২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাদেন পরিবারের থেকে ১০ লক্ষ পাউন্ড নিয়েছিলেন প্রিন্স চার্লস!  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২২, সোমবার
  • / 90

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ওসামা বিন লাদেনের পরিবারের কাছ থেকে ১০ লক্ষ পাউন্ড অনুদান  নিয়েছিলেন ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লস। উপদেষ্টাদের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই নিজের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থ গ্রহণ করেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম শীর্ষ এই ব্যক্তিত্ব। প্রায় ৯ বছর আগের এই ঘটনা সম্প্রতি ফাঁস হয়। ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর যুবরাজ চার্লস তার দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘প্রিন্স অফ চ্যারিটেবল ফান্ডের’ জন্য ওসামা বিন লাদেনের সৎ ভাই বকর ও শফিকের কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ অনুদান গ্রহণ করেন।

 

আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মাদক সেবনে ১ লক্ষ মার্কিনির মৃত্যু!  

লন্ডনে ক্লিয়ারেন্স হাউজে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। এ ঘটনার ২ বছর আগেই অবশ্য মার্কিন বাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিন লাদেন নিহত হন। এই অর্থ গ্রহণের ব্যাপারে যুবরাজের উপদেষ্টারা যথেষ্ট আপত্তি জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন,খবরটি ফাঁস হলে তা জাতীয় পর্যায়ে ক্ষোভের কারণ হবে এবং চার্লসের মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। কিন্তু চার্লস এসব আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে সেই অনুদান গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: কাতারের কাছ থেকে ব্যাগভর্তি অর্থ নিয়ে বিতর্কে প্রিন্স চার্লস

 

এর আগেও নানা সময়ে বিতর্কিত অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে প্রিন্স চার্লসের বিরুদ্ধে। নানা ধরনের সুবিধা পাওয়ার পরিবর্তে প্রিন্সের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অর্থ দান করতেন দাতারা। অতীতে সউদির এক ধনকুবেরের কাছ থেকে নগদ অনুদান নেওয়ায় প্রিন্স চার্লসকে নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, সউদির ব্যবসায়ী মাহফুজ মুবারক ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে সম্মান এবং  নাগরিকত্বের বিনিময়ে চার্লসের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে প্রচুর অনুদান দিয়েছিলেন।এই কেলেঙ্কারি ফাঁস হতেই গত বছর যুবরাজ চার্লস প্রিন্স ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লাদেন পরিবারের থেকে ১০ লক্ষ পাউন্ড নিয়েছিলেন প্রিন্স চার্লস!  

আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ওসামা বিন লাদেনের পরিবারের কাছ থেকে ১০ লক্ষ পাউন্ড অনুদান  নিয়েছিলেন ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লস। উপদেষ্টাদের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই নিজের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থ গ্রহণ করেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম শীর্ষ এই ব্যক্তিত্ব। প্রায় ৯ বছর আগের এই ঘটনা সম্প্রতি ফাঁস হয়। ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর যুবরাজ চার্লস তার দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘প্রিন্স অফ চ্যারিটেবল ফান্ডের’ জন্য ওসামা বিন লাদেনের সৎ ভাই বকর ও শফিকের কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ অনুদান গ্রহণ করেন।

 

আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মাদক সেবনে ১ লক্ষ মার্কিনির মৃত্যু!  

লন্ডনে ক্লিয়ারেন্স হাউজে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। এ ঘটনার ২ বছর আগেই অবশ্য মার্কিন বাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিন লাদেন নিহত হন। এই অর্থ গ্রহণের ব্যাপারে যুবরাজের উপদেষ্টারা যথেষ্ট আপত্তি জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন,খবরটি ফাঁস হলে তা জাতীয় পর্যায়ে ক্ষোভের কারণ হবে এবং চার্লসের মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। কিন্তু চার্লস এসব আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে সেই অনুদান গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: কাতারের কাছ থেকে ব্যাগভর্তি অর্থ নিয়ে বিতর্কে প্রিন্স চার্লস

 

এর আগেও নানা সময়ে বিতর্কিত অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে প্রিন্স চার্লসের বিরুদ্ধে। নানা ধরনের সুবিধা পাওয়ার পরিবর্তে প্রিন্সের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অর্থ দান করতেন দাতারা। অতীতে সউদির এক ধনকুবেরের কাছ থেকে নগদ অনুদান নেওয়ায় প্রিন্স চার্লসকে নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, সউদির ব্যবসায়ী মাহফুজ মুবারক ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে সম্মান এবং  নাগরিকত্বের বিনিময়ে চার্লসের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে প্রচুর অনুদান দিয়েছিলেন।এই কেলেঙ্কারি ফাঁস হতেই গত বছর যুবরাজ চার্লস প্রিন্স ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করেন।