০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তালিকায় রয়েছে রাম ও সীতার নামও

‘ডগবাবুর পর কাউয়া’, বিহারে আবাসিক শংসাপত্র পেতে আবেদন কাকের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
  • / 17

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিতর্ক চলছে বিহারে। এই পরিস্থিতিতে দিনকয়েক আগেই ‘ডগ বাবু’-র নামে রেসিডেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবাসিক শংসাপত্র পেতে অনলাইনে আবেদন জানাল ‘কাক’। তার নামের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘কাউয়া’। বাবার নাম কাউয়া সিং। ছবির জায়গায় সাঁটানো হয়েছে কাকের ছবি।

 

আরও পড়ুন: বিহারের সাড়ে ৬ লক্ষ ভোটারের নাম তামিলনাড়ুর তালিকায়

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এই আবেদন জানানো হয়েছিল। একইভাবে আবেদন এসেছে রাম ও সীতার নামেও। রামের আবেদনপত্রে পিতার নাম দেওয়া হয়েছে দশরথ, ঠিকানা অযোধ্যা। ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে ৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯। তালিকায় রয়েছে লর্ড রামের স্ত্রী সীতার নামও। বিষয়টি প্রকাশ্যে শুরু তরজা। আবেদন খারিজ তো বটেই এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা। বলা বাহুল্য, বিহারে বিধানসভা ভোটের মুখে নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। প্রতিবাদে সরব বিরোধী শিবিরও। বিহারে এসআইআর বাতিলের দাবিতে জারি বিক্ষোভ-মিছিল। এই আবহে এহেন মশকরায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ প্রশাসনও।

আরও পড়ুন: বিহারে রাতারাতি ১.২৬ কোটি ভোটার মুছে দিল নির্বাচন কমিশন: সাকেত

ভোটার কার্ড শুদ্ধিকরণের নামে বিশেষ নিবিড় সংশোধন চলছে বিহারে। ভোটার কার্ডে নাম তুলতে আবাসিক শংসাপত্র পাওয়ার ভুরি ভুরি আবেদন পড়ছে অনলাইনে। আর সেখানেই এহেন উদ্ভট নামের আবেদন জমা পড়ছে। জানা গিয়েছে, মূলত খগড়িয়া জেলার একাধিক প্রান্ত থেকেই এসব অদ্ভুত নামে আবেদন আসতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: বিহারে ভোটার তালিকা সংস্কার নিয়ে এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ লালু প্রসাদ যাদবের

এই প্রেক্ষিতে খগড়িয়ার অঞ্চলাধিকারিক আমির হুসেন জানান, ওই বিদঘুটে আবেদনপত্র ইতিমধ্যেই খারিজ করা হয়েছে। রাজস্ব আধিকারিক শম্ভু কুমার জানিয়েছেন, প্রশাসনের সঙ্গে এই ধরনের মশকরা রুখতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। যারা উক্ত বিষয়ে জড়িতদের রেহাত করা হবে না। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, কাউয়ার আগে ডগবাবু নামে এক কুকুরের  আবাসিক শংসা পত্র প্রকাশ করা হয়েছিল বিহার প্রশাসনের তরফে। বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছিল হই হই রই রই। ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছিল রাজস্ব আধিকারিককে। চলতি বছর ১৫ জুলাই ডগবাবুর নামে আবেদন করা হয়। আর নথিপত্র যাচাই না করেই জারি করা হয়েছিল শংসাপত্র। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছে তার খোঁজে জারি তল্লাশি।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তালিকায় রয়েছে রাম ও সীতার নামও

‘ডগবাবুর পর কাউয়া’, বিহারে আবাসিক শংসাপত্র পেতে আবেদন কাকের

আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিতর্ক চলছে বিহারে। এই পরিস্থিতিতে দিনকয়েক আগেই ‘ডগ বাবু’-র নামে রেসিডেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবাসিক শংসাপত্র পেতে অনলাইনে আবেদন জানাল ‘কাক’। তার নামের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘কাউয়া’। বাবার নাম কাউয়া সিং। ছবির জায়গায় সাঁটানো হয়েছে কাকের ছবি।

 

আরও পড়ুন: বিহারের সাড়ে ৬ লক্ষ ভোটারের নাম তামিলনাড়ুর তালিকায়

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এই আবেদন জানানো হয়েছিল। একইভাবে আবেদন এসেছে রাম ও সীতার নামেও। রামের আবেদনপত্রে পিতার নাম দেওয়া হয়েছে দশরথ, ঠিকানা অযোধ্যা। ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে ৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯। তালিকায় রয়েছে লর্ড রামের স্ত্রী সীতার নামও। বিষয়টি প্রকাশ্যে শুরু তরজা। আবেদন খারিজ তো বটেই এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা। বলা বাহুল্য, বিহারে বিধানসভা ভোটের মুখে নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। প্রতিবাদে সরব বিরোধী শিবিরও। বিহারে এসআইআর বাতিলের দাবিতে জারি বিক্ষোভ-মিছিল। এই আবহে এহেন মশকরায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ প্রশাসনও।

আরও পড়ুন: বিহারে রাতারাতি ১.২৬ কোটি ভোটার মুছে দিল নির্বাচন কমিশন: সাকেত

ভোটার কার্ড শুদ্ধিকরণের নামে বিশেষ নিবিড় সংশোধন চলছে বিহারে। ভোটার কার্ডে নাম তুলতে আবাসিক শংসাপত্র পাওয়ার ভুরি ভুরি আবেদন পড়ছে অনলাইনে। আর সেখানেই এহেন উদ্ভট নামের আবেদন জমা পড়ছে। জানা গিয়েছে, মূলত খগড়িয়া জেলার একাধিক প্রান্ত থেকেই এসব অদ্ভুত নামে আবেদন আসতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: বিহারে ভোটার তালিকা সংস্কার নিয়ে এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ লালু প্রসাদ যাদবের

এই প্রেক্ষিতে খগড়িয়ার অঞ্চলাধিকারিক আমির হুসেন জানান, ওই বিদঘুটে আবেদনপত্র ইতিমধ্যেই খারিজ করা হয়েছে। রাজস্ব আধিকারিক শম্ভু কুমার জানিয়েছেন, প্রশাসনের সঙ্গে এই ধরনের মশকরা রুখতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। যারা উক্ত বিষয়ে জড়িতদের রেহাত করা হবে না। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, কাউয়ার আগে ডগবাবু নামে এক কুকুরের  আবাসিক শংসা পত্র প্রকাশ করা হয়েছিল বিহার প্রশাসনের তরফে। বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছিল হই হই রই রই। ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছিল রাজস্ব আধিকারিককে। চলতি বছর ১৫ জুলাই ডগবাবুর নামে আবেদন করা হয়। আর নথিপত্র যাচাই না করেই জারি করা হয়েছিল শংসাপত্র। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছে তার খোঁজে জারি তল্লাশি।