১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিদেবপুর কাণ্ডে দোষী কাউকে রেয়াত করা হবে নাঃ মেয়র

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ জুন ২০২২, বুধবার
  • / 29

পুবের কলম প্রতিবেদক: হরিদেবপুর কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই দায় কার তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় দড়ি টানাটানি। গোটা পরিস্থিতির মুখে তদন্ত কমিটি গঠন করে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অবশেষে ওই ঘটনার রিপোর্ট সামনে আসে বুধবার। তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে চরম গাফিলতির বিষয়টি। আর্থিং না থাকা থেকে ওয়েল্ডিং সঠিক ভাবে না করা এমন একাধিক ত্রুটির কথা উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় মূলত যাঁরা দায়ী, তাঁদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

পুর সূত্রে খবর, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত পোস্টে যে আলোর সংযোগ রয়েছে, সেখানে কোনোরকম আর্থিং এর কাজ করা হয়নি৷ পোস্টের তারগুলি সঠিকভাবে জোড়া ছিল না৷ ওয়েল্ডিংও নিয়মমেনে করা হয়নি৷ নিয়মিত নজরদারির স্পষ্ট অভাব। ওই আলো লাগানোর পর কয়েক মাস পার হলেও জন্য কোনও পরিদর্শন করা হয়নি।

আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করায় মারধর, ‘টক টু মেয়র’-এ প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ মহিলার

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। যদি কেউ অযোগ্য হও তবে ওই পদে সে বসে থাকতে পারো না। যার অপদর্থতার জন্য যদি কারো প্রাণ যায় তবে তাঁকেই তার দায়িত্ব নিতে হবে। ধামাচাপা দেওয়ার কোনো জায়গা নেই। একটা বাচ্চার প্রাণ গেছে, আমরা তার কারণ অনুসন্ধান করে ব্যাবস্থা নেব। আর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়।’

আরও পড়ুন:      ‘দোষী প্রমাণিত হলে আমি স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করব’ মন্তব্য ব্রিজভূষণের  

আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, ‘বার বার বলা সত্ত্বেও অফিসাররা খুব ক্যাজুয়াল নেয়। একটা পদক্ষেপ না নিলে এই ক্যাজুয়াল নেশটা যাবে না। আসি যাই মাইনে পাই সেই যুগ চলে গেছে। আমরা চাইছি বাংলায় কর্ম সংস্কৃতি ফেরাতে যেটা ৩৪ বছর ধরে আমাদের মধ্যে থেকে উধাও হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন: কার্ডিফের মেয়র হলেন বাঙালি বাবলিন

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হরিদেবপুর কাণ্ডে দোষী কাউকে রেয়াত করা হবে নাঃ মেয়র

আপডেট : ২৯ জুন ২০২২, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: হরিদেবপুর কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই দায় কার তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় দড়ি টানাটানি। গোটা পরিস্থিতির মুখে তদন্ত কমিটি গঠন করে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অবশেষে ওই ঘটনার রিপোর্ট সামনে আসে বুধবার। তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে চরম গাফিলতির বিষয়টি। আর্থিং না থাকা থেকে ওয়েল্ডিং সঠিক ভাবে না করা এমন একাধিক ত্রুটির কথা উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় মূলত যাঁরা দায়ী, তাঁদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

পুর সূত্রে খবর, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত পোস্টে যে আলোর সংযোগ রয়েছে, সেখানে কোনোরকম আর্থিং এর কাজ করা হয়নি৷ পোস্টের তারগুলি সঠিকভাবে জোড়া ছিল না৷ ওয়েল্ডিংও নিয়মমেনে করা হয়নি৷ নিয়মিত নজরদারির স্পষ্ট অভাব। ওই আলো লাগানোর পর কয়েক মাস পার হলেও জন্য কোনও পরিদর্শন করা হয়নি।

আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করায় মারধর, ‘টক টু মেয়র’-এ প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ মহিলার

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। যদি কেউ অযোগ্য হও তবে ওই পদে সে বসে থাকতে পারো না। যার অপদর্থতার জন্য যদি কারো প্রাণ যায় তবে তাঁকেই তার দায়িত্ব নিতে হবে। ধামাচাপা দেওয়ার কোনো জায়গা নেই। একটা বাচ্চার প্রাণ গেছে, আমরা তার কারণ অনুসন্ধান করে ব্যাবস্থা নেব। আর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়।’

আরও পড়ুন:      ‘দোষী প্রমাণিত হলে আমি স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করব’ মন্তব্য ব্রিজভূষণের  

আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, ‘বার বার বলা সত্ত্বেও অফিসাররা খুব ক্যাজুয়াল নেয়। একটা পদক্ষেপ না নিলে এই ক্যাজুয়াল নেশটা যাবে না। আসি যাই মাইনে পাই সেই যুগ চলে গেছে। আমরা চাইছি বাংলায় কর্ম সংস্কৃতি ফেরাতে যেটা ৩৪ বছর ধরে আমাদের মধ্যে থেকে উধাও হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন: কার্ডিফের মেয়র হলেন বাঙালি বাবলিন