১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্ডিগো বিপর্যয়ের সাত দিন, ৩০০-র বেশি উড়ান বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি চরমে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইন্ডিগোর সঙ্কট যেন কাটছেই না। টানা ছ’দিনের অব্যবস্থার পর সপ্তম দিনেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল না। সোমবারও ইন্ডিগো বাতিল করেছে ৩০০-র বেশি উড়ান। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বাতিল হয়েছে ৩৬০টি ফ্লাইট।

দিল্লি বিমানবন্দরে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। সোমবারই সেখানে বাতিল হয়েছে ১৩৪টি উড়ান—এর মধ্যে ৫৯টি আগমন এবং ৭৫টি প্রস্থান। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বাতিল ১২৭টি, চেন্নাইয়ে ৭১টি, অহমদাবাদে ২০টি উড়ান। বিশাখাপত্তনম, কলকাতা ও মুম্বই থেকেও একাধিক ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাতদিন সময় নিলেন জ্ঞানবন্ত সিংহ

রবিবার ইন্ডিগো বাতিল করেছিল ৬৫০টি উড়ান। সংস্থার দাবি, সেদিনও ১,৬৫০টি উড়ান স্বাভাবিক পরিষেবা দিয়েছে। সাধারণত সংস্থাটি দিনে প্রায় ২,৩০০টি উড়ান পরিচালনা করে। কিন্তু গত শুক্রবার সেই সংখ্যা নেমে গিয়েছিল মাত্র ৭০৬-এ।

আরও পড়ুন: সাত দিনে রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫৩৫, আক্রান্তের শীর্ষে কলকাতা সহ ৪ জেলা

যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ ফেরত নিয়ে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কড়া নির্দেশের পর রবিবার রাত ৮টার মধ্যে যাত্রীদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছিল ইন্ডিগোকে। ইতিমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে ৬১০ কোটি টাকা, এবং ফেরতের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। পাশাপাশি যাত্রীদের ৩,০০০-র বেশি মালপত্রও ফেরত দিয়েছে বিমান সংস্থা।

আরও পড়ুন: সাত দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট পাবে শ্রীলঙ্কা

উড়ান বাতিল ও পরিষেবার বিশৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যেই ইন্ডিগোকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছে ডিজিসিএ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ জানাতে বলা হলেও অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করে সংস্থা। তাদের অনুরোধ মঞ্জুর করে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে লিখিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এবার নজর দিচ্ছে সমস্যার মূল উৎসে— ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (FDTL)-এর নতুন নিয়মই এই সঙ্কটের প্রধান কারণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী পাইলট ও বিমানকর্মীদের কাজের সময় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। ইন্ডিগোর বহু বিমান রাতের শেষে অবতরণ করে, ফলে এই নিয়ম তাদের ওপর বেশি চাপ তৈরি করেছে।

স্বাভাবিক পরিষেবা বজায় রাখতে যে সংখ্যক পাইলট ও কর্মী প্রয়োজন, তা বর্তমানে ইন্ডিগোর নেই। ফলে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়ছে। ইন্ডিগো কবে পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে পারবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না—তবে যাত্রীদের সমস্যায় কেন্দ্র, ডিজিসিএ এবং বিমান সংস্থা তিন পক্ষই এখন তৎপর।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.
সর্বধিক পাঠিত

মস্কোর কাছে রুশ সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, পাইলটসহ নিহত ৭

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইন্ডিগো বিপর্যয়ের সাত দিন, ৩০০-র বেশি উড়ান বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি চরমে

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইন্ডিগোর সঙ্কট যেন কাটছেই না। টানা ছ’দিনের অব্যবস্থার পর সপ্তম দিনেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল না। সোমবারও ইন্ডিগো বাতিল করেছে ৩০০-র বেশি উড়ান। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বাতিল হয়েছে ৩৬০টি ফ্লাইট।

দিল্লি বিমানবন্দরে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। সোমবারই সেখানে বাতিল হয়েছে ১৩৪টি উড়ান—এর মধ্যে ৫৯টি আগমন এবং ৭৫টি প্রস্থান। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বাতিল ১২৭টি, চেন্নাইয়ে ৭১টি, অহমদাবাদে ২০টি উড়ান। বিশাখাপত্তনম, কলকাতা ও মুম্বই থেকেও একাধিক ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাতদিন সময় নিলেন জ্ঞানবন্ত সিংহ

রবিবার ইন্ডিগো বাতিল করেছিল ৬৫০টি উড়ান। সংস্থার দাবি, সেদিনও ১,৬৫০টি উড়ান স্বাভাবিক পরিষেবা দিয়েছে। সাধারণত সংস্থাটি দিনে প্রায় ২,৩০০টি উড়ান পরিচালনা করে। কিন্তু গত শুক্রবার সেই সংখ্যা নেমে গিয়েছিল মাত্র ৭০৬-এ।

আরও পড়ুন: সাত দিনে রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫৩৫, আক্রান্তের শীর্ষে কলকাতা সহ ৪ জেলা

যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ ফেরত নিয়ে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কড়া নির্দেশের পর রবিবার রাত ৮টার মধ্যে যাত্রীদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছিল ইন্ডিগোকে। ইতিমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে ৬১০ কোটি টাকা, এবং ফেরতের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। পাশাপাশি যাত্রীদের ৩,০০০-র বেশি মালপত্রও ফেরত দিয়েছে বিমান সংস্থা।

আরও পড়ুন: সাত দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট পাবে শ্রীলঙ্কা

উড়ান বাতিল ও পরিষেবার বিশৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যেই ইন্ডিগোকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছে ডিজিসিএ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ জানাতে বলা হলেও অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করে সংস্থা। তাদের অনুরোধ মঞ্জুর করে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে লিখিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এবার নজর দিচ্ছে সমস্যার মূল উৎসে— ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (FDTL)-এর নতুন নিয়মই এই সঙ্কটের প্রধান কারণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী পাইলট ও বিমানকর্মীদের কাজের সময় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। ইন্ডিগোর বহু বিমান রাতের শেষে অবতরণ করে, ফলে এই নিয়ম তাদের ওপর বেশি চাপ তৈরি করেছে।

স্বাভাবিক পরিষেবা বজায় রাখতে যে সংখ্যক পাইলট ও কর্মী প্রয়োজন, তা বর্তমানে ইন্ডিগোর নেই। ফলে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়ছে। ইন্ডিগো কবে পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে পারবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না—তবে যাত্রীদের সমস্যায় কেন্দ্র, ডিজিসিএ এবং বিমান সংস্থা তিন পক্ষই এখন তৎপর।