০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট মুখ্যমন্ত্রীর

ডিভিসি-র “বন্যা নিয়ন্ত্রণ” আবারও বাংলাকে ‘ডুবিয়ে’

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
  • / 27

আবদুল ওদুদ : দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন অর্থাৎ ডিভিসির অতিরিক্ত জল ছাড়া নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে তো ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালে টুইট করি বিবিসির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটি তাদের সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গেছে।

এরা বাংলাকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারছে না বিভিন্ন দিক দিয়ে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাচ্ছে। এক্স্য হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ডিভিসি-র “বন্যা নিয়ন্ত্রণ” আবারও বাংলাকে ‘ডুবিয়ে’ দিয়েছে। ডিভিসি-র এবারের ব্যর্থতা শুধু অন্যান্যবারের থেকে বেশিই নয়, অভূতপূর্ব।

আরও পড়ুন: কুচকাওয়াজের মহড়া উপলক্ষ্যে বন্ধ থাকবে শহরের বেশ কিছু রাস্তা, জানাল পুলিশ

এক্স হ্যান্ডেলের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,” স্পষ্টতই, কেন্দ্রের দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটি ক্রমশ আরো বেশি বেশি করে বাংলা-বিরোধী হয়ে উঠছে। সারা ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলা-বিরোধী পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিস্থিতিকে দেখতে হবে। ”

আরও পড়ুন: ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রথম দিনেই ৬৩২ শিবিরে কাজ শুরু, ট্যুইট করে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি বলেন,”২০২৪ সালের তুলনায় এ বছর ডিভিসি-র জল ছাড়ার পরিমাণ ১১ গুণ বেড়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় বেড়েছে ৩০ গুণ!! দক্ষিণবঙ্গে বন্যা ঘটানোর জন্য এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। এটি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বাংলাকে বিপদে ফেলার জন্য এটা আরো বেশি বেশি করে ঘটাতে থাকা ম্যান-মেড বিপর্যয়।” তিনি গত কয়েক বছরের একটি তথ্য তুলে ধরে বলেন, তথ্যই সব বলে দিচ্ছে ২০২৪ সালের জুন ও জুলাই মাসে ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হয়েছে: ৪,৫৩৫ লক্ষ কিউবিক মিটার।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে কলকাতায় মেসি

২০২৫ সালের জুন ও জুলাই মাসে ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হয়েছে: ৫০,২৮৭ লক্ষ কিউবিক মিটার। এই বছর এই বিপুল ও নজিরবিহীন পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিধ্বস্ত হয়েছে, বিপুল ফসল নষ্ট হয়েছে, প্রচুর বাঁধ ভেঙেছে, অসংখ্য রাস্তা ভেঙেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে – তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
বাংলায় বন্যা ঘটানোর জন্য জল ছাড়ার পরিমাণ যেভাবে ক্রমাগত বাড়ছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও উদ্বেগজনক। এর মধ্যে আমি স্পষ্টই গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বলেন, অবিলম্বে এসব বন্ধ হওয়া দরকার।

প্রসঙ্গত, মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে ডিভিসি যেভাবে জল ছাড়ছে তাতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা যেমন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া একটি বিশেষ এলাকা ,হুগলির সহ আরো কয়েকটি জেলা ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ লক্ষ জমি জমির ফসল।

ডিভিসি রাজ্যকে না জানিয়ে একাধিকবার জল ছেড়েছে ।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শেচ দপ্তরের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল সেখানে পর্যবেক্ষণ করছেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কি কি করনীয় সে সমস্ত কাজ করছেন। এসবের পরে আবার জল ছাড়াই, চরম বিপাকে রাজ্যের কয়েকটি জেলা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট মুখ্যমন্ত্রীর

ডিভিসি-র “বন্যা নিয়ন্ত্রণ” আবারও বাংলাকে ‘ডুবিয়ে’

আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার

আবদুল ওদুদ : দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন অর্থাৎ ডিভিসির অতিরিক্ত জল ছাড়া নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে তো ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালে টুইট করি বিবিসির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটি তাদের সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গেছে।

এরা বাংলাকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারছে না বিভিন্ন দিক দিয়ে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাচ্ছে। এক্স্য হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ডিভিসি-র “বন্যা নিয়ন্ত্রণ” আবারও বাংলাকে ‘ডুবিয়ে’ দিয়েছে। ডিভিসি-র এবারের ব্যর্থতা শুধু অন্যান্যবারের থেকে বেশিই নয়, অভূতপূর্ব।

আরও পড়ুন: কুচকাওয়াজের মহড়া উপলক্ষ্যে বন্ধ থাকবে শহরের বেশ কিছু রাস্তা, জানাল পুলিশ

এক্স হ্যান্ডেলের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,” স্পষ্টতই, কেন্দ্রের দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটি ক্রমশ আরো বেশি বেশি করে বাংলা-বিরোধী হয়ে উঠছে। সারা ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলা-বিরোধী পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিস্থিতিকে দেখতে হবে। ”

আরও পড়ুন: ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রথম দিনেই ৬৩২ শিবিরে কাজ শুরু, ট্যুইট করে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি বলেন,”২০২৪ সালের তুলনায় এ বছর ডিভিসি-র জল ছাড়ার পরিমাণ ১১ গুণ বেড়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় বেড়েছে ৩০ গুণ!! দক্ষিণবঙ্গে বন্যা ঘটানোর জন্য এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। এটি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বাংলাকে বিপদে ফেলার জন্য এটা আরো বেশি বেশি করে ঘটাতে থাকা ম্যান-মেড বিপর্যয়।” তিনি গত কয়েক বছরের একটি তথ্য তুলে ধরে বলেন, তথ্যই সব বলে দিচ্ছে ২০২৪ সালের জুন ও জুলাই মাসে ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হয়েছে: ৪,৫৩৫ লক্ষ কিউবিক মিটার।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে কলকাতায় মেসি

২০২৫ সালের জুন ও জুলাই মাসে ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হয়েছে: ৫০,২৮৭ লক্ষ কিউবিক মিটার। এই বছর এই বিপুল ও নজিরবিহীন পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিধ্বস্ত হয়েছে, বিপুল ফসল নষ্ট হয়েছে, প্রচুর বাঁধ ভেঙেছে, অসংখ্য রাস্তা ভেঙেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে – তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
বাংলায় বন্যা ঘটানোর জন্য জল ছাড়ার পরিমাণ যেভাবে ক্রমাগত বাড়ছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও উদ্বেগজনক। এর মধ্যে আমি স্পষ্টই গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বলেন, অবিলম্বে এসব বন্ধ হওয়া দরকার।

প্রসঙ্গত, মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে ডিভিসি যেভাবে জল ছাড়ছে তাতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা যেমন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া একটি বিশেষ এলাকা ,হুগলির সহ আরো কয়েকটি জেলা ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ লক্ষ জমি জমির ফসল।

ডিভিসি রাজ্যকে না জানিয়ে একাধিকবার জল ছেড়েছে ।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শেচ দপ্তরের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল সেখানে পর্যবেক্ষণ করছেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কি কি করনীয় সে সমস্ত কাজ করছেন। এসবের পরে আবার জল ছাড়াই, চরম বিপাকে রাজ্যের কয়েকটি জেলা।