১৮ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ৩১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাখাইনে ভয়াবহ সংঘর্ষ: নৌঘাঁটির দিকে অগ্রসর আরাকান আর্মি

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 118

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কিয়াকফিউতে জান্তা বাহিনীর দানইয়াওয়াডি নৌঘাঁটির কাছের একটি সামরিক চৌকি ঘিরে রেখেছে আরাকান আর্মি (এএ)। চৌকিটি নৌঘাঁটি থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গত ছয় দিন ধরে টানা সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতী।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘাঁটি পতন হলে জান্তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ভাঙন দেখা দিতে পারে। এখন পর্যন্ত রাখাইনের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৪টির নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে।

সংঘর্ষের মধ্যে জান্তা বাহিনী ব্যাপক ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, চীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ড্রোন অপারেটরদের মাধ্যমে এই হামলা আরও কার্যকর করা হচ্ছে। ড্রোন হামলায় বেসামরিক হতাহতের খবর মিলেছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে জান্তার সৈন্যরাও নিজেদের হামলায় আহত বা নিহত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যে দীর্ঘদিন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা নওংখিও শহরের দখল পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে জান্তা বাহিনী। শহরটি মান্দালয়-লাশিও-মুসে বাণিজ্যপথের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এর নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুরো অঞ্চল থেকে বিদ্রোহী বাহিনীকে হটাতে আরও বড় সামরিক অভিযান লাগবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও নির্বিচার বোমাবর্ষণে ৪০টিরও বেশি গ্রামের ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রাখাইনে এখন জান্তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কেবল তিনটি শহর—রাজধানী সিতওয়ে, কিয়াকফিউ ও মানাউং। এর বাইরে প্রতিবেশী মগওয়ে, বাগো ও আয়েয়ারওয়াদ্দি অঞ্চলেও বিদ্রোহীরা নতুন এলাকা দখল করছে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাখাইনে ভয়াবহ সংঘর্ষ: নৌঘাঁটির দিকে অগ্রসর আরাকান আর্মি

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কিয়াকফিউতে জান্তা বাহিনীর দানইয়াওয়াডি নৌঘাঁটির কাছের একটি সামরিক চৌকি ঘিরে রেখেছে আরাকান আর্মি (এএ)। চৌকিটি নৌঘাঁটি থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গত ছয় দিন ধরে টানা সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতী।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘাঁটি পতন হলে জান্তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ভাঙন দেখা দিতে পারে। এখন পর্যন্ত রাখাইনের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৪টির নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে।

সংঘর্ষের মধ্যে জান্তা বাহিনী ব্যাপক ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, চীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ড্রোন অপারেটরদের মাধ্যমে এই হামলা আরও কার্যকর করা হচ্ছে। ড্রোন হামলায় বেসামরিক হতাহতের খবর মিলেছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে জান্তার সৈন্যরাও নিজেদের হামলায় আহত বা নিহত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যে দীর্ঘদিন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা নওংখিও শহরের দখল পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে জান্তা বাহিনী। শহরটি মান্দালয়-লাশিও-মুসে বাণিজ্যপথের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এর নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুরো অঞ্চল থেকে বিদ্রোহী বাহিনীকে হটাতে আরও বড় সামরিক অভিযান লাগবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও নির্বিচার বোমাবর্ষণে ৪০টিরও বেশি গ্রামের ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রাখাইনে এখন জান্তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কেবল তিনটি শহর—রাজধানী সিতওয়ে, কিয়াকফিউ ও মানাউং। এর বাইরে প্রতিবেশী মগওয়ে, বাগো ও আয়েয়ারওয়াদ্দি অঞ্চলেও বিদ্রোহীরা নতুন এলাকা দখল করছে।