১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রুশ দখলে লিসিচানস্ক আরও চাপে ইউক্রেন সেনা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ জুলাই ২০২২, রবিবার
  • / 37

যুদ্ধে আনুমানিক হতাহত ১০ হাজার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনে ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এই যুদ্ধে সব দিক থেকে রাশিয়ার অর্জন বেশি। পুরো ইউক্রেন ছেড়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলে এখন তীব্র সংঘর্ষ চলছে। এই যুদ্ধে সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর সেভেরোদনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী।

 

আরও পড়ুন: আরও এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে গুলি করল ইসরাইলি সেনা

এবার দোনবাস অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লিসিচানস্ক দখল করার দাবি করল রাশিয়া। রাশিয়ার হাতে শহরটির পতন হয়েছে বলে স্বীকারও করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টা। তবে বেশকিছু মিডিয়ায় দাবি, রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনী উভয়ই লিসিচানস্ক শহরে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার কথা বলছে। রাশিয়া সমর্থিত সেনাদল জানায়, তারা সফলভাবে শহরটির কেন্দ্রে পৌঁছেছে। লিসিচানস্ক শহরের রাস্তার মধ্য দিয়ে রুশ সেনার কুচকাওয়াজের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে। অপর এক ভিডিয়োতে শহরের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কেন্দ্রে সোভিয়েত পতাকা দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘সতী’ হতে চাপ! সবরমতীতে ডুবে আত্মঘাতী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পুত্রবধূ

 

আরও পড়ুন: ইহুদি সেনার গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত

লিসিচানস্ক শহরটি ছিল লুহানস্ক অঞ্চলের ইউক্রেন-নিয়ন্ত্রিত শেষ শহর। এই শহরটি মূলত দোনবাসের শিল্পাঞ্চলীয় এলাকার অংশ। এর আগে রাশিয়া নিকটবর্তী শহর সেভেরোদনেৎস্কে ইউক্রেনীয় সেনাকে পরাস্ত করে। লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি হাইদা বলেছেন, চারদিক থেকে অবরুদ্ধ শহরটির দিকে রুশ সেনা এগিয়ে আসার কারণে লিসিচানস্কে আর কোনও বাধা দেওয়া যায়নি।

 

ইউক্রেনে রাশিয়ার এই সাফল্যে পশ্চিমা দেশগুলির ওপর চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্য ইউক্রেনের মানবিক সংকট তীব্র হওয়ার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। সংস্থাটির মতে, ইউক্রেনের লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্য, পানি, আশ্রয় ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবের মধ্যে রয়েছে।

 

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা খেরসন ও মারিওপল শহরের। রুশ বিমান হামলায় ওই দুই শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি ওসনাত লুবরানি জানান, যুদ্ধে আনুমানিক ১০ হাজার অসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। বলেন, এই অনুমান প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে কম। তিনি জানান ইউক্রেনে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রয়োজন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রুশ দখলে লিসিচানস্ক আরও চাপে ইউক্রেন সেনা

আপডেট : ৩ জুলাই ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনে ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এই যুদ্ধে সব দিক থেকে রাশিয়ার অর্জন বেশি। পুরো ইউক্রেন ছেড়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলে এখন তীব্র সংঘর্ষ চলছে। এই যুদ্ধে সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর সেভেরোদনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী।

 

আরও পড়ুন: আরও এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে গুলি করল ইসরাইলি সেনা

এবার দোনবাস অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লিসিচানস্ক দখল করার দাবি করল রাশিয়া। রাশিয়ার হাতে শহরটির পতন হয়েছে বলে স্বীকারও করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টা। তবে বেশকিছু মিডিয়ায় দাবি, রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনী উভয়ই লিসিচানস্ক শহরে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার কথা বলছে। রাশিয়া সমর্থিত সেনাদল জানায়, তারা সফলভাবে শহরটির কেন্দ্রে পৌঁছেছে। লিসিচানস্ক শহরের রাস্তার মধ্য দিয়ে রুশ সেনার কুচকাওয়াজের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে। অপর এক ভিডিয়োতে শহরের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কেন্দ্রে সোভিয়েত পতাকা দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘সতী’ হতে চাপ! সবরমতীতে ডুবে আত্মঘাতী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পুত্রবধূ

 

আরও পড়ুন: ইহুদি সেনার গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত

লিসিচানস্ক শহরটি ছিল লুহানস্ক অঞ্চলের ইউক্রেন-নিয়ন্ত্রিত শেষ শহর। এই শহরটি মূলত দোনবাসের শিল্পাঞ্চলীয় এলাকার অংশ। এর আগে রাশিয়া নিকটবর্তী শহর সেভেরোদনেৎস্কে ইউক্রেনীয় সেনাকে পরাস্ত করে। লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি হাইদা বলেছেন, চারদিক থেকে অবরুদ্ধ শহরটির দিকে রুশ সেনা এগিয়ে আসার কারণে লিসিচানস্কে আর কোনও বাধা দেওয়া যায়নি।

 

ইউক্রেনে রাশিয়ার এই সাফল্যে পশ্চিমা দেশগুলির ওপর চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্য ইউক্রেনের মানবিক সংকট তীব্র হওয়ার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। সংস্থাটির মতে, ইউক্রেনের লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্য, পানি, আশ্রয় ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবের মধ্যে রয়েছে।

 

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা খেরসন ও মারিওপল শহরের। রুশ বিমান হামলায় ওই দুই শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি ওসনাত লুবরানি জানান, যুদ্ধে আনুমানিক ১০ হাজার অসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। বলেন, এই অনুমান প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে কম। তিনি জানান ইউক্রেনে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রয়োজন।