০১ জানুয়ারী ২০২৬, বৃহস্পতিবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গঙ্গা-পদ্মার মিলনস্থলে পর্যটনকেন্দ্র গড়ার দাবি তুললেন ইদ্রিশ আলি!

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পিছিয়েপড়া জেলা মুর্শিদাবাদ। শিল্প সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে রয়েছে এই জেলা। জেলার বড় পর্যটনকেন্দ্র হাজার দুয়ারিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। বর্তমানে হাজার দুয়ারিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে জেলাকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পর্যটনকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করা যায়। এই জেলার অন্যতম বিধানসভা কেন্দ্র ভগবানগোলা। এই ভগবানগোলা বিধানসভা এলাকায় রয়েছে আখেরীগঞ্জ।

 

আরও পড়ুন: অদম্য জেরেই সাফল্য আরিফ বিল্লাহ-র

একটা সময় আখরিগঞ্জের নদী ভাঙনে ঘর বাড়ি হারিয়ে সরকারী নয়নজুলির উপর বসবাস করছেন বহু মানুষ। লালগোলা-বহরমপুর রেল লাইনের ধারে পীরতলা, ভগবানগোলা, সুবর্ণমৃগী রেল স্টেশনের কাছে গেলে বোঝা যায় মানুষ কত অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছেন। ভাঙন বিধ্বস্ত পিছিয়েপড়া এই ভগবানগোলায় পর্যটনকেন্দ্র করার জন্য রাজ্য বিধানসভায় সরব হলেন, স্থানীয় বিধায়ক আইনজীবী ইদ্রিশ আলি। বিধানসভায় তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ভগবানগোলার গঙ্গা-পদ্মা নদীর মিলনস্থলে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে জেলার মানটিত্রে ভগবানগোলা আরও উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নেবে। তিনি বলেন, হাজারদুয়ারির জন্য বহু পর্যটক মুর্শিদাবাদে হাজির হন। ভগবানগোলায় পর্যটনকেন্দ্র করে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ হবে গঙ্গা-পদ্মার এই মিলনস্থল।

আরও পড়ুন: রাজস্থানে শ্রমিক খুন, কফিনবন্দি হয়ে ফিরছেন মুর্শিদাবাদের ইসমাইল

 

আরও পড়ুন: SSC Scam Probe: কলকাতা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূমে ইডির অভিযান

বিধানসভায় এ দিন তিনি বলেন, ভগবানগোলা খুব গরিব এলাকা। এখানে পর্যটনকেন্দ্র করার মতো উপযুক্ত জায়গাও রয়েছে। এই এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র করলে বহু মানুষ কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন। অনেকেরই কর্মসংস্থান হবে।

 

বিধায়ক ইদ্রিশ আলির এই প্রস্তাবটি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পর্যটন দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন মনযোগ সহকারে শোনেন। ইন্দ্রনীল সেন বিধায়ক ইদ্রিশ আলির প্রস্তাবটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে প্রস্তাবটি দেওয়ার অনুরোধ করেন। এর উত্তরে ইন্দ্রনীল সেন বলেন, পর্যটন দফতরে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব এলে ভগবানগোলার গঙ্গা-পদ্মার মিলনস্থলে একটি পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করা হবে।

 

বিধায়ক ইদ্রিশ আলি বলেন, তিনি অত্যন্ত আশাবাদী পিছিয়ে পড়া ভগবানগোলাকে জেলার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবেন দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.
সর্বধিক পাঠিত

‘জয় শ্রী রাম’ বলাতে চাপ, বিজেপির রাজ্যে নির্যাতনের শিকার কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গঙ্গা-পদ্মার মিলনস্থলে পর্যটনকেন্দ্র গড়ার দাবি তুললেন ইদ্রিশ আলি!

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পিছিয়েপড়া জেলা মুর্শিদাবাদ। শিল্প সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে রয়েছে এই জেলা। জেলার বড় পর্যটনকেন্দ্র হাজার দুয়ারিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। বর্তমানে হাজার দুয়ারিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে জেলাকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পর্যটনকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করা যায়। এই জেলার অন্যতম বিধানসভা কেন্দ্র ভগবানগোলা। এই ভগবানগোলা বিধানসভা এলাকায় রয়েছে আখেরীগঞ্জ।

 

আরও পড়ুন: অদম্য জেরেই সাফল্য আরিফ বিল্লাহ-র

একটা সময় আখরিগঞ্জের নদী ভাঙনে ঘর বাড়ি হারিয়ে সরকারী নয়নজুলির উপর বসবাস করছেন বহু মানুষ। লালগোলা-বহরমপুর রেল লাইনের ধারে পীরতলা, ভগবানগোলা, সুবর্ণমৃগী রেল স্টেশনের কাছে গেলে বোঝা যায় মানুষ কত অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছেন। ভাঙন বিধ্বস্ত পিছিয়েপড়া এই ভগবানগোলায় পর্যটনকেন্দ্র করার জন্য রাজ্য বিধানসভায় সরব হলেন, স্থানীয় বিধায়ক আইনজীবী ইদ্রিশ আলি। বিধানসভায় তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ভগবানগোলার গঙ্গা-পদ্মা নদীর মিলনস্থলে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে জেলার মানটিত্রে ভগবানগোলা আরও উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নেবে। তিনি বলেন, হাজারদুয়ারির জন্য বহু পর্যটক মুর্শিদাবাদে হাজির হন। ভগবানগোলায় পর্যটনকেন্দ্র করে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ হবে গঙ্গা-পদ্মার এই মিলনস্থল।

আরও পড়ুন: রাজস্থানে শ্রমিক খুন, কফিনবন্দি হয়ে ফিরছেন মুর্শিদাবাদের ইসমাইল

 

আরও পড়ুন: SSC Scam Probe: কলকাতা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূমে ইডির অভিযান

বিধানসভায় এ দিন তিনি বলেন, ভগবানগোলা খুব গরিব এলাকা। এখানে পর্যটনকেন্দ্র করার মতো উপযুক্ত জায়গাও রয়েছে। এই এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র করলে বহু মানুষ কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন। অনেকেরই কর্মসংস্থান হবে।

 

বিধায়ক ইদ্রিশ আলির এই প্রস্তাবটি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পর্যটন দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন মনযোগ সহকারে শোনেন। ইন্দ্রনীল সেন বিধায়ক ইদ্রিশ আলির প্রস্তাবটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে প্রস্তাবটি দেওয়ার অনুরোধ করেন। এর উত্তরে ইন্দ্রনীল সেন বলেন, পর্যটন দফতরে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব এলে ভগবানগোলার গঙ্গা-পদ্মার মিলনস্থলে একটি পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করা হবে।

 

বিধায়ক ইদ্রিশ আলি বলেন, তিনি অত্যন্ত আশাবাদী পিছিয়ে পড়া ভগবানগোলাকে জেলার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবেন দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।