ছত্তিশগড়ের যুবক মনীশের কাছে হঠাৎই কোহলি, ডিভিলিয়ার্সের ফোন, তারপর……

- আপডেট : ১১ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
- / 26
পুবের কলম প্রতিবেদক: নাম মনীশ বিসি, ছত্তিশগড়ের গারিয়াবান্দ জেলার মাদাগাঁওয়ের বাসিন্দা। তাঁর বয়স এখন বিশের কোঠায়। পেশা বলতে, সামান্য একটি মুদির দোকান রয়েছে তার। বিগত কয়েক’দিন ধরেই সেই মনীশ দাবি করেছেন, একটি নতুন সিম কার্ড কিনে চালু করার পর থেকেই তাঁর কাছে কোহলি এবং ডি ভিলিয়ার্সের মতো ক্রিকেট কিংবদন্তিরা ফোন করতে শুরু করেছেন।
শুধু কোহলি, ডি ভিলিয়ার্স নন, আইপিএলে খেলা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের আরও কিছু তারকা খেলোয়াড়রাও নাকি তাকে নিয়মিত ফোন করেছেন। অচেনা এক ছেলের কাছে কোহলি, ডি ভিলিয়ার্সের ফোনের খবর শুরুতে কেউ বিশ্বাস না করলেও, হঠাৎ মনীশের বাড়িতে পুলিশি আগমনে সবাই বুঝতে পারেন, বিষয়টি মিথ্যে ছিল না।
ছত্তিশগড়ের গারিয়াবন্দ জেলার দেবভোগ গ্রামের একটি দোকানের মালিক মনীশ বুঝতেই পারেননি তার জীবনে এমন দিন আসবে। রাতারাতি সে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত গত ২৮ জুন। স্থানীয় দোকান থেকে একটা সিমকার্ড কিনেছিলেন মনীশ।
মোবাইলে সিম ভরে হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করতেই সেখানে দেখা যায় পাতিদারের ছবি। প্রথমে মনীশ ভেবেছিলেন, বিষয়টা নেহাতই মজার। কিন্তু এরপরই একের পর এক ফোন আসা শুরু হয়। কেউ নিজেকে বিরাট কোহলি, কেউ আবার নিজেকে এবি ডি ভিলিয়ার্স বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন। মনীশও নিজেকে ‘মহেন্দ্র সিং ধোনি’ বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন। এরপর ১৫ জুলাই অপরিচিত একটা নম্বর থেকে ফোন পান মনীশ। ফোনের উল্টো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, ‘ভাই, আমি রজত পতিদার। এই নম্বরটা আমার। দয়া করে ফেরত দিন।’ তবে সে বিষয়টিকে বিশেষ আমল না দিয়ে এড়িয়ে যান।
রজত পতিদার ফোনের ওপাশে থাকা সেই ব্যক্তিকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। শেষে পতিদার পুলিশে অভিযোগ করবেন। তার দশ মিনিটের মধ্যেই মনীশের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। তখন বুঝতে পারেন, উল্টো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি সত্যিই রজত পতিদার ছিলেন। ভয়ে সঙ্গে সঙ্গে সিম কার্ড ফিরিয়ে দেন মনীশ। আসলে কোনো সিম কার্ড টানা ৯০ দিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকলে মোবাইল অপারেটর সংস্থাগুলি তা অন্য কাউকে দিয়ে দেয়। পতিদারের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গারিয়াবান্দ জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার নিশা সিনহা বলেন, ‘রজত পতিদার ৯০ দিন ধরে একটি সিম কার্ড ব্যবহার করছিলেন না। নিয়মানুযায়ী এত লম্বা সময় বন্ধ থাকলে সিম নিষ্ক্রিয় করা হয়। পরে বাজার থেকে ওই সিমটি মনীশ বিসি কিনে নেন। পরে তাকে ওই সিম ফেরত দিতে বললে সে বিষয়টি মজার ভেবে নেয়। তবে এখন সে সিমটি ফেরত দিয়েছে।’