১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিনের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা চাইছে মস্কো , সজাগ আমেরিকা

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, সোমবার
  • / 14

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : চিনের কাছ থেকে সামরিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া।ফিনান্সিয়াল টাইমস (এফটি) এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে।

এফটি-র খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য বেইজিংয়ের কাছে সামরিক রসদ চেয়েছে মস্কো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেছেন আক্রমণ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া চিনের কাছে সরঞ্জাম চেয়ে অনুরোধ করে আসছে। রাশিয়া কি ধরনের সরঞ্জাম চাইছে তা উল্লেখ করতে এফটি-র খবরে বলা হয় যে, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য বেইজিংয়ের কাছে সামরিক রসদ চেয়েছে মস্কো।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এফটি জানিয়েছে যে, আক্রমণ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া চীনের কাছে সরঞ্জাম চেয়ে অনুরোধ করে আসছে। কর্মকর্তারা রাশিয়া কি ধরনের সরঞ্জাম চাইছে তা উল্লেখ করতে অস্বীকার করেন ওই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা । একই পথে হেঁটেছে কানাডা-অস্ট্রেলিয়া সহ ইউরোপের একাধিক দেশ। যুদ্ধ শুরু কিছুদিনের মধ্যেই সুইফট  ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে বাদ দেওয়া হয় রাশিয়ার ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন প্রক্রিয়া চালাতে সমস্যা পড়ে রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। কোপ পড়ে রাশিয়ার একাধিক আমদানি-রফতানি সংস্থার উপরেও।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত সিরিয়া, দু’দিনে মৃত হাজারেরও বেশি

রাশিয়ার আয়ের একটা বড় অংশ নির্ভর করে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির উপরে। সুইফট থেকে বাদ পড়ার কারণে ধাক্কা খায় এই বাণিজ্য। এর পরপরই রাশিয়ার জন্য নিজেদের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেয় কানাডা-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ। ব্যবসায় ধাক্কা দেয় সেটিও। এরপর রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা।

ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে কসুর করেনি আমেরিকা। সেনা না পাঠালেও টানা আর্থিক সাহায্য করে আসছে আমেরিকা। পাঠানো হচ্ছে বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র। একই পথে হেঁটেছে একাধিক দেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই কারণেই হিসেব গন্ডগোল হতে পারে রাশিয়ার। বেশিদিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হচ্ছে পুতিনবাহিনীকে। ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ারও। সব মিলিয়ে এবার নিজেদের পাশে আরও একটি বড় শক্তিকে পেতে চাইছে রাশিয়া। এমনটাই মনে করছে আমেরিকা প্রশাসনের একটি অংশ।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চিনের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা চাইছে মস্কো , সজাগ আমেরিকা

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : চিনের কাছ থেকে সামরিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া।ফিনান্সিয়াল টাইমস (এফটি) এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে।

এফটি-র খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য বেইজিংয়ের কাছে সামরিক রসদ চেয়েছে মস্কো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেছেন আক্রমণ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া চিনের কাছে সরঞ্জাম চেয়ে অনুরোধ করে আসছে। রাশিয়া কি ধরনের সরঞ্জাম চাইছে তা উল্লেখ করতে এফটি-র খবরে বলা হয় যে, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য বেইজিংয়ের কাছে সামরিক রসদ চেয়েছে মস্কো।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এফটি জানিয়েছে যে, আক্রমণ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া চীনের কাছে সরঞ্জাম চেয়ে অনুরোধ করে আসছে। কর্মকর্তারা রাশিয়া কি ধরনের সরঞ্জাম চাইছে তা উল্লেখ করতে অস্বীকার করেন ওই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা । একই পথে হেঁটেছে কানাডা-অস্ট্রেলিয়া সহ ইউরোপের একাধিক দেশ। যুদ্ধ শুরু কিছুদিনের মধ্যেই সুইফট  ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে বাদ দেওয়া হয় রাশিয়ার ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন প্রক্রিয়া চালাতে সমস্যা পড়ে রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। কোপ পড়ে রাশিয়ার একাধিক আমদানি-রফতানি সংস্থার উপরেও।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত সিরিয়া, দু’দিনে মৃত হাজারেরও বেশি

রাশিয়ার আয়ের একটা বড় অংশ নির্ভর করে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির উপরে। সুইফট থেকে বাদ পড়ার কারণে ধাক্কা খায় এই বাণিজ্য। এর পরপরই রাশিয়ার জন্য নিজেদের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেয় কানাডা-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ। ব্যবসায় ধাক্কা দেয় সেটিও। এরপর রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা।

ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে কসুর করেনি আমেরিকা। সেনা না পাঠালেও টানা আর্থিক সাহায্য করে আসছে আমেরিকা। পাঠানো হচ্ছে বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র। একই পথে হেঁটেছে একাধিক দেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই কারণেই হিসেব গন্ডগোল হতে পারে রাশিয়ার। বেশিদিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হচ্ছে পুতিনবাহিনীকে। ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ারও। সব মিলিয়ে এবার নিজেদের পাশে আরও একটি বড় শক্তিকে পেতে চাইছে রাশিয়া। এমনটাই মনে করছে আমেরিকা প্রশাসনের একটি অংশ।