হাওড়ায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, আটক ৪

- আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
- / 23
পুবের কলম প্রতিবেদক, হাওড়া: হাওড়ার নাজিরগঞ্জে তৃণমূলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র। হাওড়ার নাজিরগঞ্জে সোমবার রাতে খুন হন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা ওয়াজুল খান। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি হাওড়া জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক ছিলেন। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে। তৃণমূলের জেলা সদর সভাপতি দাবি করেছেন এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হাত রয়েছে।
জানা গেছে, রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী একটি টোটোতে এসেছিল। ওয়াজুল খানের ভাই মাসুদ আলম খান ওরফে গুড্ডুর বাড়ির সামনে সে সময় আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির কাছে ওই দুষ্কৃতিরা ওয়াজুলকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাওড়ারই এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ব্যক্তিগত আক্রোশে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। এই হত্যাকান্ডে রাজনৈতিক শত্রুতা থাকতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে বলে অভিযোগ। নাজিরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ জানান, গুলিবিদ্ধ ওয়াজুল খান তৃণমূলের জেলা সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক ছিলেন। তিনি দলের লড়াকু নেতা ছিলেন। তাঁর অভিযোগ বিজেপি চক্রান্ত করে এই নেতাকে সরিয়ে দিয়ে ওয়ার্ড দখল করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ঘটিয়েছে বলে তাঁর অনুমান।
গুলিবিদ্ধ ওয়াজুল এলাকার সক্রিয় শক্তিশালী সংগঠক সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক ছিলেন। উনি দলের একটা স্তম্ভ ছিলেন। উনিই এলাকার সংখ্যালঘুদের একত্রিত করে দলকে শক্তিশালী করেছিলেন। সেই শক্তিশালী সংগঠককে হারাতে হল এদিন। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে ওয়াজুলের ভাই গুড্ডু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। গুড্ডুর স্ত্রী নাসরিন খাতুন এক সময় হাওড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। পরে তিনি মেয়র পারিষদ সদস্য হন। ওয়াজুলের মৃত্যুতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট রয়েছে।