১০ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাগাতার বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 50

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টিতে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অত্যাধিক বর্ষণে তিস্তা-সহ একাধিক পাহাড়ি নদী রুদ্ররূপ ধারণ করেছে। ভুটান থেকে ধেয়ে আসা জলস্রোতে কালচিনি ব্লকের সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকা জেলার বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগান ও সংলগ্ন লোকবসতিতে বন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ।

ভুটান সীমান্তবর্তী এই এলাকা পানা, বাসরা ও কালিঝোরা নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত। ক্রমাগত বর্ষণে নদীগুলির জলস্তর বিপজ্জনক হার পর্যন্ত বেড়ে গেছে। কালানদীতে বান আসায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। সারা বছর সাধারণত শুষ্ক থাকে এই নদীগুলি। আর বর্ষাকালে জল পেলেও এইভাবে প্লাবনের মুখে পড়া কিন্তু খুবই বিরল।

বর্ষাকালে যদি জল বাড়ে, তখন বাসিন্দারা সাধারণত ঘুরপথে যাতায়াত করে। কিন্তু এবার ভুটান থেকে আসা জলের এমন তোড় যে, সেই পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পানা নদীতে স্থায়ী সেতুর দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওপরদিকে প্রবল স্রোতের মধ্যে পড়ে জলে ডুবে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। শনিবার সকালে বাসরা নদীতে মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পৌলচ মিঞ্জ (বাসিন্দা—মেচপাড়া)। এছাড়া পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। ফলে, নদীতে নামার পরে, তাল সামলাতে না পেরে স্রোতে ভেসে যান। খবর পেয়ে কালচিনি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লাগাতার বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ

আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টিতে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অত্যাধিক বর্ষণে তিস্তা-সহ একাধিক পাহাড়ি নদী রুদ্ররূপ ধারণ করেছে। ভুটান থেকে ধেয়ে আসা জলস্রোতে কালচিনি ব্লকের সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকা জেলার বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগান ও সংলগ্ন লোকবসতিতে বন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ।

ভুটান সীমান্তবর্তী এই এলাকা পানা, বাসরা ও কালিঝোরা নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত। ক্রমাগত বর্ষণে নদীগুলির জলস্তর বিপজ্জনক হার পর্যন্ত বেড়ে গেছে। কালানদীতে বান আসায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। সারা বছর সাধারণত শুষ্ক থাকে এই নদীগুলি। আর বর্ষাকালে জল পেলেও এইভাবে প্লাবনের মুখে পড়া কিন্তু খুবই বিরল।

বর্ষাকালে যদি জল বাড়ে, তখন বাসিন্দারা সাধারণত ঘুরপথে যাতায়াত করে। কিন্তু এবার ভুটান থেকে আসা জলের এমন তোড় যে, সেই পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পানা নদীতে স্থায়ী সেতুর দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওপরদিকে প্রবল স্রোতের মধ্যে পড়ে জলে ডুবে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। শনিবার সকালে বাসরা নদীতে মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পৌলচ মিঞ্জ (বাসিন্দা—মেচপাড়া)। এছাড়া পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। ফলে, নদীতে নামার পরে, তাল সামলাতে না পেরে স্রোতে ভেসে যান। খবর পেয়ে কালচিনি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।