই বিকেলে ইসরো প্রধানকে ফোন করেছিলেন শুক্লা। আইএসএস-এ তাঁর নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে টিম ইসরোর প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। ভারতীয় মহাকাশচারীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন ইসরো প্রধান। একইসঙ্গে মিশনের অধীনে বর্তমানে যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগুলি চলছে, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন শুক্লা-নারায়ণন। ইসরো প্রধান নারায়ণন জানান, এই গবেষণাগুলির ফলাফল আগামী দিনে ভারতের মহাকাশ অভিযান, বিশেষ করে গগনযান কর্মসূচির অগ্রগতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আরও পড়ুন: ইসরো চেয়ারম্যানের জোরাজুরিতে এড়ানো গেছে দূর্ঘটনা জানালেন Shubhansh Shukla

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ভি নারায়ণন শুক্লার পৃথিবীতে ফিরে আসার পরে সমস্ত পরীক্ষা এবং ক্রিয়াকলাপ নিখুঁতভাবে নথিভুক্ত করার তাত তাৎপর্যের উপর জোর দেন। কারণ এটি ভারতের মানব স্পেসফ্লাইট প্রোগ্রাম, গগনযানের বিকাশের জন্য মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি এবং তথ্য সরবরাহ করবে। ইসরোর মতে, গগনযান কর্মসূচির লক্ষ্য পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে একটি মনুষ্যবাহী মহাকাশযান চালু করার ভারতের ক্ষমতা প্রদর্শন করা এবং এই মিশন থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান এর সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। ইসরো-অ্যাক্সিওম স্পেসফ্লাইট চুক্তির আওতায় শুভাংশু শুক্লার আইএসএস মিশনটি কার্যকর করা হয়েছে।

শুভাংশু শুক্লা সঙ্গে আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন ইসরোর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। যার মধ্যে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের (ভিএসএসসি) পরিচালক এবং হিউম্যান স্পেস প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. উন্নিকৃষ্ণন নায়ার; মোহন, লিকুইড প্রোপালশন সিস্টেমস সেন্টারের (এলপিএসসি) পরিচালক মো. ইসরো ইনার্শিয়াল সিস্টেমস ইউনিটের (আইআইএসইউ) পরিচালক পদ্মকুমার ই এস; ইসরোর বৈজ্ঞানিক সচিব এম গণেশ পিল্লাই, এন ভেদাচালাম, এলপিএসসির প্রাক্তন পরিচালক।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ভারতীয় নভশ্চর, মিশন নিয়ে ইসরো প্রধানের সঙ্গে কথা শুক্লার

আপডেট : ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

নয়াদিল্লি: ৪১ বছর পর অন্তরীক্ষে পাড়ি দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা। স্পেসএক্স-এর তৈরি ড্রাগনে চেপে আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন শুভাংশু-সহ চার মহাকাশচারী। ২৫ জুন রাকেশ শর্মার পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের অংশ হয়ে মহাকাশ পৌঁছান গ্রুপ ক্যাপটেন শুক্লা। ২৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নগাদ ‘ডকিং’ প্রক্রিয়া’ সম্পূর্ণ হয় ড্রাগন নাম্নী মহাকাশযানের। তারপরই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পা রাখেন শুভাংশু। বর্তমানে তিনি আইএসএস-এ ১৪ দিনের এক বিশেষ বৈজ্ঞানিক অভিযানে রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) থেকে ইসরো প্রধান ভি নারায়ণনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। ইসরো সূত্রে খবর, ৬ জুলাই বিকেলে ইসরো প্রধানকে ফোন করেছিলেন শুক্লা। আইএসএস-এ তাঁর নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে টিম ইসরোর প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। ভারতীয় মহাকাশচারীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন ইসরো প্রধান। একইসঙ্গে মিশনের অধীনে বর্তমানে যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগুলি চলছে, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন শুক্লা-নারায়ণন। ইসরো প্রধান নারায়ণন জানান, এই গবেষণাগুলির ফলাফল আগামী দিনে ভারতের মহাকাশ অভিযান, বিশেষ করে গগনযান কর্মসূচির অগ্রগতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আরও পড়ুন: ইসরো চেয়ারম্যানের জোরাজুরিতে এড়ানো গেছে দূর্ঘটনা জানালেন Shubhansh Shukla

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ভি নারায়ণন শুক্লার পৃথিবীতে ফিরে আসার পরে সমস্ত পরীক্ষা এবং ক্রিয়াকলাপ নিখুঁতভাবে নথিভুক্ত করার তাত তাৎপর্যের উপর জোর দেন। কারণ এটি ভারতের মানব স্পেসফ্লাইট প্রোগ্রাম, গগনযানের বিকাশের জন্য মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি এবং তথ্য সরবরাহ করবে। ইসরোর মতে, গগনযান কর্মসূচির লক্ষ্য পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে একটি মনুষ্যবাহী মহাকাশযান চালু করার ভারতের ক্ষমতা প্রদর্শন করা এবং এই মিশন থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান এর সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। ইসরো-অ্যাক্সিওম স্পেসফ্লাইট চুক্তির আওতায় শুভাংশু শুক্লার আইএসএস মিশনটি কার্যকর করা হয়েছে।

শুভাংশু শুক্লা সঙ্গে আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন ইসরোর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। যার মধ্যে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের (ভিএসএসসি) পরিচালক এবং হিউম্যান স্পেস প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. উন্নিকৃষ্ণন নায়ার; মোহন, লিকুইড প্রোপালশন সিস্টেমস সেন্টারের (এলপিএসসি) পরিচালক মো. ইসরো ইনার্শিয়াল সিস্টেমস ইউনিটের (আইআইএসইউ) পরিচালক পদ্মকুমার ই এস; ইসরোর বৈজ্ঞানিক সচিব এম গণেশ পিল্লাই, এন ভেদাচালাম, এলপিএসসির প্রাক্তন পরিচালক।