০৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ,উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, রবিবার
  • / 49

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ভৌগলিক কারণে অসম বন্যাপ্রবণ হওয়ায় কমবেশি প্রতিবছরই এখানে বন্যা হয়। তবে এবারের বন্যা শুধু ভৌগলিক কারণে হয়নি, বরাক নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন করে বিপদ ডেকে এনেছে শিলচরের একাধিক অঞ্চলে। কিছু কিছু অঞ্চল বিপদমুক্ত হলেও, একাধিক অঞ্চল রয়েছে জলের তলায়। ফের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি অসমে।ইতিমধ্যেই, প্রবল বৃষ্টিপাত,বন্যা, ভূমিধ্বসের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। কাছাড় জেলার শিলচর শহর টানা ৭ দিন ধরে জলার তলায় রয়েছে। প্রায় ৩ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলবন্দি মানুষের কাছে ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ,উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা
এমনকি বায়ু সেনার সাহায্যে ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় হেলিকপ্টারের সাহায্যে ত্রাণ পাঠানও হয়েছে একাধিক জায়গায়।

আরও পড়ুন: কাছাড় জেলায় সরকারি দফতরে বাংলা বাধ্যতামূলক

প্রশাসন সূত্রে খবর,জল না নামা পর্যন্তও এভাবেই ত্রাণ পাঠিয়ে যাবেন তারা। পাশাপাশি শিলচরে একাধিক অসুস্থ মানুষদের ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: অসমে নয়া গ্যাস ভান্ডার, ৫ দিন ধরে তীব্র গতিতে বেরিয়ে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাস

অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ,উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ২০৭ জন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ১২০ জন জওয়ানকে উদ্ধার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। শিলচরের আশে পাশে ৯টি নৌকা রাখা হয়েছে, প্রয়োজনে তা উদ্ধারকার্যে ব্যবহার করা হতে পারে। উদ্ধারকার্যের জন্য দুটি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: অসমের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যা, ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু

সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, খারাপ আবহাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পাসের অধীনে শ্রীকোনা ব্যাটেলিয়ন শুক্রবার ১৪০ জনকে উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আকাশপথে শিলচরের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, শিলচরের জলবন্দি মানুষকে উদ্ধার করতে অতিরিক্ত উদ্ধারকর্মী পাঠানো হবে। রাজ্য সরকার জানিয়েছেন, কাছাড় ও বারাক উপত্যকা বন্যায় সব থেকে বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাজ্য সরকার ৮৫.২ মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রী ইতিমধ্যে গুয়াহাটি থেকে শিলচরে পাঠিয়েছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ,উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা

আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ভৌগলিক কারণে অসম বন্যাপ্রবণ হওয়ায় কমবেশি প্রতিবছরই এখানে বন্যা হয়। তবে এবারের বন্যা শুধু ভৌগলিক কারণে হয়নি, বরাক নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন করে বিপদ ডেকে এনেছে শিলচরের একাধিক অঞ্চলে। কিছু কিছু অঞ্চল বিপদমুক্ত হলেও, একাধিক অঞ্চল রয়েছে জলের তলায়। ফের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি অসমে।ইতিমধ্যেই, প্রবল বৃষ্টিপাত,বন্যা, ভূমিধ্বসের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। কাছাড় জেলার শিলচর শহর টানা ৭ দিন ধরে জলার তলায় রয়েছে। প্রায় ৩ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলবন্দি মানুষের কাছে ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ,উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা
এমনকি বায়ু সেনার সাহায্যে ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় হেলিকপ্টারের সাহায্যে ত্রাণ পাঠানও হয়েছে একাধিক জায়গায়।

আরও পড়ুন: কাছাড় জেলায় সরকারি দফতরে বাংলা বাধ্যতামূলক

প্রশাসন সূত্রে খবর,জল না নামা পর্যন্তও এভাবেই ত্রাণ পাঠিয়ে যাবেন তারা। পাশাপাশি শিলচরে একাধিক অসুস্থ মানুষদের ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: অসমে নয়া গ্যাস ভান্ডার, ৫ দিন ধরে তীব্র গতিতে বেরিয়ে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাস

অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ,উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ২০৭ জন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ১২০ জন জওয়ানকে উদ্ধার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। শিলচরের আশে পাশে ৯টি নৌকা রাখা হয়েছে, প্রয়োজনে তা উদ্ধারকার্যে ব্যবহার করা হতে পারে। উদ্ধারকার্যের জন্য দুটি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: অসমের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যা, ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু

সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, খারাপ আবহাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পাসের অধীনে শ্রীকোনা ব্যাটেলিয়ন শুক্রবার ১৪০ জনকে উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আকাশপথে শিলচরের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, শিলচরের জলবন্দি মানুষকে উদ্ধার করতে অতিরিক্ত উদ্ধারকর্মী পাঠানো হবে। রাজ্য সরকার জানিয়েছেন, কাছাড় ও বারাক উপত্যকা বন্যায় সব থেকে বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাজ্য সরকার ৮৫.২ মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রী ইতিমধ্যে গুয়াহাটি থেকে শিলচরে পাঠিয়েছেন।