০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশ চলবে শরিয়াহ আইনে, পশ্চিমা মূল্যবোধ দিয়ে আফগানিস্তান চালানো সম্ভব নয় : মুহাম্মদ আব্বাস

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার
  • / 77

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : তালিবান দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর যা করেছে শরিয়া মেনে এবং ভবিষ্যতেও ইসলামি আইন মেনেই দেশ চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে-কারণেই হয়তো নিয়মনীতির লঙ্ঘন দলটির পছন্দ নয়। আফগানিস্তানের ওপর কোনও দেশ তাদের শক্তি জাহির করতে এলেই ক্ষুব্ধ হয় তালিবান।

এবার আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যাঁরা কথা বলতে আসেন– তাঁদের একহাত নিয়েছেন আফগান সরকারের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী শের মুহাম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজাই। স্পষ্ট বলেন– পশ্চিমা সংস্কৃতির সঙ্গে আফগানিস্তানের অনেক পার্থক্য রয়েছে– তাই পশ্চিমা মূল্যবোধ ও ভাবনা দিয়ে আফগানিস্তান চালানো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

স্ট্যানিকজাই আরও বলেছেন– আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার নাক গলানো উচিত নয়। কারণ আফগানিস্তান একটি স্বাধীন দেশ এবং এটি নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এক ইসলামি সমাবেশে তিনি বলেন– রাতের আঁধারে আফগানিস্তান ফেলে পালিয়েছে গিয়েছে দখলদাররা। এখন আফগানিস্তান সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্বাধীনভাবে। তাঁর কথায়– ‘শত্রুদের এটা ভাবা উচিত নয়– আফগানিস্তান চার দশকের যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পড়েছে বরং তাদের মাথায় এটি রাখা উচিত– আফগানিস্তান আরও ৪০ বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনার জবাবে স্ট্যানিকজাই বলেন– অবশ্যই আফগান নারী ও মেয়েদের কাজ এবং শিক্ষার অধিকার রয়েছে। তবে তিনি এও স্মরণ করিয়ে দেন– আফগানিস্তানের সংস্টৃñতি পশ্চিমের সংস্টৃñতি থেকে অনেক ভিন্ন।

আরও পড়ুন: রাডার থেকে নিখোঁজ বিমান, আফগানিস্তানের পর্বতে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান

এ সময় তিনি স্বীকার করেন– অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে প্রতিদিন শত শত আফগান দেশ ছেড়ে ইরানে যাচ্ছে এবং তাদের বেশিরভাগই সীমান্ত অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে বা প্রতিবেশী দেশে যাওয়ার পথে জীবন হারিয়েছে। তালিবান সরকারের এই ডেপুটি মন্ত্রী উল্লেখ করেন– দেশের অভ্যন্তরে জনগণের মধ্যে সংহতি এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাই এখন ইসলামি আমিরাতের বড় চ্যালেঞ্জ।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দেশ চলবে শরিয়াহ আইনে, পশ্চিমা মূল্যবোধ দিয়ে আফগানিস্তান চালানো সম্ভব নয় : মুহাম্মদ আব্বাস

আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : তালিবান দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর যা করেছে শরিয়া মেনে এবং ভবিষ্যতেও ইসলামি আইন মেনেই দেশ চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে-কারণেই হয়তো নিয়মনীতির লঙ্ঘন দলটির পছন্দ নয়। আফগানিস্তানের ওপর কোনও দেশ তাদের শক্তি জাহির করতে এলেই ক্ষুব্ধ হয় তালিবান।

এবার আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যাঁরা কথা বলতে আসেন– তাঁদের একহাত নিয়েছেন আফগান সরকারের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী শের মুহাম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজাই। স্পষ্ট বলেন– পশ্চিমা সংস্কৃতির সঙ্গে আফগানিস্তানের অনেক পার্থক্য রয়েছে– তাই পশ্চিমা মূল্যবোধ ও ভাবনা দিয়ে আফগানিস্তান চালানো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

স্ট্যানিকজাই আরও বলেছেন– আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার নাক গলানো উচিত নয়। কারণ আফগানিস্তান একটি স্বাধীন দেশ এবং এটি নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এক ইসলামি সমাবেশে তিনি বলেন– রাতের আঁধারে আফগানিস্তান ফেলে পালিয়েছে গিয়েছে দখলদাররা। এখন আফগানিস্তান সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্বাধীনভাবে। তাঁর কথায়– ‘শত্রুদের এটা ভাবা উচিত নয়– আফগানিস্তান চার দশকের যুদ্ধে দুর্বল হয়ে পড়েছে বরং তাদের মাথায় এটি রাখা উচিত– আফগানিস্তান আরও ৪০ বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনার জবাবে স্ট্যানিকজাই বলেন– অবশ্যই আফগান নারী ও মেয়েদের কাজ এবং শিক্ষার অধিকার রয়েছে। তবে তিনি এও স্মরণ করিয়ে দেন– আফগানিস্তানের সংস্টৃñতি পশ্চিমের সংস্টৃñতি থেকে অনেক ভিন্ন।

আরও পড়ুন: রাডার থেকে নিখোঁজ বিমান, আফগানিস্তানের পর্বতে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান

এ সময় তিনি স্বীকার করেন– অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে প্রতিদিন শত শত আফগান দেশ ছেড়ে ইরানে যাচ্ছে এবং তাদের বেশিরভাগই সীমান্ত অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে বা প্রতিবেশী দেশে যাওয়ার পথে জীবন হারিয়েছে। তালিবান সরকারের এই ডেপুটি মন্ত্রী উল্লেখ করেন– দেশের অভ্যন্তরে জনগণের মধ্যে সংহতি এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাই এখন ইসলামি আমিরাতের বড় চ্যালেঞ্জ।