০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনি বন্দির অনশন ভাঙিয়ে ইসরাইলি প্রতারণা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, রবিবার
  • / 165

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে অনশনরত এক ফিলিস্তিনি বন্দির সঙ্গে প্রতারণা করেছে ইসরাইলি সরকার। অনেকদিন ধরেই ওই ফিলিস্তিনি বন্দির অনশন ভাঙাতে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরাইল। তাই তাকে চালাকি করে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনশন ভাঙার পর সেই প্রতিশ্রুতি ভেঙে দেয় ইসরাইল।

 

আরও পড়ুন: ‘গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ভারত সরকারকেও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে’, দাবি বামপন্থীদের

ফিলিস্তিনি বন্দির আটকের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর চার সন্তানের পিতা খলিল আওয়াদেহকে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে আটক করে ইসরাইল। পরে কোনও বিচার ছাড়াই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ইসরাইলি নিয়মানুসারে ছয় মাসের জন্য কোনও চার্জ বা বিচার ছাড়াই যে কোনও ফিলিস্তিনিকে আটকে রাখা যায়। ৪০ বছর বয়সী খলিল মধ্য ইসরাইলের রামলেহ কারাগারে বন্দি।

আরও পড়ুন: Israel’s Supreme Court : ফিলিস্তিনি বন্দিদের খেতে দিচ্ছে না নেতানিয়াহু সরকার

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের ঘটনায় সরব PALESTINE

মুক্তির দাবিতে তিনি ১১১ দিন ধরে অনশন করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন অনশনের কারণে তার সারা শরীরে, বিশেষত তার নিম্নাঙ্গে ও পেশীগুলোতে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহে রামলেহ কারাগারে খলিল রক্ত বমি করেন এবং তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সাথে দুর্বল দৃষ্টিশক্তির বিষয়টি তো ছিলই। এ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে খলিল কারাগারে ফিরে আসেন। সব মিলিয়ে খলিলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

 

এই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ খলিল আওয়াদেহকে মুক্তি দেওয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে কোনও তারিখ দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় ১১১ দিন পরে খলিল অনশন ভাঙেন। পরবর্তীতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ মুক্তি দেওয়ার মৌখিক চুক্তি বাতিল করে এবং বন্দি দশা আরও চার মাস তিন দিন বৃদ্ধি করে।

 

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফিলিস্তিনি বন্দির অনশন ভাঙিয়ে ইসরাইলি প্রতারণা

আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে অনশনরত এক ফিলিস্তিনি বন্দির সঙ্গে প্রতারণা করেছে ইসরাইলি সরকার। অনেকদিন ধরেই ওই ফিলিস্তিনি বন্দির অনশন ভাঙাতে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরাইল। তাই তাকে চালাকি করে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনশন ভাঙার পর সেই প্রতিশ্রুতি ভেঙে দেয় ইসরাইল।

 

আরও পড়ুন: ‘গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ভারত সরকারকেও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে’, দাবি বামপন্থীদের

ফিলিস্তিনি বন্দির আটকের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর চার সন্তানের পিতা খলিল আওয়াদেহকে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে আটক করে ইসরাইল। পরে কোনও বিচার ছাড়াই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ইসরাইলি নিয়মানুসারে ছয় মাসের জন্য কোনও চার্জ বা বিচার ছাড়াই যে কোনও ফিলিস্তিনিকে আটকে রাখা যায়। ৪০ বছর বয়সী খলিল মধ্য ইসরাইলের রামলেহ কারাগারে বন্দি।

আরও পড়ুন: Israel’s Supreme Court : ফিলিস্তিনি বন্দিদের খেতে দিচ্ছে না নেতানিয়াহু সরকার

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের ঘটনায় সরব PALESTINE

মুক্তির দাবিতে তিনি ১১১ দিন ধরে অনশন করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন অনশনের কারণে তার সারা শরীরে, বিশেষত তার নিম্নাঙ্গে ও পেশীগুলোতে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহে রামলেহ কারাগারে খলিল রক্ত বমি করেন এবং তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সাথে দুর্বল দৃষ্টিশক্তির বিষয়টি তো ছিলই। এ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে খলিল কারাগারে ফিরে আসেন। সব মিলিয়ে খলিলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

 

এই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ খলিল আওয়াদেহকে মুক্তি দেওয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে কোনও তারিখ দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় ১১১ দিন পরে খলিল অনশন ভাঙেন। পরবর্তীতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ মুক্তি দেওয়ার মৌখিক চুক্তি বাতিল করে এবং বন্দি দশা আরও চার মাস তিন দিন বৃদ্ধি করে।