২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে বসেই দফতরের কাজ করে গেছেন ‘কাজপাগল’ সুব্রত মুখোপাধ্যায়

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার
  • / 21

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কাজ পাগল মানুষ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালে বেডে শুয়ে ফাইল দেখতেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। মৃত্যুর আগের দিনও কাজ করে গেছেন তিনি। হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে বসে ফাইল দেখেছেন।  

রাজনৈতিক জীবনে এক এমন এক দাপুটে নেতার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না, তার সহকর্মী থেকে বিরোধী রাজনীতিবিদ কেউই।

আরও পড়ুন: জননেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা নবীন পরিচালকের

হাসপাতালে উপস্থিত এক সরকারি কর্মী বলেন, ‘এই তো কালই কার্ডিওলজির কেবিনে প্রায় ৪৫–৫০ মিনিট কথা হল। বাড়ি ফিরলে মন্দিরে যাব বলেছিলেন।’

আরও পড়ুন: বিধানসভায় আজ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণা, শোকবার্তা পাঠ করবেন স্পিকার

হাসপাতালে বসেই পঞ্চায়েত দফতরের জরুরি কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছেন। বুকে দু’টি স্টেন্ট বসার পরও  তিনি তার কাজ থামাননি।

আরও পড়ুন: ‌’কাছের মানুষকে হারালাম’

সুব্রত মুখোপাধ্যায় ব্যক্তিগত সচিব স্বপন মহাপাত্রকে বলেছিলেন,  ‘স্বপন, আমি তো কালীপুজোয় যেতে পারব না। তুমি কিন্তু মনে করে যেও।’

কলকাতার মেয়র হিসেবেও তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। সব থেকে বড় সার্টিফিকেটটা দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘদিন আটকে ছিল লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলের নির্মাণকাজ৷ সেই সময় নিজে উদ্যোগী হয়ে সেই সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ উড়ালপুলের উদ্বোধনে গিয়ে সুব্রতর প্রশংসা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ স্বীকার করে নিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যা পারেননি, তা করে দেখিয়েছেন সুব্রত৷

দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি দক্ষতার সঙ্গে একের পর এক কাজ পালন করে গেছেন হাসিমুখেই।

রাজনীতি আঙিনা ছাড়াও সুব্রতবাবু ছিলেন খুব আড্ডাপ্রিয় মানুষ। ছিলেন সদারসিক, কৌতুকপ্রিয় মানুষ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাসপাতালে বসেই দফতরের কাজ করে গেছেন ‘কাজপাগল’ সুব্রত মুখোপাধ্যায়

আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কাজ পাগল মানুষ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালে বেডে শুয়ে ফাইল দেখতেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। মৃত্যুর আগের দিনও কাজ করে গেছেন তিনি। হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে বসে ফাইল দেখেছেন।  

রাজনৈতিক জীবনে এক এমন এক দাপুটে নেতার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না, তার সহকর্মী থেকে বিরোধী রাজনীতিবিদ কেউই।

আরও পড়ুন: জননেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা নবীন পরিচালকের

হাসপাতালে উপস্থিত এক সরকারি কর্মী বলেন, ‘এই তো কালই কার্ডিওলজির কেবিনে প্রায় ৪৫–৫০ মিনিট কথা হল। বাড়ি ফিরলে মন্দিরে যাব বলেছিলেন।’

আরও পড়ুন: বিধানসভায় আজ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণা, শোকবার্তা পাঠ করবেন স্পিকার

হাসপাতালে বসেই পঞ্চায়েত দফতরের জরুরি কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছেন। বুকে দু’টি স্টেন্ট বসার পরও  তিনি তার কাজ থামাননি।

আরও পড়ুন: ‌’কাছের মানুষকে হারালাম’

সুব্রত মুখোপাধ্যায় ব্যক্তিগত সচিব স্বপন মহাপাত্রকে বলেছিলেন,  ‘স্বপন, আমি তো কালীপুজোয় যেতে পারব না। তুমি কিন্তু মনে করে যেও।’

কলকাতার মেয়র হিসেবেও তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। সব থেকে বড় সার্টিফিকেটটা দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘদিন আটকে ছিল লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলের নির্মাণকাজ৷ সেই সময় নিজে উদ্যোগী হয়ে সেই সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ উড়ালপুলের উদ্বোধনে গিয়ে সুব্রতর প্রশংসা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ স্বীকার করে নিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যা পারেননি, তা করে দেখিয়েছেন সুব্রত৷

দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি দক্ষতার সঙ্গে একের পর এক কাজ পালন করে গেছেন হাসিমুখেই।

রাজনীতি আঙিনা ছাড়াও সুব্রতবাবু ছিলেন খুব আড্ডাপ্রিয় মানুষ। ছিলেন সদারসিক, কৌতুকপ্রিয় মানুষ।