২৬ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু, সর্বোচ্চ ৩ দিনের মধ্যে মিলবে দাম

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
  • / 82

পুবের কলম প্রতিবেদক: নতুন খরিফ মরশুমের শুরুতেই রাজ্যের চাষিদের জন্য দারুণ সুখবর নিয়ে এল খাদ্য দফতর। আগামী ১ নভেম্বর থেকেই রাজ্যের চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে চাষিরা সর্বোচ্চ তিনটি কাজের দিনের মধ্যেই তাঁদের ধানের দাম পেয়ে যাবেন। এই টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। ধান বিক্রির পর কৃষকদের টাকা পেতে যাতে কোনও বিলম্ব না-হয়, তা নিশ্চিত করতেই রাজ্য সরকার এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

৬২০টি স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি থাকছে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র:

আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে ২০২৫-২৬ মরশুমের ধান কেনা শুরু করছে সরকার। এই ধান সংগ্রহের জন্য খাদ্য দফতর এবার ৬২০টি স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্র চালু করছে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরও ১৭৯টি ভ্রাম্যমাণ স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্র। এই ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলি মূলত দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনবে। খাদ্য দফতর জানাচ্ছে, নিকটবর্তী স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্রে পৌঁছতে যেখানে চাষিদের অসুবিধা হয়, সেখানে এই ভ্রাম্যমান কেন্দ্রগুলি বড় ভূমিকা নেবে।

এছাড়াও, খরিফ মরশুমের সময়কালে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ধান ক্রয় শিবিরও চালানো হবে, যা বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পরিচালনা করবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অস্থায়ী শিবিরে ধান কেনার পরের দিনই সংস্থাগুলিকে সেই সব তথ্য খাদ্য দফতরে জানাতে হবে। খাদ্য দফতর সেই তথ্য যাচাই করে দ্রুত চাষির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবে।

কুইন্টাল প্রতি দাম ২৩৮৯ টাকা:

এই মরশুমে ধান বিক্রি করলে চাষিরা কুইন্টাল প্রতি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) হিসেবে ২,৩৬৯ টাকা পাবেন। পাশাপাশি, রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ২০ টাকা করে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ, সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রির ক্ষেত্রে চাষির হাতে কুইন্টাল প্রতি মোট ২,৩৮৯ টাকা যাবে।

অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক:

তবে, ধান বিক্রির ক্ষেত্রে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করেছে খাদ্য দফতর। চাষিদের নির্দিষ্ট ক্রয়কেন্দ্রে নির্ধারিত দিনে গিয়ে ধান বিক্রি করতে হবে। যদি কোনও কারণে নির্ধারিত দিনে পৌঁছানো সম্ভব না-হয়, তাহলে পুনরায় বুকিং করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি:

খাদ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছে যে, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি; এই চার মাসের সময়কে ধান কেনার সবচেয়ে ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে ধরা হয়। ফলে এই চার মাসে ধান কেনার প্রক্রিয়াকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। উল্লেখ্য, ভ্রাম্যমান কেন্দ্রের অবস্থান ও সময়সূচি খাদ্য দফতরের পোর্টালে ৪৫ থেকে ১৫ দিন আগে প্রকাশ করা হবে।

চাষিদের স্বার্থে সময় মতো ধানের দাম মেটানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে নতুন করে নজরদারি ও ব্যবস্থাপনা জোরদার করছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগে চাষিরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন বলে মনে করছে প্রশাসন।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু, সর্বোচ্চ ৩ দিনের মধ্যে মিলবে দাম

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: নতুন খরিফ মরশুমের শুরুতেই রাজ্যের চাষিদের জন্য দারুণ সুখবর নিয়ে এল খাদ্য দফতর। আগামী ১ নভেম্বর থেকেই রাজ্যের চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ধান সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে চাষিরা সর্বোচ্চ তিনটি কাজের দিনের মধ্যেই তাঁদের ধানের দাম পেয়ে যাবেন। এই টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। ধান বিক্রির পর কৃষকদের টাকা পেতে যাতে কোনও বিলম্ব না-হয়, তা নিশ্চিত করতেই রাজ্য সরকার এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

৬২০টি স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি থাকছে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র:

আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে ২০২৫-২৬ মরশুমের ধান কেনা শুরু করছে সরকার। এই ধান সংগ্রহের জন্য খাদ্য দফতর এবার ৬২০টি স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্র চালু করছে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরও ১৭৯টি ভ্রাম্যমাণ স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্র। এই ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলি মূলত দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনবে। খাদ্য দফতর জানাচ্ছে, নিকটবর্তী স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্রে পৌঁছতে যেখানে চাষিদের অসুবিধা হয়, সেখানে এই ভ্রাম্যমান কেন্দ্রগুলি বড় ভূমিকা নেবে।

এছাড়াও, খরিফ মরশুমের সময়কালে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ধান ক্রয় শিবিরও চালানো হবে, যা বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পরিচালনা করবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অস্থায়ী শিবিরে ধান কেনার পরের দিনই সংস্থাগুলিকে সেই সব তথ্য খাদ্য দফতরে জানাতে হবে। খাদ্য দফতর সেই তথ্য যাচাই করে দ্রুত চাষির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবে।

কুইন্টাল প্রতি দাম ২৩৮৯ টাকা:

এই মরশুমে ধান বিক্রি করলে চাষিরা কুইন্টাল প্রতি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) হিসেবে ২,৩৬৯ টাকা পাবেন। পাশাপাশি, রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ২০ টাকা করে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ, সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রির ক্ষেত্রে চাষির হাতে কুইন্টাল প্রতি মোট ২,৩৮৯ টাকা যাবে।

অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক:

তবে, ধান বিক্রির ক্ষেত্রে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করেছে খাদ্য দফতর। চাষিদের নির্দিষ্ট ক্রয়কেন্দ্রে নির্ধারিত দিনে গিয়ে ধান বিক্রি করতে হবে। যদি কোনও কারণে নির্ধারিত দিনে পৌঁছানো সম্ভব না-হয়, তাহলে পুনরায় বুকিং করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি:

খাদ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছে যে, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি; এই চার মাসের সময়কে ধান কেনার সবচেয়ে ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে ধরা হয়। ফলে এই চার মাসে ধান কেনার প্রক্রিয়াকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। উল্লেখ্য, ভ্রাম্যমান কেন্দ্রের অবস্থান ও সময়সূচি খাদ্য দফতরের পোর্টালে ৪৫ থেকে ১৫ দিন আগে প্রকাশ করা হবে।

চাষিদের স্বার্থে সময় মতো ধানের দাম মেটানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে নতুন করে নজরদারি ও ব্যবস্থাপনা জোরদার করছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগে চাষিরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন বলে মনে করছে প্রশাসন।