০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বারেলিতে মাওলানা তাউক্বীর রেযা খানের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জামা’আতে ইসলামি হিন্দের নিন্দা

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 253

 

বারেলিতে আলেম মাওলানা তাউক্বীর রেযা খানসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল জামা’আতে ইসলামি হিন্দ। সংগঠনের সভাপতি সাইয়েদ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি এক বিবৃতিতে এই গ্রেপ্তারকে “অন্যায় ও উদ্বেগজনক” বলে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, একটি সরল স্লোগান ‘আই লাভ প্রফেট মুহাম্মদ ﷺ’—যা ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রকাশ মাত্র—সেটিকে জনশৃঙ্খলার হুমকি দেখিয়ে ব্যাপক এফআইআর দায়ের ও গণগ্রেপ্তার দেশের বহুত্ববাদী চেতনাকে আঘাত করেছে।
সাদাতুল্লাহ হুসাইনি অভিযোগ করেন, মাওলানা তাউক্বীরকে প্রথমে গৃহবন্দি করে রাখা হয়, পরে কঠোর আইনে মামলা দিয়ে শত শত মুসলিমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে কোনো সঠিক তদন্ত ছাড়াই। এ ছাড়া কিছু রাজনৈতিক নেতা প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, যা ঘটনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন ঘনালেই একই কৌশলে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হয়। তিনি সরকারের প্রতি অতিরঞ্জিত অভিযোগ প্রত্যাহার ও অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির আহ্বান জানান।
জামা’আতের সভাপতি মুসলিম সমাজকে নবী করিম ﷺ–এর ধৈর্য ও শান্তির শিক্ষায় অনুপ্রাণিত থাকতে অনুরোধ করে বলেন, “ভারতের শক্তি তার সংবিধান ও বহুত্ববাদী বন্ধনে নিহিত। রাজনৈতিক স্বার্থে এই ভিত্তি দুর্বল করা হলে ক্ষতি পুরো জাতির।”

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বারেলিতে মাওলানা তাউক্বীর রেযা খানের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জামা’আতে ইসলামি হিন্দের নিন্দা

আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

 

বারেলিতে আলেম মাওলানা তাউক্বীর রেযা খানসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল জামা’আতে ইসলামি হিন্দ। সংগঠনের সভাপতি সাইয়েদ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি এক বিবৃতিতে এই গ্রেপ্তারকে “অন্যায় ও উদ্বেগজনক” বলে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, একটি সরল স্লোগান ‘আই লাভ প্রফেট মুহাম্মদ ﷺ’—যা ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রকাশ মাত্র—সেটিকে জনশৃঙ্খলার হুমকি দেখিয়ে ব্যাপক এফআইআর দায়ের ও গণগ্রেপ্তার দেশের বহুত্ববাদী চেতনাকে আঘাত করেছে।
সাদাতুল্লাহ হুসাইনি অভিযোগ করেন, মাওলানা তাউক্বীরকে প্রথমে গৃহবন্দি করে রাখা হয়, পরে কঠোর আইনে মামলা দিয়ে শত শত মুসলিমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে কোনো সঠিক তদন্ত ছাড়াই। এ ছাড়া কিছু রাজনৈতিক নেতা প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, যা ঘটনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন ঘনালেই একই কৌশলে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হয়। তিনি সরকারের প্রতি অতিরঞ্জিত অভিযোগ প্রত্যাহার ও অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির আহ্বান জানান।
জামা’আতের সভাপতি মুসলিম সমাজকে নবী করিম ﷺ–এর ধৈর্য ও শান্তির শিক্ষায় অনুপ্রাণিত থাকতে অনুরোধ করে বলেন, “ভারতের শক্তি তার সংবিধান ও বহুত্ববাদী বন্ধনে নিহিত। রাজনৈতিক স্বার্থে এই ভিত্তি দুর্বল করা হলে ক্ষতি পুরো জাতির।”