২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগস্ট থেকে পুরো দেশজুড়ে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার
  • / 236

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিহারের পর এবার দেশজুড়ে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (‘স্পেশ্যাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’ বা এসআইআর)-এর কাজ শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট এসআইআরকে ‘সাংবিধানিক আদেশ’ বলে অভিহিত করে বিহারে নির্বাচন কমিশনকে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার পরই দেশজুড়ে এসআইআর-এর কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বলা বাহুল্য, সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে ভুয়ো ভোটার রুখতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যার পোশাকি নাম ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী-সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানায় ভোটার তালিকার ছবির অপব্যবহারের অভিযোগ

 

আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ভোটার তালিকার এস আই আর -এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস

তারা বলেছে, যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটদানের অধিকার পান, সেটা নিশ্চিত করতেই এই সংশোধনী। তবে বিহারের পরে এক এক করে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হবে বলেই এদিন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগস্ট থেকেই সেই কাজ শুরু করবে বলেই এদিন জানানো হয়েছে। যদিও এসআইআরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিহারের ভোট মিটলেই পরের বছরের শুরুর দিকে অসম, কেরল, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গ – এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।

আরও পড়ুন: বিহারে ভোটার তালিকা বিতর্ক: নোটিস ছাড়া নাম বাদ নয় – আশ্বাস নির্বাচন কমিশনের

কমিশন জানায়, বিহারে ২০০৩ সালে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনে জানা গিয়েছিল, সেই সময় ভোটার সংখ্যা ছিল ৪.৯৬ কোটি। আর বর্তমানে ৭,৮৯,৬৯,৮৪৪ জন ভোটার রয়েছেন। এই সকল মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি এনুমারেশন ফর্ম (ইএফ) দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের নাম পুরনো তালিকায় রয়েছে তাঁদের শুধু ইএফ ফর্মটি পূরণ করে জমা দিলেই হবে। আলাদা করে অতিরিক্ত কোনও নথি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যাঁরা নতুন, তাঁদের ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’-এর সঙ্গে নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ বাড়তি নথি জমা দিতে হবে।

আরও জানানো হয়েছে, যে সমস্ত ভোটার ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের জন্ম তারিখ অথবা জন্মস্থানের সপক্ষে তালিকায় উল্লিখিত ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি জমা দিতে হবে। ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের জন্ম তারিখ অথবা জন্মস্থানের প্রমাণস্বরূপ একটি নথি এবং তাঁদের বাবা কিংবা মায়ের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের প্রমাণ রয়েছে এমন একটি নথি জমা দিতে হবে। যে সব ভোটার ২ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখের পরে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নিজের জন্ম তারিখ ও জন্মস্থানের প্রমাণ হিসাবে যে কোনও একটি নথি এবং বাবা-মায়ের জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান প্রমাণের নথি জমা দিতে হবে। যদি কারও বাবা কিংবা মা ভারতীয় না হন, সে ক্ষেত্রে তাঁর পাসপোর্ট ও সন্তান জন্মের

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আগস্ট থেকে পুরো দেশজুড়ে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিহারের পর এবার দেশজুড়ে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (‘স্পেশ্যাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’ বা এসআইআর)-এর কাজ শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট এসআইআরকে ‘সাংবিধানিক আদেশ’ বলে অভিহিত করে বিহারে নির্বাচন কমিশনকে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার পরই দেশজুড়ে এসআইআর-এর কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বলা বাহুল্য, সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে ভুয়ো ভোটার রুখতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যার পোশাকি নাম ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী-সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানায় ভোটার তালিকার ছবির অপব্যবহারের অভিযোগ

 

আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ভোটার তালিকার এস আই আর -এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস

তারা বলেছে, যাতে শুধুমাত্র যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটদানের অধিকার পান, সেটা নিশ্চিত করতেই এই সংশোধনী। তবে বিহারের পরে এক এক করে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হবে বলেই এদিন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগস্ট থেকেই সেই কাজ শুরু করবে বলেই এদিন জানানো হয়েছে। যদিও এসআইআরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিহারের ভোট মিটলেই পরের বছরের শুরুর দিকে অসম, কেরল, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গ – এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।

আরও পড়ুন: বিহারে ভোটার তালিকা বিতর্ক: নোটিস ছাড়া নাম বাদ নয় – আশ্বাস নির্বাচন কমিশনের

কমিশন জানায়, বিহারে ২০০৩ সালে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনে জানা গিয়েছিল, সেই সময় ভোটার সংখ্যা ছিল ৪.৯৬ কোটি। আর বর্তমানে ৭,৮৯,৬৯,৮৪৪ জন ভোটার রয়েছেন। এই সকল মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি এনুমারেশন ফর্ম (ইএফ) দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের নাম পুরনো তালিকায় রয়েছে তাঁদের শুধু ইএফ ফর্মটি পূরণ করে জমা দিলেই হবে। আলাদা করে অতিরিক্ত কোনও নথি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যাঁরা নতুন, তাঁদের ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’-এর সঙ্গে নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ বাড়তি নথি জমা দিতে হবে।

আরও জানানো হয়েছে, যে সমস্ত ভোটার ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের জন্ম তারিখ অথবা জন্মস্থানের সপক্ষে তালিকায় উল্লিখিত ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি জমা দিতে হবে। ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের জন্ম তারিখ অথবা জন্মস্থানের প্রমাণস্বরূপ একটি নথি এবং তাঁদের বাবা কিংবা মায়ের জন্মতারিখ অথবা জন্মস্থানের প্রমাণ রয়েছে এমন একটি নথি জমা দিতে হবে। যে সব ভোটার ২ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখের পরে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নিজের জন্ম তারিখ ও জন্মস্থানের প্রমাণ হিসাবে যে কোনও একটি নথি এবং বাবা-মায়ের জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান প্রমাণের নথি জমা দিতে হবে। যদি কারও বাবা কিংবা মা ভারতীয় না হন, সে ক্ষেত্রে তাঁর পাসপোর্ট ও সন্তান জন্মের