২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

SIR নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না, সবাই দায়িত্ব নিয়ে পরিস্থিতির মোকাবেলা করুন: কামরুজ্জামান

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
  • / 140

 

নীরিহ বাঙালি মুসলিম শ্রমিকদের উপর অত্যাচার এবং ওয়াকফ সংশোধনী আইনের নামে মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থানের সম্পত্তি রাষ্ট্রীয়ভাবে দখলের যোগসাজশের বিরুদ্ধে রবিবার চাকদহ রসূল্যাহপুর সিনিয়র মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে একটি বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশটি সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন ও চাকদা ব্লক ইমাম কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়।

সমাবেশে প্রধান বক্তা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক ও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মাওলানা কামরুজ্জামান উপস্থিত জনতাকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার এবং দায়িত্বশীলভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “মোদী সরকার যত কালা-কানুনই আনা হোক, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক পথে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।”

কামরুজ্জামান বলেন, এসআইআর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রত্যেক গ্রামের সাধারণ মানুষকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য শিক্ষিত যুবকদের নিজ নিজ গ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন যে, মসজিদ ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের জন্য দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুরক্ষা বজায় রাখার কথা ছিল, কিন্তু সরকার ওয়াকফ সংশোধনী আইন দিয়ে মসজিদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা শেষ দিন পর্যন্ত এই কালা-কানুন ও ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।” সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা ও সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দও এই আইন ও এসআইআর-র বিপক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন।

দলিত আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস সমাবেশে বলেন, “এসআইআর-র মাধ্যমে মুসলমানদের বেনাগরিক করা যাবে না; তারা এই দেশের ভূমিপুত্র।” তিনি উল্লেখ করেন, ওপার বাংলার আগত দলিত ও মতুয়া সমাজের মানুষরা এসআইআর-এ সমস্যায় পড়বে এবং তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।

সমাবেশে মানিক ফকির, হাফেজ নাজমুল আরেফিন প্রমুখও বক্তব্য রাখেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সচেতনতা বাড়ানো ও সংগঠনকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

SIR নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না, সবাই দায়িত্ব নিয়ে পরিস্থিতির মোকাবেলা করুন: কামরুজ্জামান

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার

 

নীরিহ বাঙালি মুসলিম শ্রমিকদের উপর অত্যাচার এবং ওয়াকফ সংশোধনী আইনের নামে মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থানের সম্পত্তি রাষ্ট্রীয়ভাবে দখলের যোগসাজশের বিরুদ্ধে রবিবার চাকদহ রসূল্যাহপুর সিনিয়র মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে একটি বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশটি সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন ও চাকদা ব্লক ইমাম কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়।

সমাবেশে প্রধান বক্তা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক ও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মাওলানা কামরুজ্জামান উপস্থিত জনতাকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার এবং দায়িত্বশীলভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “মোদী সরকার যত কালা-কানুনই আনা হোক, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক পথে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।”

কামরুজ্জামান বলেন, এসআইআর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রত্যেক গ্রামের সাধারণ মানুষকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য শিক্ষিত যুবকদের নিজ নিজ গ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন যে, মসজিদ ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের জন্য দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুরক্ষা বজায় রাখার কথা ছিল, কিন্তু সরকার ওয়াকফ সংশোধনী আইন দিয়ে মসজিদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা শেষ দিন পর্যন্ত এই কালা-কানুন ও ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।” সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা ও সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দও এই আইন ও এসআইআর-র বিপক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন।

দলিত আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস সমাবেশে বলেন, “এসআইআর-র মাধ্যমে মুসলমানদের বেনাগরিক করা যাবে না; তারা এই দেশের ভূমিপুত্র।” তিনি উল্লেখ করেন, ওপার বাংলার আগত দলিত ও মতুয়া সমাজের মানুষরা এসআইআর-এ সমস্যায় পড়বে এবং তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।

সমাবেশে মানিক ফকির, হাফেজ নাজমুল আরেফিন প্রমুখও বক্তব্য রাখেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সচেতনতা বাড়ানো ও সংগঠনকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।