১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দমদম এয়ারপোর্টের চাপ কমাতে এবার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দরের প্রস্তুতি নবান্নের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২১ জানুয়ারী ২০২২, শুক্রবার
  • / 28

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ  কলকাতার মানুষের জন্য সুখবর। দমদম বিমানবন্দরের পরে এবার দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারপোর্ট পেতে চলেছে কলকাতাবাসী। কলকাতার কাছেই এই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর গড়ে উঠবে। ভাঙড়ে চলছে জমি দেখার কাজ।  ইতিমধ্যেই এই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরির প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডের জন্য নবান্ন জমি দেখার নির্দেশ দিয়েছে। নবান্নের এই নির্দেশের সূত্র ধরেই এই কথা জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র।

কার্যত দমদম বিমানবন্দরে দেশ-বিদেশের সর্বত্র থেকে বিমান ওঠানামা করে। ফলে প্রতিদিন চাপ বাড়ছে দমদম বিমানবন্দরের। এই চাপ কমাতে এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: লাইফ এক মাদারি কা খেল বাবুয়া…………..

কলকাতার কাছাকাছি অঞ্চলে জমির খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর,  বোয়িং ৭৭৭-এর মতো বড় বিমান যাতে অবতরণ করতে পারে সেই রকমই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ রানওয়ে থাকবে এমন বিমানবন্দর তৈরির মতন জমি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৭ রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতায় এনআইএ তল্লাশি

উল্লেখ্য,  রাজ্য সরকার এমনিতেই পুরুলিয়ার ছররাতে একটি বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিহার, ছত্তীশগড়, ঝাড়খণ্ড থেকে যাতায়াতের সুবিধার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের বন্ধ বিমানবন্দরগুলি নতুন করে চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার কাছাকাছি নতুন বিমানবন্দর হলে যাত্রী সাচ্ছন্দ্যে বাড়বে। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতি হবে।

আরও পড়ুন: কলকাতার আকাশে যিলহজ মাসের চাঁদ, ঈদ-উল-আযহা ৭ জুন

উল্লেখ্য, দমদমে অবস্থিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের  পঞ্চম-ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট বলে পরিচিত। ১৯৯৫ সালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে বিমানবন্দরটি নামকরণের আগে এটি দমদম বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল।  যদিও স্থানীয়ভাবে এটি কলকাতা বিমানবন্দর নামে বেশি জনপ্রিয়। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন হয়। কলকাতা বিমানবন্দরটি ভারতের পুরনো বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি। এই বিমানবন্দরটি ১,৬৪১ একর (৬৬৪ হেক্টর) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর  উত্তর-পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, চিন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই, আবু ধাবি ও দোহার উড়ানের জন্য একটি প্রধান কেন্দ্র।

২০১৪ ও ২০১৫ সালে, কলকাতা বিমানবন্দরটি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রদত্ত শ্রেষ্ঠ উন্নত বিমানবন্দর শিরোপা অর্জন করে।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দমদম এয়ারপোর্টের চাপ কমাতে এবার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দরের প্রস্তুতি নবান্নের

আপডেট : ২১ জানুয়ারী ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ  কলকাতার মানুষের জন্য সুখবর। দমদম বিমানবন্দরের পরে এবার দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারপোর্ট পেতে চলেছে কলকাতাবাসী। কলকাতার কাছেই এই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর গড়ে উঠবে। ভাঙড়ে চলছে জমি দেখার কাজ।  ইতিমধ্যেই এই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরির প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডের জন্য নবান্ন জমি দেখার নির্দেশ দিয়েছে। নবান্নের এই নির্দেশের সূত্র ধরেই এই কথা জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র।

কার্যত দমদম বিমানবন্দরে দেশ-বিদেশের সর্বত্র থেকে বিমান ওঠানামা করে। ফলে প্রতিদিন চাপ বাড়ছে দমদম বিমানবন্দরের। এই চাপ কমাতে এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: লাইফ এক মাদারি কা খেল বাবুয়া…………..

কলকাতার কাছাকাছি অঞ্চলে জমির খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর,  বোয়িং ৭৭৭-এর মতো বড় বিমান যাতে অবতরণ করতে পারে সেই রকমই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ রানওয়ে থাকবে এমন বিমানবন্দর তৈরির মতন জমি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৭ রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতায় এনআইএ তল্লাশি

উল্লেখ্য,  রাজ্য সরকার এমনিতেই পুরুলিয়ার ছররাতে একটি বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিহার, ছত্তীশগড়, ঝাড়খণ্ড থেকে যাতায়াতের সুবিধার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের বন্ধ বিমানবন্দরগুলি নতুন করে চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার কাছাকাছি নতুন বিমানবন্দর হলে যাত্রী সাচ্ছন্দ্যে বাড়বে। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতি হবে।

আরও পড়ুন: কলকাতার আকাশে যিলহজ মাসের চাঁদ, ঈদ-উল-আযহা ৭ জুন

উল্লেখ্য, দমদমে অবস্থিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের  পঞ্চম-ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট বলে পরিচিত। ১৯৯৫ সালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে বিমানবন্দরটি নামকরণের আগে এটি দমদম বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল।  যদিও স্থানীয়ভাবে এটি কলকাতা বিমানবন্দর নামে বেশি জনপ্রিয়। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন হয়। কলকাতা বিমানবন্দরটি ভারতের পুরনো বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি। এই বিমানবন্দরটি ১,৬৪১ একর (৬৬৪ হেক্টর) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর  উত্তর-পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, চিন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই, আবু ধাবি ও দোহার উড়ানের জন্য একটি প্রধান কেন্দ্র।

২০১৪ ও ২০১৫ সালে, কলকাতা বিমানবন্দরটি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রদত্ত শ্রেষ্ঠ উন্নত বিমানবন্দর শিরোপা অর্জন করে।