০৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফি বাকি থাকলেও বেসরকারি স্কুলকে পড়ুয়াকে দিতে হবে মার্কশীট, ক্লাস করার সুযোগ:পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২২, বুধবার
  • / 34

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়ার ফি বাকি থাকলে বা কম দিলেও আটকানো যাবেনা তার মার্কশিট। এমনকি ওই পড়ুয়াকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণও করতে হবে।বুধবার এমনই রায়দিল কলকাতা হাইকোর্ট।করোনা কালে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন অনেক অভিভাবক। সেই কারণে বাকি পড়ছে পড়ুয়াদের স্কুল ফি। ফি কমানোর আর্জিও জানিয়েছেন অনেক অভিভাবক।

বুধবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ এই  পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করেছেন।এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০জুন।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

করোনাকালে বেসরকারি স্কুলের ফি উত্তোরত্তর বাড়ানো নিয়ে ক্রমেই চড়ছে ক্ষোভের পারদ। ইতিমধ্যেই দুবছরের অনলাইন সময়ের ইতি টেনে শুরু হয়েছে পুরোমাত্রার স্কুল। কিন্তু অভিযোগ ফি বাকি থাকায় অনেক সময় পড়ুয়াকে ক্লাস করতে দেওয়া হছেনা। আবার অনেক ক্ষেত্রে সেই ছাত্র বা ছাত্রীর মার্কশির্ট আটকে দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

শুনানির শেষে বিচারপতি মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ। ”স্কুল হচ্ছে মন্দির। সেখানে যদি এরকম গন্ডগোল  হয় তাহলে কিছু বলার নেই। আদালতের পক্ষে কি সবসময় নজর রাখা সম্ভব? আপনি যদি খারাপ হাসপাতালে ভরতি হয়ে ভাল পরিষেবা আশা করেন আর আদালতকে নজর রাখতে বলেন, সেটা কীভাবে সম্ভব”

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

ফি বকেয়া থাকলেও রাজ্যের ১৪৫টি বেসরকারি স্কুল কোনও পড়ুয়ার উত্তীর্ণ হওয়া বা তার মার্কশিট আটকাতে পারবে না।

সমস্ত পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে যোগদান করতে দিতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

করোনা কালে কোন পড়ুয়া কত ফি দিয়েছেন তার হিসাব আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকদের দিতে হবে।

সব নথি খতিয়ে দেখে কোন পড়ুয়ার কত টাকা বকেয়া রয়েছে তা নির্ধারণ করবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক।

আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক যে বকেয়া ফি নির্ধারণ করবেন তা দিতে হবে অভিভাবকদের।

এমনকি করোনাকালে  যে সমস্ত অভিভাবক একেবারেই ফি জমা দেননি তাও খতিয়ে দেখবেন আদালত যুক্ত বিশেষ আধিকারিক ।

অভিভাবকরা নতুন সেশনে কোন রকম ছাড়াই ফি দেবেন।

করোনা কালের হিসেব অনুযায়ী যে বেতন দিয়েছেন অভিভাবক তার স্টেটমেন্ট রাখতে হবে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফি বাকি থাকলেও বেসরকারি স্কুলকে পড়ুয়াকে দিতে হবে মার্কশীট, ক্লাস করার সুযোগ:পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের

আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়ার ফি বাকি থাকলে বা কম দিলেও আটকানো যাবেনা তার মার্কশিট। এমনকি ওই পড়ুয়াকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণও করতে হবে।বুধবার এমনই রায়দিল কলকাতা হাইকোর্ট।করোনা কালে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন অনেক অভিভাবক। সেই কারণে বাকি পড়ছে পড়ুয়াদের স্কুল ফি। ফি কমানোর আর্জিও জানিয়েছেন অনেক অভিভাবক।

বুধবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ এই  পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করেছেন।এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০জুন।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

করোনাকালে বেসরকারি স্কুলের ফি উত্তোরত্তর বাড়ানো নিয়ে ক্রমেই চড়ছে ক্ষোভের পারদ। ইতিমধ্যেই দুবছরের অনলাইন সময়ের ইতি টেনে শুরু হয়েছে পুরোমাত্রার স্কুল। কিন্তু অভিযোগ ফি বাকি থাকায় অনেক সময় পড়ুয়াকে ক্লাস করতে দেওয়া হছেনা। আবার অনেক ক্ষেত্রে সেই ছাত্র বা ছাত্রীর মার্কশির্ট আটকে দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

শুনানির শেষে বিচারপতি মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ। ”স্কুল হচ্ছে মন্দির। সেখানে যদি এরকম গন্ডগোল  হয় তাহলে কিছু বলার নেই। আদালতের পক্ষে কি সবসময় নজর রাখা সম্ভব? আপনি যদি খারাপ হাসপাতালে ভরতি হয়ে ভাল পরিষেবা আশা করেন আর আদালতকে নজর রাখতে বলেন, সেটা কীভাবে সম্ভব”

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

ফি বকেয়া থাকলেও রাজ্যের ১৪৫টি বেসরকারি স্কুল কোনও পড়ুয়ার উত্তীর্ণ হওয়া বা তার মার্কশিট আটকাতে পারবে না।

সমস্ত পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে যোগদান করতে দিতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

করোনা কালে কোন পড়ুয়া কত ফি দিয়েছেন তার হিসাব আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকদের দিতে হবে।

সব নথি খতিয়ে দেখে কোন পড়ুয়ার কত টাকা বকেয়া রয়েছে তা নির্ধারণ করবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক।

আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক যে বকেয়া ফি নির্ধারণ করবেন তা দিতে হবে অভিভাবকদের।

এমনকি করোনাকালে  যে সমস্ত অভিভাবক একেবারেই ফি জমা দেননি তাও খতিয়ে দেখবেন আদালত যুক্ত বিশেষ আধিকারিক ।

অভিভাবকরা নতুন সেশনে কোন রকম ছাড়াই ফি দেবেন।

করোনা কালের হিসেব অনুযায়ী যে বেতন দিয়েছেন অভিভাবক তার স্টেটমেন্ট রাখতে হবে।