১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেম্পেগৌড়ার ১০৮ ফুট মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 17

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার বেঙ্গালুরু শহরের প্রতিষ্ঠাতা নাদাপ্রভু কেম্পেগৌড়ার ২ লক্ষ ১৮ হাজার কিলোগ্রামের মুর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেম্পেগৌড়ার এই ব্রোঞ্জ মূর্তির উচ্চতা ১০৮ ফুট। ২১৮ টনের এই মূর্তিটি কেম্পেগৌড়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে স্থাপন করা হয়েছে। এই মূর্তিটি তৈরি করতে ৯৮ টন ব্রোঞ্জ ও ১২০ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। ওই মূর্তিটির পাশে একটি থিম পার্কও তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা।

কেম্পেগৌড়া বিজয়নগর সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন। ১৫৩৭ সালে তিনি বেঙ্গালুরু শহর প্রতিষ্ঠা করেন। বেঙ্গালুরু তথা কর্ণাটকের ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের কাছে কেম্পেগৌড়া ভীষণ জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধেয়। শুধু ভোক্কালিগা নয়, কর্ণাটকের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল গোটা রাজ্যের মানুষ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেম্পেগৌড়ার মূর্তি উন্মোচনের সিদ্ধান্ত বিজেপির জন্য লাভজনক বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মূর্তিটির নকশা করেছেন বিখ্যাত ভাস্কর রাম ভাঞ্জি সুতার। গুজরাটের স্ট্যাচু অফ ইউনিটিও তাঁরই হাতে তৈরি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সহ উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন হবে আগামী বছর। তার আগে মূর্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব নিয়ে দড়িটানাটানি শুরু হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। কংগ্রেসে নেতা সিদ্ধারামাইয়ার মতে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস আমলেই। আপাতত কর্ণাটকের ভোটবাক্সে প্রভাবশালী ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের মন জয় করতে মরিয়া কংগ্রেস ও বিজেপি।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কেম্পেগৌড়ার ১০৮ ফুট মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার বেঙ্গালুরু শহরের প্রতিষ্ঠাতা নাদাপ্রভু কেম্পেগৌড়ার ২ লক্ষ ১৮ হাজার কিলোগ্রামের মুর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেম্পেগৌড়ার এই ব্রোঞ্জ মূর্তির উচ্চতা ১০৮ ফুট। ২১৮ টনের এই মূর্তিটি কেম্পেগৌড়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে স্থাপন করা হয়েছে। এই মূর্তিটি তৈরি করতে ৯৮ টন ব্রোঞ্জ ও ১২০ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। ওই মূর্তিটির পাশে একটি থিম পার্কও তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা।

কেম্পেগৌড়া বিজয়নগর সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন। ১৫৩৭ সালে তিনি বেঙ্গালুরু শহর প্রতিষ্ঠা করেন। বেঙ্গালুরু তথা কর্ণাটকের ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের কাছে কেম্পেগৌড়া ভীষণ জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধেয়। শুধু ভোক্কালিগা নয়, কর্ণাটকের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল গোটা রাজ্যের মানুষ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেম্পেগৌড়ার মূর্তি উন্মোচনের সিদ্ধান্ত বিজেপির জন্য লাভজনক বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মূর্তিটির নকশা করেছেন বিখ্যাত ভাস্কর রাম ভাঞ্জি সুতার। গুজরাটের স্ট্যাচু অফ ইউনিটিও তাঁরই হাতে তৈরি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সহ উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন হবে আগামী বছর। তার আগে মূর্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব নিয়ে দড়িটানাটানি শুরু হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। কংগ্রেসে নেতা সিদ্ধারামাইয়ার মতে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস আমলেই। আপাতত কর্ণাটকের ভোটবাক্সে প্রভাবশালী ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের মন জয় করতে মরিয়া কংগ্রেস ও বিজেপি।