১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিছু ইউরোপীয় রুশফোবিয়াকে কাজে লাগাচ্ছে­ রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 124

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম প্রতিবেদক: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে সমগ্র ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রুশফোবিয়া হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে। নাটকীয়ভাবে তারা এমন সব ভাষা ব্যবহার করছে, যাতে রাশিয়া নিয়ে ভীতি তৈরি করতে সুবিধা হয়। ইউরোপ ও আমেরিকার নেতারা অকূটনৈতিক ভাষা ব্যবহার করছেন। এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ। ২০০৮-২০১২ সাল পর্যন্ত দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন। বর্তমানে রুশ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান তিনি। তাঁর দাবি, ইউরোপের বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি এবং দেশগুলি তাদের নিজস্ব স্বার্থের জন্য রুশফোবিয়াকে তুঙ্গে নিয়ে গেছে।

 

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

রুশ আধিকারিকরা বলেন, রাশিয়া নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করা হয় যা শুনে আমারা হতবাক হই। রাশিয়ার আচরণ কখনোই ব্যক্তিগত ছিল না। রাশিয়া বরাবর সকলের সঙ্গে নম্ভ্র আচরণ করেছে। মেদভেদেভের মতে, রাশিয়ার প্রতি অন্যেরা নানা কঠোর মন্তব্য করেছে। তারপরও মস্কো ‘নৈতিকতা এবং ভালো আচরণ’ থেকে সরে আসেনি। অন্যান্য দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কখনও সস্তা কটাক্ষ রাশিয়া করেনি। অন্যেরা যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেছে, রাশিয়া তখনও তাদের পালটা আঘাত করেননি।

আরও পড়ুন: Indian National in Russian Army: রুশ সেনায় যোগ দেবেন না, ভারতীয়দের সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার

 

আরও পড়ুন: দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে ৭.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রাক্তন রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ বলেছেন রুশফোবিয়া কয়েক শতাব্দী আগেকার। ইতিহাসের কিছু ঘটনা নতুন করে উঠে আসে। যা নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। ১৯ শতকের রাশিয়ান কবি ফায়োদর টিউতচেভকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ১৫০ বছর আগে পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে দল বেঁধেছিল। তারা আমাদের বহিষ্কার করতে চেয়েছিল।’ দিমিত্রি মেদভেদেভ পশ্চিমাদের দ্বিচারিতা নিয়ে কটাক্ষ করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময় ভেবেছে সবকিছু তাদের হাতে। সমস্ত কিছুরই ওপর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেবল তাদেরই আছে, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।

 

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলি এখন মস্কোর সমালোচনা করছে। মনে রাখবেন, ইউরোপীয় হওয়ার একচেটিয়া অধিকার আপনাদের নেই। ইউরোপের ইতিহাস নতুন করে রাশিয়াকে শেখাতে হবে না । সুতরাং, রাশিয়াকে ইউরোপীয় হিসাবে নতুন করে উপস্থাপন করার যেকোনও প্রচেষ্টা হাস্যকর।

 

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কিছু ইউরোপীয় রুশফোবিয়াকে কাজে লাগাচ্ছে­ রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে সমগ্র ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রুশফোবিয়া হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে। নাটকীয়ভাবে তারা এমন সব ভাষা ব্যবহার করছে, যাতে রাশিয়া নিয়ে ভীতি তৈরি করতে সুবিধা হয়। ইউরোপ ও আমেরিকার নেতারা অকূটনৈতিক ভাষা ব্যবহার করছেন। এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ। ২০০৮-২০১২ সাল পর্যন্ত দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন। বর্তমানে রুশ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান তিনি। তাঁর দাবি, ইউরোপের বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি এবং দেশগুলি তাদের নিজস্ব স্বার্থের জন্য রুশফোবিয়াকে তুঙ্গে নিয়ে গেছে।

 

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

রুশ আধিকারিকরা বলেন, রাশিয়া নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করা হয় যা শুনে আমারা হতবাক হই। রাশিয়ার আচরণ কখনোই ব্যক্তিগত ছিল না। রাশিয়া বরাবর সকলের সঙ্গে নম্ভ্র আচরণ করেছে। মেদভেদেভের মতে, রাশিয়ার প্রতি অন্যেরা নানা কঠোর মন্তব্য করেছে। তারপরও মস্কো ‘নৈতিকতা এবং ভালো আচরণ’ থেকে সরে আসেনি। অন্যান্য দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কখনও সস্তা কটাক্ষ রাশিয়া করেনি। অন্যেরা যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেছে, রাশিয়া তখনও তাদের পালটা আঘাত করেননি।

আরও পড়ুন: Indian National in Russian Army: রুশ সেনায় যোগ দেবেন না, ভারতীয়দের সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার

 

আরও পড়ুন: দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে ৭.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রাক্তন রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ বলেছেন রুশফোবিয়া কয়েক শতাব্দী আগেকার। ইতিহাসের কিছু ঘটনা নতুন করে উঠে আসে। যা নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। ১৯ শতকের রাশিয়ান কবি ফায়োদর টিউতচেভকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ১৫০ বছর আগে পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে দল বেঁধেছিল। তারা আমাদের বহিষ্কার করতে চেয়েছিল।’ দিমিত্রি মেদভেদেভ পশ্চিমাদের দ্বিচারিতা নিয়ে কটাক্ষ করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময় ভেবেছে সবকিছু তাদের হাতে। সমস্ত কিছুরই ওপর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেবল তাদেরই আছে, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।

 

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলি এখন মস্কোর সমালোচনা করছে। মনে রাখবেন, ইউরোপীয় হওয়ার একচেটিয়া অধিকার আপনাদের নেই। ইউরোপের ইতিহাস নতুন করে রাশিয়াকে শেখাতে হবে না । সুতরাং, রাশিয়াকে ইউরোপীয় হিসাবে নতুন করে উপস্থাপন করার যেকোনও প্রচেষ্টা হাস্যকর।