২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লির আপ সরকারে মদ নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ উপ রাজ্যপালের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, শুক্রবার
  • / 21

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারের মদ নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যের উপ রাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনা। উপ রাজ্যপালের অভিযোগ, মদ নীতির মাধ্যমে দিল্লির সরকার গত এক বছরে ব্যবসায়ীদের প্রায় দেড়শো কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে।

উপ রাজ্যপালের কাছে এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়ে, মদ নীতির সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে আপ সরকার। আর বাড়তি লাভের একাংশ আম আদমি পার্টির তহবিলে গেছে। আর সেই টাকা আপ পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে ব্যয় করেছে।
সিবিআই তদন্তের প্রতিক্রিয়ায় আপ দলের তরফ থেকে বলা হয়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দেশজোড়া সুনাম রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কেন্দ্রের হুমকির সামনে পড়তে হয়েছিল।

আরও পড়ুন: দিল্লি সরকারের আবগারি নীতির বিরুদ্ধে রাজধানীতে আজ ২৫ জায়গায় অভিযান চালালো ইডি

আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, পঞ্জাবে আপ জয়ের পরেই বিজেপি ভয় পেতে শুরু করেছে। আগামীদিনে হয়তো আরও তদন্ত শুরু হবে।

ভরদ্বাজ আরও বলেন, ‘আমরা বলছিলাম ২০১৬ সালের পরিস্থিতি ফিরে আসবে, সিবিআইয়ের তদন্ত, আয়কর, ইডি আমাদের একের পর এক থামাতে শুরু করবে। আমাদের কাজে বাধা দেওয়ার সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।

দিল্লি সরকারের আবগারি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। অভিযোগ, এই মদ নীতির পিছনে হাত রয়েছে সিসোদিয়ার।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৭ নভেম্বর ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য নয়া আবগারি নীতি চালু করে দিল্লি সরকার। সেই সময় গোটা শহরকে ৩২টি জোনে ভাগ করে ৮৪৯টি দোকানকে মদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এলাকাগত সমস্যার জন্য লাইসেন্স পেয়েও বেশ কিছু মদের দোকান খোলা সম্ভব হয়নি। অনেকগুলি দোকানের সিল করে দেয় পুরনিগম। সেই সময় দিল্লি সরকারের নয়া আবগারি নীতির বিরোধিতা করে কংগ্রেস, বিজেপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

তারা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। এমনকী বিরোধী দলগুলির তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবিও ওঠে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দিল্লির আপ সরকারে মদ নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ উপ রাজ্যপালের

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারের মদ নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যের উপ রাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনা। উপ রাজ্যপালের অভিযোগ, মদ নীতির মাধ্যমে দিল্লির সরকার গত এক বছরে ব্যবসায়ীদের প্রায় দেড়শো কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে।

উপ রাজ্যপালের কাছে এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়ে, মদ নীতির সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে আপ সরকার। আর বাড়তি লাভের একাংশ আম আদমি পার্টির তহবিলে গেছে। আর সেই টাকা আপ পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে ব্যয় করেছে।
সিবিআই তদন্তের প্রতিক্রিয়ায় আপ দলের তরফ থেকে বলা হয়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দেশজোড়া সুনাম রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কেন্দ্রের হুমকির সামনে পড়তে হয়েছিল।

আরও পড়ুন: দিল্লি সরকারের আবগারি নীতির বিরুদ্ধে রাজধানীতে আজ ২৫ জায়গায় অভিযান চালালো ইডি

আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, পঞ্জাবে আপ জয়ের পরেই বিজেপি ভয় পেতে শুরু করেছে। আগামীদিনে হয়তো আরও তদন্ত শুরু হবে।

ভরদ্বাজ আরও বলেন, ‘আমরা বলছিলাম ২০১৬ সালের পরিস্থিতি ফিরে আসবে, সিবিআইয়ের তদন্ত, আয়কর, ইডি আমাদের একের পর এক থামাতে শুরু করবে। আমাদের কাজে বাধা দেওয়ার সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।

দিল্লি সরকারের আবগারি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। অভিযোগ, এই মদ নীতির পিছনে হাত রয়েছে সিসোদিয়ার।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৭ নভেম্বর ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য নয়া আবগারি নীতি চালু করে দিল্লি সরকার। সেই সময় গোটা শহরকে ৩২টি জোনে ভাগ করে ৮৪৯টি দোকানকে মদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এলাকাগত সমস্যার জন্য লাইসেন্স পেয়েও বেশ কিছু মদের দোকান খোলা সম্ভব হয়নি। অনেকগুলি দোকানের সিল করে দেয় পুরনিগম। সেই সময় দিল্লি সরকারের নয়া আবগারি নীতির বিরোধিতা করে কংগ্রেস, বিজেপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

তারা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। এমনকী বিরোধী দলগুলির তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবিও ওঠে।