০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে সরব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
  • / 176

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে এবার সাংসদে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে দিনভর সংসদ উত্তাল ছিল। তাঁর দাবি বিজেপি কিছুতেই এই বিল পাশ করতে পারবেনা। এমনকি তিনি এখনই জানিয়ে দিয়েছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র তখনই এই বিলটিকে সমর্থন করবো, যখন ওনারা আমাদের দেওয়া শর্ত মানতে রাজি হবে।

বিজেপি এই বিল পাশ করতে চাইছে কোন দুর্নীতি আটকাতে নয় বরং নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার জন্য। তিনি বলেন, “আমাদের দাবি এই যে, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য যে কোনও মন্ত্রী তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে ১৫ দিন বন্দি থাকলেই পদ থেকে অপসারিত হতে হবে। কিন্তু শর্ত একটাই যে, যদি ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের দোষ প্রমাণিত না হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী আধিকারিককে দ্বিগুণ সময় জেল খাটতে হবে।”

আরও পড়ুন: মহালয়ায় সবাইককে শুভেচ্ছা মমতা-অভিষেকের

উনি আরও বলেন, ”এই বিল আনার একমাত্র উদ্দেশ্য হল বিরোধীপক্ষকে ফাঁসানো। তাঁদের নেতাদের ধরে ধরে জেলে ঢোকানো। বিরোধীপক্ষকে এককথায় দুর্বল করে দেওয়া, শেষ করে দেওয়া”। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অভিষেক সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই মুহুর্তে দেশে বর্তমানে ৫,৮৯২টি মামলার তদন্ত করছে ইডি। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৮টি মামলায় দোষ প্রমাণিত করতে পেরেছে ইডি। অর্থাৎ সাফল্যের হার মাত্র ০.১৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ED অফিসে হাজিরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী

এছাড়াও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এর আগে যেসব রাজনৈতিক নেতাদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, তাঁরা সবাই বিজেপিতে যোগদান করায় কেন সেইসব অভিযোগ খারিজ হয়ে গেল? উদাহরণস্বরূপ তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অজিত পাওয়ার থেকে শুরু করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: দুর্নীতি ঠেকাতে আলবেনিয়ায় এআই মন্ত্রী নিয়োগ

অপরদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কংগ্রেস তো আগে ৩৫৬ ধারা ব্যবহার করে রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। এবার আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি, দুর্নীতির দায়ে যেই জড়াক না কেন, ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, আইনের চোখে সকলেই সমান।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে সরব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে এবার সাংসদে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে দিনভর সংসদ উত্তাল ছিল। তাঁর দাবি বিজেপি কিছুতেই এই বিল পাশ করতে পারবেনা। এমনকি তিনি এখনই জানিয়ে দিয়েছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র তখনই এই বিলটিকে সমর্থন করবো, যখন ওনারা আমাদের দেওয়া শর্ত মানতে রাজি হবে।

বিজেপি এই বিল পাশ করতে চাইছে কোন দুর্নীতি আটকাতে নয় বরং নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার জন্য। তিনি বলেন, “আমাদের দাবি এই যে, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য যে কোনও মন্ত্রী তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে ১৫ দিন বন্দি থাকলেই পদ থেকে অপসারিত হতে হবে। কিন্তু শর্ত একটাই যে, যদি ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের দোষ প্রমাণিত না হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী আধিকারিককে দ্বিগুণ সময় জেল খাটতে হবে।”

আরও পড়ুন: মহালয়ায় সবাইককে শুভেচ্ছা মমতা-অভিষেকের

উনি আরও বলেন, ”এই বিল আনার একমাত্র উদ্দেশ্য হল বিরোধীপক্ষকে ফাঁসানো। তাঁদের নেতাদের ধরে ধরে জেলে ঢোকানো। বিরোধীপক্ষকে এককথায় দুর্বল করে দেওয়া, শেষ করে দেওয়া”। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অভিষেক সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই মুহুর্তে দেশে বর্তমানে ৫,৮৯২টি মামলার তদন্ত করছে ইডি। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৮টি মামলায় দোষ প্রমাণিত করতে পেরেছে ইডি। অর্থাৎ সাফল্যের হার মাত্র ০.১৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ED অফিসে হাজিরা দিলেন মিমি চক্রবর্তী

এছাড়াও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এর আগে যেসব রাজনৈতিক নেতাদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, তাঁরা সবাই বিজেপিতে যোগদান করায় কেন সেইসব অভিযোগ খারিজ হয়ে গেল? উদাহরণস্বরূপ তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অজিত পাওয়ার থেকে শুরু করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: দুর্নীতি ঠেকাতে আলবেনিয়ায় এআই মন্ত্রী নিয়োগ

অপরদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কংগ্রেস তো আগে ৩৫৬ ধারা ব্যবহার করে রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। এবার আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি, দুর্নীতির দায়ে যেই জড়াক না কেন, ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, আইনের চোখে সকলেই সমান।