কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ দু’মাসেও সুপারিশ করেনি রিভিউ কমিটি

- আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শনিবার
- / 24
পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনে পিএইডিতে ওবিসি-এ ১৯ জনের মধ্যে একজনকেও নেওয়া হয়নি। এই নিয়ে পুবের কলমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রিভিউ কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রিভিউ কমিটি গঠনের প্রায় দু’মাস অতিবাহিত হলেও একজনকেও ওবিসি-‘এ’ প্রার্থীকে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য সুপারিশ করেনি ওই কমিটি। এডুকেশন ছাড়াও গণিত-সহ একাধিক বিভাগে ওবিসি ‘এ’র একজনকেও ভর্তি নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ একাধিকবার উঠে এসেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ছাত্রভর্তি এবং চাকরি সংরক্ষণ নীতি উপেক্ষা করছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মানস কুমার স্যান্যালের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে অধ্যাপক নিয়োগেও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে।
কমিটির একজন নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক সদস্য জানান, পিএইচডিতে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে। ওই বৈঠকগুলিতে সংরক্ষণ কার্যকর নিয়ে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। উপরন্তু পরবর্তী রিভিউ মিটিং কবে হবে তার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এ’নও ঠিক করেননি কনভেনার।
এডুকেশন-সহ অন্যান্য বিভাগের পিএইচডিতে মাস দুয়েক আগে ভর্তি হয়। সংরক্ষণ না মানার অভিযোগে রিভিউ কমিটি হয়েছিল ৬ জানুয়ারি। দেড় মাস পার হলেও একজনকেও ওবিসি ‘এ’তে ভর্তি নেওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে ওবিসি- ‘এ’ সংরক্ষণে অনীহা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। অভিযোগের ভিত্তিতে নামমাত্র কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারণ দু’মাস কেটে যাওয়ার পরও সংরক্ষণ কোনওভাবে কার্যকর করা হয়নি। শুধু বৈঠকের পর বৈঠক করে সময় নষ্ট করে সেশনকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দূরশিক্ষা এবং বিভিন্ন পদে চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ মানা হয়নি। অভিযোগ জানানো হলে ও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক পদেও নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ রয়েছে।
এ দিকে পিএইচডি’র ভর্তিতে ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে বারাসত স্টেট ইউনির্ভাসিটি বিদ্যাসাগর কাজী নজরুল বর্ধমান প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তির পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্রেও যাতে ওবিসি ‘এ’ প্রার্থীরা একশো শতাংশ ‘রোস্টার’ মেনে সুযোগ পায় তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর।