২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার গড়লে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দ্বিগুণ ভাতা ও পেনশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তেজস্বী যাদবের

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
  • / 107

 

বিহারে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ভাতা দ্বিগুণ করা হবে। পাশাপাশি তাঁদের জন্য চালু হবে পেনশন ও বিমার সুবিধা—রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই ঘোষণা করলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।

ভোটের আর কয়েকদিন বাকি। তাই ভোটের আগে সমাজের নানা স্তরের মানুষের মন জয় করতে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তেজস্বী যাদব এখন রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রচারে ব্যস্ত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিহারের গ্রামীণ এলাকায় নিজেদের সংগঠন ও ভোটভিত্তি শক্ত করতেই পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের জন্য এই বিশেষ সুবিধার ঘোষণা করেছেন তিনি।

সাংবাদিক বৈঠকে তেজস্বী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা পেনশনের দাবি জানিয়ে আসছেন। আমরা ক্ষমতায় এলে তাঁদের ভাতা দ্বিগুণ করা হবে। পেনশন দেওয়া হবে, সঙ্গে থাকবে ৫০ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধা।”

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুনে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকার জেলা পরিষদের সভাধিপতির ভাতা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করেছিল। বেড়েছিল সহ-সভাধিপতি ও মুখিয়াদের ভাতাও। সেই ধারাকেই আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তেজস্বী যাদব। একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ক্ষৌরকার, ছুতোর ও মৃৎশিল্পীদের পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদহীন ঋণ দেওয়া হবে।

এদিন ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়েও নীতীশ সরকার ও বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করেন আরজেডি নেতা। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কাটিহারের এক সভা থেকে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় এলে এই আইনকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা হবে। নীতীশ কুমারের মদতেই বিহারে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছে আরএসএস ও বিজেপি। এই দলটিকে ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’ বলা উচিত।”

তেজস্বীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন, “বিরোধীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নিজেদের অবস্থান ও দায়িত্ব বুঝে কথা বলা উচিত।”

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সরকার গড়লে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দ্বিগুণ ভাতা ও পেনশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তেজস্বী যাদবের

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার

 

বিহারে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ভাতা দ্বিগুণ করা হবে। পাশাপাশি তাঁদের জন্য চালু হবে পেনশন ও বিমার সুবিধা—রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই ঘোষণা করলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।

ভোটের আর কয়েকদিন বাকি। তাই ভোটের আগে সমাজের নানা স্তরের মানুষের মন জয় করতে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তেজস্বী যাদব এখন রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রচারে ব্যস্ত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিহারের গ্রামীণ এলাকায় নিজেদের সংগঠন ও ভোটভিত্তি শক্ত করতেই পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের জন্য এই বিশেষ সুবিধার ঘোষণা করেছেন তিনি।

সাংবাদিক বৈঠকে তেজস্বী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা পেনশনের দাবি জানিয়ে আসছেন। আমরা ক্ষমতায় এলে তাঁদের ভাতা দ্বিগুণ করা হবে। পেনশন দেওয়া হবে, সঙ্গে থাকবে ৫০ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধা।”

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুনে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকার জেলা পরিষদের সভাধিপতির ভাতা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করেছিল। বেড়েছিল সহ-সভাধিপতি ও মুখিয়াদের ভাতাও। সেই ধারাকেই আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তেজস্বী যাদব। একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ক্ষৌরকার, ছুতোর ও মৃৎশিল্পীদের পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদহীন ঋণ দেওয়া হবে।

এদিন ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়েও নীতীশ সরকার ও বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করেন আরজেডি নেতা। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কাটিহারের এক সভা থেকে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় এলে এই আইনকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা হবে। নীতীশ কুমারের মদতেই বিহারে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছে আরএসএস ও বিজেপি। এই দলটিকে ‘ভারত জ্বালাও পার্টি’ বলা উচিত।”

তেজস্বীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন, “বিরোধীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নিজেদের অবস্থান ও দায়িত্ব বুঝে কথা বলা উচিত।”