পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সোমবার লোকসভায় ‘বন্দে মাতরম’–এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা হবে। এই আলোচনা শেষ হলেই নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, যেখানে উঠতে চলেছে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (সার) প্রসঙ্গ। এই দু’টি ইস্যুতেই সরকার বনাম বিরোধী সংঘাতে ময়দান ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে রয়েছে। ফলে তর্ক–বিতর্কে সংসদ সরগরম হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। সোমবার সংসদের উভয়কক্ষে আলোচনায় অংশ নেবেন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরা। তবে এনিয়ে আলোচনা শুরুর আগে সংসদ ভবনের বাইরে নিজেদের বকেয়া মেটানোর দাবিতে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদরা। হাতে পোস্টার, তাতে ১০০ দিনের কাজ থেকে একাধিক যৌথ প্রকল্পের অর্থ নিয়ে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ দেখালেন ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন, শতাব্দী রায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন বাংলার পাওনা অর্থ দিতে গড়িমসি করছে কেন্দ্র। একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। দুর্নীতি এবং নিয়ম লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে বাংলার প্রাপ্য বকেয়া আটকে দেয় কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্রের এই বঞ্চনার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার সংসদ চত্বরে হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। ওইদিন মিছিলে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সুস্মিতা দেব, মহুয়া মৈত্র, জুন মালিয়া-সহ অন্যান্য সাংসদরা। তৃণমূলের লোকসভার চিফ হুইপ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছিলেন, “বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য ২ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেনি। আমরা বকেয়া টাকা পরিশোধের দাবিতে প্রতিবাদ করছি।”
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের মোট পাওনা ১ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে একশো দিনের কাজে বাংলার পাওনা টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরও এখনও দিল্লি পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এনিয়ে বারংবার সরব হয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র জানিয়েছিলেন, “এই অচলাবস্থা বেশ কয়েকটি মূল প্রকল্পে বিস্তৃত। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, জল জীবন মিশন এবং এমজিএনআরইজিএ-র প্রাপ্য পাওনা অর্থ দেয়নি।”






























