০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, অবশেষে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার নিখোঁজ ১৮ জন মৎস্যজীবী

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২২, শনিবার
  • / 45

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায়  অবশেষে উদ্ধার করা হল ১৮ জন মৎস্যজীবী।  গতকালই ১৩ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। বাকি ৫ মৎস্যজীবীর খোঁজে  শনিবার সকাল থেকে অনুসন্ধান শুর হয়। এরপর কেঁদুয়া  দ্বীপের কাছ থেকে বাকি মৎস্যজীবী উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মৎস্যজীবীরা।

উল্লেখ্য, গতকাল এফ বি সত‍্যনারায়ণ নামের একটি ট্রলার ডুবে যায়।  গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে গিয়ে আবার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এবার বঙ্গোপসাগরের ১০ থেকে ১২ কিমি নিচ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: রায়দিঘি জেটিঘাটের কাছে ডুবল ট্রলার, ক্ষতি প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা

কেঁদো দ্বীপের কাছে ডুবো চড়ায় ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় এফবি  সত্যনারায়ণ নামে ট্রলারটি। সেই ট্রলারে থাকা ১৮ জন মৎস্যজীবী উত্তাল সমুদ্রে ভাসতে থাকে। কাছাকাছি থাকা মৎস্যজীবী ট্রলার তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে প্রশাসন ও উপকূল রক্ষির বাহিনীরা। নিম্নচাপ থাকার কারণে অনুসন্ধান কাজে দেরি হয়।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত: প্রশাসনের নজর উপকূলে, সব রকম প্রস্তুতি শুরু

কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানায়,  গত ১৬  আগস্ট মঙ্গলবার এফবি সত্যনারায়ণ একটি ট্রলার ১৮ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বের হয়েছিল। বঙ্গোপসাগর থেকে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার  নিচে তারা পৌঁছে গিয়েছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাদের ১৭ তারিখ বুধবারের মধ্যে সমুদ্র থেকে বন্দরে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সতর্কবার্তা পেয়ে তারা বন্দরে ফিরে আসার পথে কেঁদো দ্বীপের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডুবে যায়।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে

ডুবো চড়ায় ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি উল্টে যায় বলে জানা গিয়েছে।  মৎস্যজীবীরা উত্তাল সমুদ্রে পড়ে যায়। জঙ্গল ঘেরা দ্বীপের কাছে আশ্রয় নেওয়া কয়েকটি ট্রলার নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের সন্ধান শুরু করে। খবর পেয়ে নামখানা থেকে উদ্ধারকারী তিনটি মৎস্যজীবী ট্রলার নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। খবর পাঠানো  হয় প্রশাসন ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে।

সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান,  এফবি সত্যনারায়ণ নামে একটি ট্রলার কেঁদো দ্বীপের কাছে ডুবে যাওয়ার খবর পেয়েছি। ওখানে কয়েকটি ট্রলার আছে। আর নামখানা থেকে তিনটি ট্রলারকে ওখানে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো নয়। একে নিম্নচাপ তার উপর যে জায়গায়টিতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে গভীরতা কম থাকার বলে ট্রলারগুলো সেখানে ভিড়তে পারছে না। তবে ওই ট্রলারে থাকা কোনও মৎস্যজীবী সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি প্রশাসন ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে।

অবশেষে শনিবার নিখোঁজ ১৮ জন মৎস্যজীবীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হল।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, অবশেষে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার নিখোঁজ ১৮ জন মৎস্যজীবী

আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায়  অবশেষে উদ্ধার করা হল ১৮ জন মৎস্যজীবী।  গতকালই ১৩ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। বাকি ৫ মৎস্যজীবীর খোঁজে  শনিবার সকাল থেকে অনুসন্ধান শুর হয়। এরপর কেঁদুয়া  দ্বীপের কাছ থেকে বাকি মৎস্যজীবী উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মৎস্যজীবীরা।

উল্লেখ্য, গতকাল এফ বি সত‍্যনারায়ণ নামের একটি ট্রলার ডুবে যায়।  গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে গিয়ে আবার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এবার বঙ্গোপসাগরের ১০ থেকে ১২ কিমি নিচ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: রায়দিঘি জেটিঘাটের কাছে ডুবল ট্রলার, ক্ষতি প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা

কেঁদো দ্বীপের কাছে ডুবো চড়ায় ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় এফবি  সত্যনারায়ণ নামে ট্রলারটি। সেই ট্রলারে থাকা ১৮ জন মৎস্যজীবী উত্তাল সমুদ্রে ভাসতে থাকে। কাছাকাছি থাকা মৎস্যজীবী ট্রলার তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে প্রশাসন ও উপকূল রক্ষির বাহিনীরা। নিম্নচাপ থাকার কারণে অনুসন্ধান কাজে দেরি হয়।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত: প্রশাসনের নজর উপকূলে, সব রকম প্রস্তুতি শুরু

কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানায়,  গত ১৬  আগস্ট মঙ্গলবার এফবি সত্যনারায়ণ একটি ট্রলার ১৮ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বের হয়েছিল। বঙ্গোপসাগর থেকে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার  নিচে তারা পৌঁছে গিয়েছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাদের ১৭ তারিখ বুধবারের মধ্যে সমুদ্র থেকে বন্দরে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সতর্কবার্তা পেয়ে তারা বন্দরে ফিরে আসার পথে কেঁদো দ্বীপের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডুবে যায়।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে

ডুবো চড়ায় ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি উল্টে যায় বলে জানা গিয়েছে।  মৎস্যজীবীরা উত্তাল সমুদ্রে পড়ে যায়। জঙ্গল ঘেরা দ্বীপের কাছে আশ্রয় নেওয়া কয়েকটি ট্রলার নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের সন্ধান শুরু করে। খবর পেয়ে নামখানা থেকে উদ্ধারকারী তিনটি মৎস্যজীবী ট্রলার নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। খবর পাঠানো  হয় প্রশাসন ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে।

সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান,  এফবি সত্যনারায়ণ নামে একটি ট্রলার কেঁদো দ্বীপের কাছে ডুবে যাওয়ার খবর পেয়েছি। ওখানে কয়েকটি ট্রলার আছে। আর নামখানা থেকে তিনটি ট্রলারকে ওখানে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো নয়। একে নিম্নচাপ তার উপর যে জায়গায়টিতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে গভীরতা কম থাকার বলে ট্রলারগুলো সেখানে ভিড়তে পারছে না। তবে ওই ট্রলারে থাকা কোনও মৎস্যজীবী সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি প্রশাসন ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে।

অবশেষে শনিবার নিখোঁজ ১৮ জন মৎস্যজীবীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হল।