১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগের অফিস বন্ধের আবেদন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 112

পুবের কলম প্রতিবেদক : ভারতের মাটিতে থেকে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামি লিগের কিছু নেতা কর্মী তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে বেশ কয়েকটি দৈনিক সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং কলকাতায় নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের অফিস স্থাপনের খবরের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ভারতীয় মাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের নেতৃত্বের ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের পটভূমিতে এই ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

ওই বিজ্ঞপ্তি আরও দাবি করা হয়, ‘মানবতাবিরোধী গুরুতর অপরাধের কারণে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় পলাতক দলের অনেক সিনিয়র নেতা এখনও ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছেন। এর আগে, ২১ জুলাই ২০২৫ সন্ধ্যায়, একটি অস্পষ্ট এনজিওর আড়ালে, এই নিষিদ্ধ দলের কিছু সিনিয়র নেতা দিল্লি প্রেস ক্লাবে একটি জনসাধারণের প্রচারণার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং অবশেষে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সদস্যদের মধ্যে পুস্তিকা বিতরণ করেছিলেন। আজ অবধি, ভারতীয় গণমাধ্যমের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন ভারতের মাটিতে থাকাকালীন দলের ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টার কথা সুনিশ্চিত করেছে।’

ভারত সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো বাংলাদেশি নাগরিকদের, বিশেষ করে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতা-কর্মীদের, ভারতের মাটিতে আইনত বা অবৈধভাবে অবস্থানের মাধ্যমে, অফিস স্থাপন সহ যে-কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বাংলাদেশের জনগণ এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবমাননা।

এই ঘটনা পারস্পরিক বিশ্বাস এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে ভারতের সঙ্গে সু-প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার ঝুঁকিও তৈরি করে এবং বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। এটি বাংলাদেশে জনসাধারণের অনুভূতিকেও উসকে দিতে পারে যা দুই নিকটতম প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত করার জন্য দুই দেশের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।’

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরও আবেদন ‘বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবে যে, ভারতের মাটিতে থাকা কোনও বাংলাদেশি নাগরিক যাতে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ না করে, তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক, যার মধ্যে রয়েছে এই ধরনের কোনও কার্যকলাপের অনুমতি না দেওয়া বা সমর্থন না করা এবং ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক অফিস গুলি অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগের অফিস বন্ধের আবেদন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

আপডেট : ২৩ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : ভারতের মাটিতে থেকে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামি লিগের কিছু নেতা কর্মী তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে বেশ কয়েকটি দৈনিক সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং কলকাতায় নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের অফিস স্থাপনের খবরের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ভারতীয় মাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের নেতৃত্বের ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের পটভূমিতে এই ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

ওই বিজ্ঞপ্তি আরও দাবি করা হয়, ‘মানবতাবিরোধী গুরুতর অপরাধের কারণে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় পলাতক দলের অনেক সিনিয়র নেতা এখনও ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছেন। এর আগে, ২১ জুলাই ২০২৫ সন্ধ্যায়, একটি অস্পষ্ট এনজিওর আড়ালে, এই নিষিদ্ধ দলের কিছু সিনিয়র নেতা দিল্লি প্রেস ক্লাবে একটি জনসাধারণের প্রচারণার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং অবশেষে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সদস্যদের মধ্যে পুস্তিকা বিতরণ করেছিলেন। আজ অবধি, ভারতীয় গণমাধ্যমের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন ভারতের মাটিতে থাকাকালীন দলের ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টার কথা সুনিশ্চিত করেছে।’

ভারত সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো বাংলাদেশি নাগরিকদের, বিশেষ করে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতা-কর্মীদের, ভারতের মাটিতে আইনত বা অবৈধভাবে অবস্থানের মাধ্যমে, অফিস স্থাপন সহ যে-কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বাংলাদেশের জনগণ এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবমাননা।

এই ঘটনা পারস্পরিক বিশ্বাস এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে ভারতের সঙ্গে সু-প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার ঝুঁকিও তৈরি করে এবং বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। এটি বাংলাদেশে জনসাধারণের অনুভূতিকেও উসকে দিতে পারে যা দুই নিকটতম প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত করার জন্য দুই দেশের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।’

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরও আবেদন ‘বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবে যে, ভারতের মাটিতে থাকা কোনও বাংলাদেশি নাগরিক যাতে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ না করে, তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক, যার মধ্যে রয়েছে এই ধরনের কোনও কার্যকলাপের অনুমতি না দেওয়া বা সমর্থন না করা এবং ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক অফিস গুলি অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া।’