০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“আজওয়া” বিশ্বের সবচেয়ে মহার্ঘ খেজুর,হযরত মোহাম্মদ (সা.) ইফতার করতেন যা দিয়ে

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২১, শুক্রবার
  • / 60

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ সৌদি আরবের খেজুরের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। পর্যটক সেই দেশে গেলে স্মারক হিসেবে অবশ্যই সংগ্রহ করে থাকেন খেজুর। জানেন কি কত ধরনের খেজুর মেলে ঊষর মরুর এই দেশে।
সৌদি আরবের বাজারে বিভিন্ন ধরনের খেজুর পাওয়া যায়। তাদের প্রতিটির আকার, স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ বিভিন্ন রকম। আসুন দেখে নেওয়া যাক সৌদির খেজুরের সাত-সতেরো।
আজওয়া : দেশটির সব থেকে জনপ্রিয় খেজুর হচ্ছে আজওয়া। বলা হয়ে থাকে এটি মদিনা শরিফের সর্বোত্তম খেজুর। হযরত মোহাম্মদ (সা.) ইফতার করতেন এই খেজুর দিয়ে। দেখতে কালো, বীজ ছোট এবং খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। তা ছাড়া এই খেজুরের দামও অন্যান্য খেজুরের চেয়ে বেশি। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি খেজুর।
বলা হয়ে থাকে, এই খেজুর খেলে গর্ভবতী নারীর প্রসব বেদনা কম হয়। সহিহ বুখারি হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন তাকে কোনো বিষ ও জাদু ক্ষতি করতে পারবে না।
আনবারা : এই খেজুর আজওয়ার মতো ছোট নয়। আনবারা খেজুরের আকার বেশ বড়। রং লালচে বাদামি ও পুরু মাংসল এই খেজুরের বীজ খুব ছোট হয়। সৌদির বাজারে এই খেজুরও অত্যন্ত দামি।
সাফাওয়ি : এই খেজুর নরম, লম্বাটে। গাঢ় কালচে বাদামি রঙের এই খেজুর খেতে মোটামুটি মিষ্টি। এই খেজুরে রয়েছে উচ্চমাত্রার মিনারেল। গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে এই খেজুর খেলে পাকস্থলীর জীবাণুু ধ্বংস হয়।
বারহি : এই জাতের খেজুর দেখতে ছোট ও গোলাকার হয়ে থাকে। পাকলেও কিছুটা শক্ত ভাব থেকেই যায়। রং হয় বাদামি ও হলদেটে। এর হলদে অংশ একটু টকভাব থাকলেও বাদামি অংশ বেশ মিষ্টি স্বাদের। এই জাতের খেজুর থোকা ধরেই বিক্রি করা হয় সাধারণত। হলদে খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, পটাশিয়াম। যখন এই খেজুর পাকার মরশুম শুরু হয় তখন দেশটির স্থানীয় বাজারে প্রচুর পরিমাণে কিনতে পাওয়া যায়। যারা কিনা খুব মিষ্টিজাতীয় খেজুর পছন্দ করেন না, তাদের জন্য উত্তম এই জাতের খেজুর।
সেগাই : সাধারণত রিয়াধের আশপাশে এই খেজুর চাষ হয় এবং রিয়াধে পাওয়া যায় বেশি পরিমাণে। এর দামও অনেক বেশি। শুকনো জাতের এই খেজুর হালকা মিষ্টি স্বাদের। এটা একটু শক্ত বলে মাঝে মাঝে ক্রিসপি বা কুড়মুড়ে ভাব চলে আসে খাওয়ার সময়। রং হয় হালকা হলুদ ও বাদামি বর্ণের সংমিশ্রণ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

“আজওয়া” বিশ্বের সবচেয়ে মহার্ঘ খেজুর,হযরত মোহাম্মদ (সা.) ইফতার করতেন যা দিয়ে

আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ সৌদি আরবের খেজুরের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। পর্যটক সেই দেশে গেলে স্মারক হিসেবে অবশ্যই সংগ্রহ করে থাকেন খেজুর। জানেন কি কত ধরনের খেজুর মেলে ঊষর মরুর এই দেশে।
সৌদি আরবের বাজারে বিভিন্ন ধরনের খেজুর পাওয়া যায়। তাদের প্রতিটির আকার, স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ বিভিন্ন রকম। আসুন দেখে নেওয়া যাক সৌদির খেজুরের সাত-সতেরো।
আজওয়া : দেশটির সব থেকে জনপ্রিয় খেজুর হচ্ছে আজওয়া। বলা হয়ে থাকে এটি মদিনা শরিফের সর্বোত্তম খেজুর। হযরত মোহাম্মদ (সা.) ইফতার করতেন এই খেজুর দিয়ে। দেখতে কালো, বীজ ছোট এবং খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। তা ছাড়া এই খেজুরের দামও অন্যান্য খেজুরের চেয়ে বেশি। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি খেজুর।
বলা হয়ে থাকে, এই খেজুর খেলে গর্ভবতী নারীর প্রসব বেদনা কম হয়। সহিহ বুখারি হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন তাকে কোনো বিষ ও জাদু ক্ষতি করতে পারবে না।
আনবারা : এই খেজুর আজওয়ার মতো ছোট নয়। আনবারা খেজুরের আকার বেশ বড়। রং লালচে বাদামি ও পুরু মাংসল এই খেজুরের বীজ খুব ছোট হয়। সৌদির বাজারে এই খেজুরও অত্যন্ত দামি।
সাফাওয়ি : এই খেজুর নরম, লম্বাটে। গাঢ় কালচে বাদামি রঙের এই খেজুর খেতে মোটামুটি মিষ্টি। এই খেজুরে রয়েছে উচ্চমাত্রার মিনারেল। গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে এই খেজুর খেলে পাকস্থলীর জীবাণুু ধ্বংস হয়।
বারহি : এই জাতের খেজুর দেখতে ছোট ও গোলাকার হয়ে থাকে। পাকলেও কিছুটা শক্ত ভাব থেকেই যায়। রং হয় বাদামি ও হলদেটে। এর হলদে অংশ একটু টকভাব থাকলেও বাদামি অংশ বেশ মিষ্টি স্বাদের। এই জাতের খেজুর থোকা ধরেই বিক্রি করা হয় সাধারণত। হলদে খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, পটাশিয়াম। যখন এই খেজুর পাকার মরশুম শুরু হয় তখন দেশটির স্থানীয় বাজারে প্রচুর পরিমাণে কিনতে পাওয়া যায়। যারা কিনা খুব মিষ্টিজাতীয় খেজুর পছন্দ করেন না, তাদের জন্য উত্তম এই জাতের খেজুর।
সেগাই : সাধারণত রিয়াধের আশপাশে এই খেজুর চাষ হয় এবং রিয়াধে পাওয়া যায় বেশি পরিমাণে। এর দামও অনেক বেশি। শুকনো জাতের এই খেজুর হালকা মিষ্টি স্বাদের। এটা একটু শক্ত বলে মাঝে মাঝে ক্রিসপি বা কুড়মুড়ে ভাব চলে আসে খাওয়ার সময়। রং হয় হালকা হলুদ ও বাদামি বর্ণের সংমিশ্রণ।